হেলেন অফ ট্রয় খ্যাত লেখক হোমার অলিভ অয়েলকে ‘তরল সোনা’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন বলেছিলেন, স্বর্গের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার অলিভ অয়েল।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য হিসাবে এর কদর আছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যা, ঘর-গৃহস্থালির জিনিসপত্র পরিষ্কার করার কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে অলিভ অয়েল। অনেক গুণের অধিকারী এই অলিভ অয়েল সৌন্দর্যচর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
অলিভ অয়েল চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের সংক্রামক রোগ রোধে কাজ করে। এতে করে চুলের গোঁড়া থেকে পুষ্টি যোগায় ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে এবং চুলের ভঙ্গুরতা কমায়।
ব্যবহারের নিয়ম:
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী চার বা পাঁচ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে এতে একটি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভাল ফলাফল পেতে এই মিশ্রণটি সারারাত চুলে লাগিয়ে রাখুন এবং সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহারে চুলের আগা ফাটা ৮০ শতাংশ কমে যাবে এবং ভঙ্গুরতা দূর হবে। এছাড়াও এতে রয়েছে ফ্রিজি চুলের সমাধান: একটি চিরুনি অলিভ অয়েলের মধ্যে ডুবিয়ে নিন তারপর ফ্রিজি চুলে আঁচড়ে নিন। এতে চুল ময়েশচার হয়ে ফ্রিজিনেস কেটে যাবে।
হেয়ার মাস্ক: একটি ডিমের কুসুমের সাথে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, পাঁচ ফোঁটা লেবুর রস মেশান। চুলে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল হয়ে উঠবে নরম আর উজ্জ্বল।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-06-25 19:04:13
Source link
Leave a Reply