হাইলাইটস
- চাইলেই মিষ্টি (Sugar) খাওয়া রাতারাতি ছেড়ে দেওয়া যায় না, তাই আপনি যদি এর আগেও চিনি (Sugar) ছাড়তে চেয়ে না পেরে থাকেন তা হলে মুষড়ে পড়বেন না।
- অতিরিক্ত মিষ্টি (Sugar) খাওয়াটা অ্যাডিকশন, চাইলেই তা ছেড়ে দেওয়া যায় না।
- রোজ আমরা যে সব খাবার খাই, তার অনেকগুলির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে চিনি। সেটা চিনে নিয়ে বুদ্ধি করে এগোতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা সকলেরই থাকে কমবেশি। তবে জিভ সেক্ষেত্রে সঙ্গ দেয় না। স্বাস্থ্য আর স্বাদ যে সব খাবারে বেশি, তার জনপ্রিয়তা পৌঁছয় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত। একমাত্র তা হলেই দূরে থাকতে পারবেন বাড়তি ওজন, ডায়াবেটিসের মতো মারণ অসুখের থেকে। যদি আপনার ডাক্তার বা পুষ্টিবিদ এগুলি খাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকেন, তা হলে সেটাই মেনে চলা ভালো। যাঁদের তেমন কোনও বিধিনিষেধ নেই, তাঁরা ‘অ্যাডেড সুগার’ এর উপরেই মনোযোগ দিন প্রাথমিকভাবে।
WHO দিনে ৫০ গ্রামের কম চিনি খাওয়ার কথা বলেছেন প্রাপ্তবয়স্কদের, সম্ভব হলে এর অর্ধেক চিনি খান প্রতিদিন। মনে রাখবেন, এক ক্যান কোল্ড ড্রিঙ্কেই কিন্তু আন্দাজ ৪০-৪৫ গ্রাম চিনি থাকে। কিন্তু জেনে রাখা জরুরি, আপাত ভাবে যত রকম খাদ্য চিনি নেই বলে মনে করা হয়, সব ক’টি তেমন নয়।
ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল-সহ সব ধরনের প্রসেসড ফুড থেকে দূরে থাকুন: সম্ভব হলে প্যাকেটজাত ‘রেডি-টু-ইট’ খাবারের প্রতি নির্ভরশীলতা কাটান। এর মধ্যে আপনার পছন্দের ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল থেকে আরম্ভ করে কেক-বিস্কিট-ইয়োগার্ট, সব পড়বে। সাধারণত প্যাকেটজাত খাবার বেশিদিন ভালো রাখার জন্য তার মধ্যে নানা প্রিজরভেটিভ ও চিনি মেশানো হয়।
প্যাকেটজাত যে কোনও খাবারের লেবেল খুব ভালো করে পড়ার অভ্যেস তৈরি করুন: সব সময় যে প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্যাকেটে উপকরণ হিসেবে চিনির নামটাই থাকবে তা নয়, মেপল-কর্ন-গোল্ডেন-মল্ট সিরাপ, মধু, গ্লুকোজ়, ফ্রুকটোজ় ইত্যাদিও থাকতে পারে উপকরণের তালিকায়। ব্রাউন সুগার, ন্যাচরাল সুগার ইত্যাদি নামও চোখে পড়তে পারে। লো-ফ্যাট, লো-সুগার লেবেল সাঁটা খাবারের প্যাকেটেও মিষ্টিজাত উপাদানের নাম দেখলে আশ্চর্য হবেন না।
ককটেল আর মকটেলও নয়: সন্দেশ বা লাড্ডু দেখলেই শিউরে উঠে সরে যাচ্ছেন, কিন্তু রেস্তোরাঁয় গিয়েই সুইট ফ্রেশ লাইম সোডা অর্ডার করছেন? এখনই বন্ধ করুন। তরল পানীয়ের মাধ্যমে আপনার অজান্তেই প্রচুর চিনি ঢোকে, সমস্যা হচ্ছে তার মাপটাও ঠিকমতো করা যায় না। এমনকী প্যাকেটজাত ফ্রুট জ্যুসেও অতিরিক্ত চিনি থাকে। সম্ভব হলে ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় অর্ডার দেওয়ার সময়েই আপনার জন্য মিষ্টি-বিহীন পানীয় তৈরির কথা বলে রাখুন।
খাবারে প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ান: মনে রাখবেন,আপনার শরীরের যে সব ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টের খুব দরকার, সেই তালিকাতেই রয়েছে প্রোটিন আর ফ্যাট। আপনার প্রতিটি মিলে প্রোটিন আর ফ্যাটের উপস্থিতি আবশ্যক। তবে হ্যাঁ, অ্যাভোকাডো বা মাঠাযুক্ত দুধের মতো সুষম খাবারে আপনি যে মানের ফ্যাট বা স্নেহপদার্থ পাবেন, ঘি-মাখনে তা মিলবে না। তাই সচেতন হয়ে সিদ্ধান্ত নিন। প্রোটিন প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ দু’ ধরনের হয়। যাঁরা মাছ-মাংস-দুধ-ডিমের বাড়াবাড়ি সহ্য করতে পারেন না, তাঁরা ডাল, বাদাম ছোলা, তিল, তিসি, ফ্ল্যাক্সসিড ইত্যাদি খান।
মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে প্রাকৃতিক ‘হোল ফুড’-এ আস্থা রাখুন: হাতের কাছে রাখুন মিষ্টি ফল। চলতে পারে কলা, নারকেল, পাকা আঙুর, আপেল এমনকী আমও। মাঝে মাঝে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-28 11:52:32
Source link
Leave a Reply