নয়াদিল্লি: মা মাসে SARS-CoV-2 ভাইরাসের B.1.617.2 স্ট্রেনকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (Delta variant) নাম দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পিছয়ে দায়ী ছিল এই স্ট্রেন। কিন্তু এখন এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরও রূপান্তর ঘটেছে। বিজ্ঞানীরা এর নতুন নামকরণ করেছেন ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) বা AY.1 ভ্যারিয়েন্ট।
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল ট্রিটমেন্টের (monoclonal antibody cocktail treatment) বিরুদ্ধেও টিকে থাকতে সক্ষম। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সম্প্রতি মান্যতা দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (Central Drugs Standard Control Organisation বা CDSCO)। এক জিনোনেম সিকোয়েন্সিং (genomic sequencing) বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ডেল্টার (B.1.617.2) এই সিকোয়েন্সের স্পাইক মিউটেশন K417N পাওয়া যেতে পারে GISAID-এর মধ্যে। এখনও পর্যন্ত ১০টি দেশে এই জিনোনেম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এই সিকোয়েন্স সম্প্রতি নতুন বংশোবিস্তার করেছে যেটি হল AY.1 (B.1.617.2.1)। এটি ডেল্টারই বংশের ভাইরাস (sublineage)। K417N হল এমন একটি মিউটেশন যা বিটা ভ্যারিয়েন্টের (B.1.351) মধ্যেও পাওয়া যায়।
পাব্লিক হেল্থ ইংল্যান্ড তার সাম্প্রতিকতম তথ্যে জানিয়েছে, ৭ জুন পর্যন্ত ভারতে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ৬টি জিনোমের (genomes) মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য সংস্থা এও জানিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ৬৩টি জিনোম রয়েছে যার মধ্যে নতুন K417N মিউটেশন উপস্থিত। দিল্লির CSIR এবং ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির (IGIB) এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, দ্রত সংক্রমিত হওয়া ভ্য়ারিয়েন্ট B.1.617.2.1, যা AY.1 হিসেবে পরিচিত, সেখানে K417N মিউটেশন রয়েছে। এর জন্য SARS-COV-2 ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনই দায়ী। এটি হল সেই স্পাইক প্রোটিন যা মানুষের কোষে প্রবেশ করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায়। যদিও বর্তমানে ভারতে K417N খুব বেশি ছড়ায়নি। বরং ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকাতে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের কোনও রোগী এখনও ভ্রমণ করেছে বলেও খবর আসেনি। প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল এবং সুইজারল্যান্ডের মতো ভারত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই সিকোয়েন্সেরগুলি খবর পাওয়া যাচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-06-15 07:57:07
Source link
Leave a Reply