গ্রামের এক সহজ-সরল মেয়ে। কারখানার স্বল্প আয়ের এক শ্রমিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সংসারে অভাব পিছু ছাড়ে না। ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়। এ কাজের জন্য স্বামী তাঁকে ব্যবহার করেন। জীবনের স্বপ্নগুলো ভেঙে যায়। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিদেশে যেতে চান। মা-বাবাও তাতে সম্মতি দেন। উচ্চহারে সুদের টাকা নিয়ে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে গৃহপরিচারিকার কাজে বাহরাইন যান।
বিধাতা সেখানেও বাদ সাধে। শুরু হয় স্বপ্নভঙ্গের আরেক অধ্যায়। বাহরাইনে এক পরিবারে কাজ পান তিনি। প্রতিদিন তাঁকে ভয়ানক সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। সামান্য ভুলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার, এমনকি গৃহকর্তার শারীরিক মিলন নিপীড়নের হাত থেকেও রেহাই পান না তিনি। নিজের অসহায়ত্বের কথা ভেবে সব মেনে নেন। কেননা ধারের টাকা শোধ না করে তো দেশেও ফিরতে পারবেন না। এ বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় এক বাংলাদেশি নারীশ্রমিকের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তাঁকে নতুন কাজের আশ্বাস দেন তিনি। মেয়েটি তাঁর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিছুদিন পর বুঝতে পারেন, ওই মহিলা দালালের কাছে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে নানা নির্যাতন ও ঘটনার পর এক গাড়িচালকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁরা শূন্য হাতে দেশে ফিরে আসেন।
এ ঘটনাটি কোনো বানানো গল্প নয়। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ‘এইচআইভি ভ্যালনেরাবিলিটিস অব মাইগ্র্যান্ট উইমেন ফ্রম এশিয়া টু দ্য আরব স্টেটস’ তথ্য সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, এমনই এক বাংলাদেশি নারীশ্রমিকের প্রতারিত হওয়ার গল্প।
প্রায় নয় মাস ধরে ৫০০ সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে একটি মানসম্মত গবেষণা করা হয়, যেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কার অভিবাসী নারীশ্রমিক ও যেসব দেশে তারা যান সেসব আমন্ত্রিত দেশের (বাহরাইন, লেবানন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শ্রম ও জনশক্তি অধিদপ্তর, দূতাবাসের কর্মকর্তা, রিক্রুট এজেন্সি ও সেবা প্রদানকারীদের উন্মুক্ত আলোচনা ও তথ্যমূলক সাক্ষাত্কার স্থান পায়—যাতে জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া ৭৫ শতাংশ নারীশ্রমিক শারীরিক নির্যাতনের ও ২০ শতাংশ নারীশ্রমিক শারীরিক মিলন নিপীড়নের শিকার হন। এ সমীক্ষার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এশিয়ার নারী অভিবাসীরা স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য নিজ দেশে এবং বাইরের দেশগুলোতে কাজ করছেন। তাঁরা প্রায়ই অনিশ্চিত অবস্থা, কঠিন বাস্তবতা, শারীরিক মিলন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন। তাঁদের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সীমিত আকারে থাকে। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা না থাকার কারণে এইচআইভির দিকে তাঁরা ব্যাপকভাবে ধাবিত হচ্ছেন।
প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য বিষয়:
১. সীমিত প্রস্তুতি, তথ্যের ও চাকরির অপর্যাপ্ততা নারীদের এইচআইভি ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়।
২. অন্যান্য অভিবাসীর মতো গৃহপরিচারিকাদের কারও শরীরে কোনোভাবে এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হলে তাঁকে তত্ক্ষণাত্ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
৩. কাজের আগে এইচআইভি পরীক্ষা করা খুব কমসংখ্যক গৃহপরিচারিকারা অফিসের কর্মচারীর মর্যাদা পান। কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারগুলো এ ক্ষেত্রে মানা হয় না। কারণ তাঁদের কাজ শ্রমিক আইন দ্বারা সমর্থিত নয়।
৪. বেতনের তুলনায় অত্যধিক কাজের চাপ, কম মজুরি বা বেতন না পাওয়া—এমন অভিযোগ অহরহই পাওয়া যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যাঁরা কঠিন শর্ত মেনে বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁরা পৌঁছানো মাত্রই অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হন, যা তাঁদের আরও বেশি বিপদে ফেলে দেয়।
৫. বিদেশের মাটিতে অভিবাসীদের দুর্দশা লাঘবে কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিবাসীদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে তারা যথেষ্ট উত্সাহ দেখায় না।
৬. যখন দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো থাকে এবং এ ধরনের কাজ করার ব্যাপারে চুক্তি থাকে, তখন অভিবাসী নারীশ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি হয়।
৭. স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার, এইচআইভি পজিটিভদের জন্য কাউন্সেলিং এবং ভিন্ন কোনো জীবনধারায় যাওয়ার জন্য খুবই কম অথবা কোনো সহায়তাই পান না বিদেশফেরত এইচআইভি পজিটিভ অভিবাসীরা। যাঁরা অল্পশিক্ষিত এবংদালালের মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁরা নানাভাবে প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার হন।
