নারীদের প্রতিদিনের অতিপ্রয়োজনীয় কাজের একটি রূপচর্চা। সুন্দর-মসৃণ-সজীব ত্বকের যত্নে অসংখ্য পরামর্শের ভীড়ে প্রায়ই ভুল করেন সবাই। আর ভুল উপায়ে রূপচর্চায় আপনার ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। বেশিরভাগ মেয়েরাই জানেন না প্রচলিত বেশ কিছু রূপচর্চা পদ্ধতি আসলে ভুল এবং ক্ষতিকর। এমনই সাতটি ভুল রূপচর্চার কথা জানানো হলো যার প্রয়োগে সর্বনাশ ঘটবে আপনার ত্বকের।
১. স্কার্বের ব্যবহার
রূপচর্চায় বহুল প্রচলিত এই পদ্ধতি মারাত্মক ক্ষতিকর। হাত, পা বা দেহের অন্যান্য অংশের ত্বকে মোলায়েমভাবে স্কার্ব ব্যবহার করলেও ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর মুখের স্পর্শকাতর ত্বকে যদি স্কার্ব ঘষা হয়, তাহলে সর্বনাশের আর বাকি নেই। ডিপ ক্লিনজিংয়ের উদ্দেশ্যে অনেকেই স্কার্ব ঘষেন মুখে। পরিষ্কার যাই হোক, ত্বক হয়ে যাবে খসখসে।
২. অপরিচ্ছন্নতা
প্রতিদিনের সাজসজ্জায় অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। আবার ত্বকের সঙ্গে স্পর্শ ঘটে এমন জিনিসও রয়েছে অনেক। যেমন- মেকআপ ব্রাশ, বালিশের কাভার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই জিনিসগুলো যদি অপরিষ্কার থাকে তবে ত্বকে ছড়াবে ব্যাকটেরিয়া। দুই-তিন দিন পর পর এগুলো পরিষ্কার না করলে ত্বকের সমস্যা মহামারি আকারে দেখা দেবে।
৩. কাজের শেষে গোসল না করা
সারা দিনের জন্য হোক বা অল্প সময়ের জন্য, কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি গোসল করেন, তাহলে গোটা দিনের ধুলো-ময়লা চলে যাবে। বাইরের পরিবেশ রোগ-জীবাণুতে ভরপুর। ত্বকের সৌন্দর্য হানির আসল উপাদান। তাই দিনের শেষে পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
৪. ঘুমের অভাব
রাতে ঘুমের অভাব ত্বকের বড় ক্ষতি করে। ক্রমাগত ঘুমের অভাবে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিসৃত হয়। এটি ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই রূপচর্চার অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে ধরে নিতে হবে ঘুমকে।
৫. মুখে হাত ও চুলের স্পর্শ
মেয়েদের চুল সব সময় মুখে এসে পড়ে। খোলা চুলে ময়লা থাকে। ফলে সে ময়লা চলে আসে মুখে। আবার আমাদের হাতে সবচেয়ে বেশি ময়লা থাকে। ঘন ঘন মুখে হাতের স্পর্শ মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই চুল ও হাত আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে।
৬. প্রসাধনীর সুফল পেতে ধৈর্য না রাখা
প্রসাধন ওষুদের মতো কাজ করে। যে কাজের প্রসাধনী কিনেছেন, তা ব্যবহারের পর সুফল পেতে সময় প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই অধৈর্য হয়ে পড়েন এবং অন্য কোনো প্রসাধন ব্যবহার শুরু করেন। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে যা ত্বকের যেকোনো সমস্যা বয়ে আনতে পারে। যেমন- স্কিন কেয়ার প্রসাধনীর সুফল পেতে ৪/৬ সপ্তাহ সময় লেগে যায়। এ সময় পর্যন্ত আপনার ব্যবহারের কোর্সটি সম্পন্ন করতে হবে।
৭. পানিতে ক্ষার থাকলে
পানিতে ক্ষারের মাত্রা বেশি থাকলে তা ত্বকের জন্য হুমকি। তা ছাড়া এমন পানিতে এমন খনিজ উপাদান থাকতে পারে যা সাবান বা ফেস ওয়াশ পণ্য ব্যবহার করেও দূর করা যায় না। ক্ষারযুক্ত পানি চুলেরও কোমলতা ও মসৃণতা নষ্ট করে দেয়। মুখ ধোয়া বা গোসলের জন্য শাওয়ার ফিল্টার বা ওয়াটার সফটনার ব্যবহার করা উচিত।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-06-24 17:52:03
Source link
Leave a Reply