হাইলাইটস
- আপনি ছাপোষা মধ্যবিত্ত। নামী-দামি কফি শপে গেছেন। হয়তো ডে-ডেট।
- মেনু চার্ট দেখলেন। ভ্রু দুটো হাফ ইঞ্চি উপরে তুললেন।
- তারপর সঙ্গিনীকে বললেন তোমার যেটা পছন্দ সেটাই অর্ডার কর।
- স্মার্ট সঙ্গিনী ভয়ানক মার্কিনি ইংরিজি উচ্চারণে যে কটা নাম বলল সেটা এক নাগারে উচ্চারণ করতে গিয়ে জিভে প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার জোগাড়।
সত্যি বলতে কি আজকের প্রজন্মের একটা বড় অংশ বড্ড ট্যাশ হয়ে উঠলেও আরেকটা ভাগ কিন্তু ছা-পোষাই থেকে গেছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, টাকা-পয়সা, স্টেটাস সবই আছে, কিন্তু কায়দাবাজিটা এখনও শেখা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে কায়দাবাজিটাও আজকাল শেখা প্রয়োজন। তাই কফিশপের মেনু চার্টে কফির ভ্যারাইটি দেখে চোখ কপালে না তুলে ধীরে ধীরে সে সব নিয়ে একটু চর্চা করে ফেলতে পারেন।
কফি দু রকমের হয়। ঠান্ডা এবং গরম। গরম কফির সবচেয়ে সহজ রেসিপি কম বেশি প্রত্যেক বাড়িতেই হয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে। কিন্তু ঠান্ডা কফির সঙ্গে আরও কেমন যেন দূরত্ব থেকে গেছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন শুনতে ঠান্ডা মনে হলেও এটি কিন্তু অতি সুস্বাদু ঠান্ডা পানীয়। আর গরমকালে এই পানীয় আপনার মন-প্রাণ শীতল করে দেবে।
কফি শপে গেলে যে দুটো কমন কফির নাম উঠে আসে তা হল আইসড্ কফি এবং কোল্ড-ব্রিউ। এগুলিরও আবার ভ্যারাইটি আছে। যেমন জাপানিস স্টাইলের পোর-ওভার্স (pour-overs), আইসড্ অ্যামেরিকানোজ্ ইত্যাদি ইত্যাদি।একে একে বরং আসা যাক।
প্রথমেই ধরে নেওয়া যাক আইসড্ কফির কথা। ঠান্ডা কফির উপর বরফ দিয়ে তৈরি হয় এই কফি। তৈরি করা বেশ সহজ। কফিটি সামান্য ঘন হতে হবে। ওপরের বরফ কুচি ধীরে ধীরে গলে কফির মধ্যে মিশবে। আর আপনি স্ট্র দিয়ে অল্প অল্প করে মুখের ভিতর তা টেনে নেবেন। আইসড্ কফির আবার অনেক ভ্যারাইটি আছে। সেগুলির স্বাদও একেক রকম। তৈরির পদ্ধতিও একেকরকম। এবং এগুলির স্বাদ নির্ভর করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে প্রচলিত স্বাদের উপর। আর কফি বিশেষজ্ঞরা নিত্যদিন নতুন ধরনের স্বাদের কফির রেসিপি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। যতদিন যাবে ততই দেখবেন কফির স্বাদের ভ্যারাইটি আসবে।
তবে এখন যে সমস্ত কফি কফিশপ গুলিতে বেশ জনপ্রিয় তাদের মধ্যে আছে ড্রিপ (Drip), আইসড্ অ্যামেরিকানো (Iced Americano), পোর ওভার (Pour-over)।
ড্রিপ (Drip) : ঘন করে তৈরি করা গরম কফি সরাসরি বরফে দিয়ে সেটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা করতে হয়। তারপর সেটিকে রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজে। যদিও এর সঠিক পদ্ধতি এক্সপার্টরাই জানেন। কফিতে চিনি মেশানোর কাজটা নাকি পুরোপুরি সিক্রেট। ঠিক সময়ে কতটা পরিমাণ চিনি মেশানো হবে তার উপর নির্ভর করে কফির স্বাদ।
আইসড্ অ্যামেরিকানো (Iced Americano) : ঠান্ডা জলের উপর এক্সপ্রেসো শট দিয়ে তার উপর বরফের কুচি ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে আইসড্ অ্যামেরিকানো (Iced Americano)। এক্সপ্রেসোটি হতে হবে খুব ঘন।
পোর-ওভার (Pour-over) : জাপানের কফিশপ গুলির সবচেয়ে জনপ্রিয় কফি হল পোর-ওভার। খুব কমন কফি হলে এটি সেখানকার স্পেশাল কফি-রেসিপি। একটি পার্টে বরফ রেখে তার উপর দেওয়া হয় গরম জল। মেশানো হয কফি। এই কফি দু-চার দিন প্রিজার্ভ করেও রাখা যায়। এক্ষেত্রে একটু পুরোনো কফি বিনের ব্যবহারের প্রচলন আছে।
এবার আসা যাক কোল্ড-ব্রিউ-এর কথায়। কোল্ড-ব্রিউ কফি বানাতে আবার গরম বা তাের প্রয়োজন হয় না। এবং এটি তৈরি করা বেশ সময় সাপেক্ষ। সাবেকি নিয়ম আনুযায়ী কোল্ড-ব্রিউ তৈরি করতে গেলে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা জলে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর সেটি পাতলা কাপড়, ছাঁকনি বা ফিল্টার পেপারে ছেঁকে নিতে হবে। এবং এটি বেশ সময় সাপেক্ষে। পছন্দ মতো ফ্লেবার যোগ করা হয়। এগুলির মধ্যে চকোলেট ফ্লেবার সবচেয়ে জনপ্রিয়। তারপরের নিয়মগুলি মেনে রেসিপি তৈরি করা বাড়র কম্ম নয়। এর জন্য নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতি লাগে। তাই কোল্ড-ব্রিউ খেতে গেলে কফিশপে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-20 15:46:32
Source link
Leave a Reply