হাইলাইটস
- চিকিৎসকদের মতে, ইনডোর অ্যাকটিভিটির তুলনায় আউটডোর অ্যাকটিভিটি ভালো।
- কারণ এর ফলে বাচ্চারা শারীরিক দিক দিয়ে সক্রিয় থাকবে।
অতিমারীর প্রভাব কমে এলে বাচ্চাদের ঘরের বাইরে খেলতে পাঠানো জরুরি। কারণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘরবন্দি থেকে হাঁপিয়ে উঠেছে ছোট্ট প্রাণগুলো। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্যই বাইরে গিয়ে খেলাধুলো করা দরকার। তবে করোনা কমলেও সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা এখনও দীর্ঘদিন থাকবে। কী ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করে বাচ্চাদের বাইরে খেলতে পাঠাবেন জেনে নিন।
চিকিৎসকদের মতে, ইনডোর অ্যাকটিভিটির তুলনায় আউটডোর অ্যাকটিভিটি ভালো। কারণ এর ফলে বাচ্চারা শারীরিক দিক দিয়ে সক্রিয় থাকবে। প্রায় এক বছরের গৃহবন্দি এবং পড়াশোনা-সহ সমস্ত কিছুর জন্য অনলাইনের ভরসায় থাকার পর আউটডোর অ্যাকটিভিটি বাচ্চাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়ছে। কারণ বাড়িতে থেকে তাদের স্ক্রিন টাইম বেড়ে গিয়েছে এই এক বছরে।
সোশ্যাল অ্যাংজাইটি
এক বছরের বেশি সময় ধরে আইসোলেশনে থাকার পর বাচ্চারা কিছুটা হলেও সোশ্যাল অ্যাংজাইটি অনুভব করতে পারে। এই ব্যাগ্রতাকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। নিউ ইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যাংগোন হান্টিংটন মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকদের মতে, অতিমারীর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে তাদের যেমন সমস্যায় পড়তে হয়েছে, তেমনই সমস্যা দেখা দিতে পারে অতিমারী পরবর্তী পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। তাই এই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের সময় দেওয়ার পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞরা। তাই এক বা দু-জন বাচ্চা নিয়ে তাদের পছন্দের স্থানে প্রথমে প্লে ডেট শুরু করা উচিত। একে অপরকে চিনে নেওয়ারও সময় দেওয়া উচিত বাচ্চাদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন অনেক শিশু আছে, যারা নিজের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গত ১৬ মাসে খুব কম দেখা সাক্ষাৎ করেছে বা এক্কেবারেই করেনি। এই বাচ্চাদের মধ্যে অনেকে হয়তো প্রথমবার এক জনের বেশি মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা যোগাযোগ করছেন। সে ক্ষেত্রে এটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত চাপের বিষয় হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের উচিত সন্তানের ওপর নজর রাখা। তারা যখন নিজের বন্ধুদের বা অন্য কোনও ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবে, তখন অভিভাবকদের নজরে রাখতে হবে যে, তাদের ব্যবহারে কোনও ব্যাকুলতা বা ভয় চোখে পড়ছে কী না।
কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হলে, অভিভাবকদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু বাচ্চাদের এখনও করোনা প্রতিষেধক নেই, তাই কম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ঘুরতে যান। আবার ভিড় এয়ারপোর্টের তুলনায় গাড়িতে করে যাওয়া যায় এমন স্থানে ঘুরতে যাওয়া অনেক ভালো। তবে দূরে কোথাও যেতে হলে, ডিরেক্ট ফ্লাইটের ওপর জোর দিতে হবে। জনবহুল রিসর্টের তুলনায় লজিং, ক্যা
সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য
করোনার প্রভাবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনও বাচ্চাদের প্রভাবিত করছে। কিছু কিছু বাচ্চাদের মধ্যে ফুড ইনসিকিওরিটি দেখা যাচ্ছে, এটি ভয়াবহ। স্কুল এমন একটি স্থান, যেখানে বাচ্চারা দিনের একবারের খাবার খায়। কিন্তু লকডাউন ও নানা কারণে বাচ্চারা বাড়িতেই থাকছে। এর ফলে যখন খুশি স্ন্যাক্স বা ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খেয়ে নিচ্ছে। এর ফলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ওজন বাড়তে দেখা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে আউটডোর অ্যাক্টিভিটির অভাব এবং বাড়িতে থেকে চিনি, স্ন্যাক্স, অবসাদ এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে বাচ্চারা ততটা সুস্থ থাকছে না, যতটা তাঁদের থাকা উচিত। এর জন্য তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবারের জন্য উৎসাহিত করা উচিত। তাই ফল, সবজি, লিন প্রোটিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল তাদের খাদ্য তালিকায় থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা পরিমিত আহারের ওপর জোর দিচ্ছেন। কোনও খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে বা বাদ দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরির পরিবর্তে খাবারের পরিমাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মনে করেন তাঁরা।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-21 14:15:37
Source link
Leave a Reply