হাইলাইটস
- আধুনিক মনোবিদরা বলছে যে, মন ভালো রাখতে
- বন্ধুবান্ধব-স্বজন-পরিজনদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠুন।
- আর সঙ্গে খানিকটা নিন্দা-চর্চা হলে ক্ষতি নেই
কিন্তু বাস্তবটা অন্যরকম। বাঙালি একা নয় গল্প-গুজব-আড্ডা এবং বিশেষ করে পরনিন্দা পরচর্চা বিশ্বের সমস্ত জাতীর কাছেই জনপ্রিয়। এবং বিশ্বে কম করে ১৪ শতাংশ মানুষ নাকি প্রতিদিন পরনিন্দা পরচর্চা করে মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।
*আধুনিক মনোবিদরা বলছে যে, মন ভালো রাখতে বন্ধুবান্ধব-স্বজন-পরিজনদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠুন। আর সঙ্গে খানিকটা নিন্দা-চর্চা হলে ক্ষতি নেই। হাজার হোক আপনি তো আর প্লেটো, সক্রেটিস, রবীন্দ্রনাথ নন যে আড্ডা দেওয়ার সময় কঠিন কঠিন আলোচনা করবেন!
*লোকে যাই বলুক না কেন বিশেজ্ঞদের মতে, প্রাণ খুলে আড্ডা দিলে এবং নিন্দা-রর্চা করলে মন ভালো থাকে।
*আজকের ভার্চুয়াল যুগে কারও সঙ্গে সামনা সামনি PNPC করার সুযোগ পেলে তো সোনায় সোহাগা।
*আসলে PNPC করার আগ্রহ যে কোনও মানুষের মধ্যেই প্রবল। তবে আগেকার দিনে তো গোল করে বসে নিন্দা-চর্চার রীতিমতো সভা হত। সঙ্গে চা, মুড়ি, পান, সিগারেট।
*আজকের ব্যস্ততার যুগে মানুষের হাতে সময় নেই। ভার্চুয়াল লাইফকেই নিজের সঙ্গী করতে বাধ্য হযেছে সে। কিন্তু তার মধ্যেও যদি সামান্য PNPC করার সুযোগ কেউ পান তার সদ্ব্যবহার করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি এমন একটি জিনিস যা একবার শুরু করলে সহজে থামানো যায় না। ফলে সামাজিকভাবে মানুষজনের মেলামেশা বাড়ে।
*পরনিন্দা পরচর্চা করলে নিজের মনের হতাশা অনেকটা কমে।
*আলোচনার সময় অন্যের উন্নতিতে হিংসা করতে গিয়ে অনেকেই প্রতিযোগিতায় নেমে নিজের উন্নতি করে ফেলেন।
*বাস্তবে দেখা গেছে যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরনিন্দা পরচর্চা কখনও ক্ষতিকর হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তাঁদের আলোচনা কাউকে কষ্ট দেয় না। যদিও ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রের ফলাফল নেতিবাচক।
*হাস্যকর শোনালেও আজকের দিনে গল্প-আড্ডা-নিন্দা-চর্চা সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করতে সাহায্যে করে।
*নিন্দা-চর্চা স্ট্রেস, উদ্বেগ, হতাশাকে অনেকাংশে কম করে দেয়।
*সমীক্ষা বলে মহিলারা গসিপ-দোষে দুষ্ট বলে প্রচারিত হলেও বিশ্বজুড়ে পুরুষ নিন্দাবাজের সংখ্যাই নাকি বেশি।
*অনেক সময় নিন্দার আড়ালে লোকের সাহায্যও হয়ে যায়। দেখা গেল গসিপের মাঝে কারও জোরালো সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ব্যক্তি তা শুনে ফেললেন। এবং নিজের দোষ ত্রুটি কাটানোর চেষ্টা করলেন।
*অন্যের নিন্দা শুনে কোনও ব্যক্তি নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনলেন।
*মজার কথা হল “গসিপ পছন্দ করিনা” বলে যাঁরা গলা ফাটান তাঁরাই কিন্তু নিন্দুকের সমালোচনায় মুখ হয়ে ওঠেন। এও এক অন্য ধরনের মজা।
*তবে হ্যাঁ, নিন্দা করতে করতে তার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই বিপদ। সারাদিন বউমার নিন্দা করে বেড়ালে বউমার কাছ থেকেও সম্মান এবং আদর পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
*সহকর্মীদেরর নিন্দা করতে করতে করতে নিজেই যে কখন তাঁদের নিন্দা পাত্র হযে দাঁড়াবেন ধরতে পারবেন না।
*প্রশাসনের গঠনমূলক নিন্দা কিন্তু আখেরে উপকারী। অবশ্যে সেক্ষেত্রে প্রশাসন যদি বুদ্ধিমান হয়।
*নিন্দা-চর্চা না করলে শিল্পকাজ পরিপূর্ণ হয় না। একটা সিনেমা বা নাটক দেখার পর সমালোচনা না হলে পরিচালকও হতাশ হয়ে ওঠেন। যদিও সেই সমালোচনা ইতিবাচক বা নেতি দুইই হতে পারে।
*রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর সামান্য নিন্দা-মন্দ না শুনতে পরের বার ভালো নম্বর পাওয়া শক্ত।
*ফুচকা খেতে গিয়ে আলুর পুরের একটু নিন্দা করুন, দেখবেন পরের বার আপনাকে দেখে আরও সুস্বাদু করে পুর মাখছেন ফুচকাওয়ালা।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-18 15:21:14
Source link
Leave a Reply