বাংলাদেশ শ্রম ও জনশক্তি প্রশিক্ষণ অধিদপ্তরের (বিএসইটি) তথ্য অনুসারে, ১৯৭৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৫২ জন বাংলাদেশি শ্রমিক স্বল্প মেয়াদে বিদেশে অবস্থান করছেন। শুধু ২০০৭ সালে ৮৩ লাখ দুই হাজার ৬০৯ জন বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন। তাঁরা ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ১৮ হাজার মহিলা বাংলাদেশ থেকে অভিগমন করেছেন। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে প্রায় ১৪ হাজার মহিলা বিদেশে গমন করেছেন। তুলনামূলকভাবে বর্তমানে অভিবাসিত নারীশ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বেশির ভাগই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে গমন করেছেন।
বাংলাদেশে এই গবেষণায় ১২৫ জন ফেরত আসা অভিবাসী নারীশ্রমিকের সাক্ষাত্কার সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সমীক্ষার আমন্ত্রিত দেশগুলোর মধ্যে ৫৩ জন গৃহস্থালির কাজে নিযুক্ত নারীশ্রমিকের কথা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন বাহরাইন, ১৫ জন দুবাই এবং ২০ জন লেবাননে কাজ করেন। এর বাইরে ১৭ জন নারী পোশাক শিল্প, হোটেলের শারীরিক মিলনকর্মী ও নাইট ক্লাবের কর্মী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে জানা যায়, ৪৫ জন পুরুষ অভিগমনকারী, যাঁরা তাঁদের (নারী) প্রেমিক অথবা শারীরিক মিলনকর্মীদের দালাল হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
‘গ্লোবাল নমুনা পদ্ধতি’ অনুযায়ী, উন্মুক্ত দলীয় আলোচনার মাধ্যমে অংশ নেওয়াদের চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা প্রশিক্ষিত হন। এ কর্মসূচিতে ফেরত আসা নারীদের তাঁদের কাজের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়। যেমন কোন দেশে কত দিন কাজ করত, কাজের ধরন, আয় ও ভৌগোলিক ধরন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ যায় কোনো মধ্যস্থতাকারী দালাল, আত্মীয় বা অন্য কোনো মাধ্যমে। সেখানে তাঁরা যে কাজ করবেন তাঁর কোনো যথাযথ প্রক্রিয়া থাকে না। এ সমীক্ষা থেকে ৭৬২টি রিক্রুট এজেন্সির কথা জানা যায়। অনেক ছোট এজেন্সি দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যারা বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করে। কিন্তু তাদের কোনো রেকর্ড নেই। ন্যূনতম মানও নেই। মাত্র নয় শতাংশ লোক যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশ যান। এ ছাড়া তাঁরা যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, এও জানা গেছে। এমনকি নিরাপদ শারীরিক মিলন, এইচআইভি সম্পর্কে তাঁদের ন্যূনতম কোনো ধারণা নেই, তাও জানা যায়। বাংলাদেশের ৯৬ শতাংশ গৃহস্থালির কাজে নিযুক্ত লোক বিদেশ যাওয়ার আগে এইচআইভি সম্পর্কে কোনো প্রশিক্ষণ নেন না।
সুপারিশ
১. বিদেশে যাওয়ার আগে ও পরে অভিবাসী নারীশ্রমিকদের অভিবাসনসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও এইচআইভি প্রতিরোধক কার্যকর ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা ইতিপূর্বে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের যথাযথ চিকিত্সা, আইনি সহায়তা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
২. অভিবাসী নারীশ্রমিকদের স্বাস্থ্য, অধিকার রক্ষা ও তাঁদের কল্যাণার্থে আন্তআঞ্চলিক আলোচনা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে একক উদ্যোগ, দুই দেশের বেসরকারি সংস্থা, সহায়তা ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৩. অভিবাসনের প্রতিটি স্তরে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। অভিবাসনসংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে এসব শ্রমিকের মধ্যে এইচআইভি ইস্যু জোরদারভাবে সংযুক্ত করতে হবে, যা নিয়োগ-পরবর্তী পর্যায় পর্যন্ত তা সুরক্ষিত রাখে।
৪. ভাড়াটে প্রতিনিধি, চাকরিদাতাদের কালো তালিকা তৈরি ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং তা সব অভিবাসী, প্রতিনিধি, দূতাবাস ও সরকারের মধ্যে আদান-প্রদান করতে হবে। অভিবাসী নারী শ্রমিকদের জীবনের অনিশ্চয়তা, তাঁদের অধিকার, এইসব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি সংশ্লিষ্ট মানুষ এবংবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।
মাজেদা হক
প্রধান কর্মসূচি বিশ্লেষক ও লোকাল প্রোভার্টি রিডাকশন ক্লাস্টার
ইউএনডিপি
এ তথ্য সমীক্ষায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এ সমস্যা সমাধানযোগ্য। বিশ্বের সব নারীশ্রমিকের তথ্য এখানে নেই। তাঁদের উপার্জনের ওপর এ দেশের অর্থনীতি অনেকখানি নির্ভরশীল। সুতরাং দেশেরও দায়িত্ব আছে তাঁদের প্রতি। সঠিক উপায়ে তাঁদের বিদেশে পাঠাতে হবে। জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে। শর্তসাপেক্ষে নিয়মনীতির মাধ্যমে দুই দেশের রাজনৈতিক আলোচনায় এসব বিষয় উত্থাপন করা উচিত। বিদেশে নারীশ্রমিকের জন্য সেবাকেন্দ্র খোলা উচিত। দূতাবাস, সরকার সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এইডস সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। বিদেশে যাওয়ার আগে এসব বিষয়ে তাঁকে সম্যক ধারণা দিতে হবে। সচেতনতামূলক প্রচারণা দেশের আনাচ-কানাচে গড়ে তুলতে হবে।
তাসনিম সিদ্দিকী
অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
আমার মতামত ইউএনডিপির তথ্যের ভিত্তিতে নয়। কেননা এসব প্রতিবেদনে অনেক সময় দাতাদেশগুলোর প্রভাব থাকে। দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসন নিয়ে কাজ করছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। প্রবাসী নারীশ্রমিকের শারীরিক নির্যাতন বা শারীরিক মিলন নিপীড়ন প্রতিরোধে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের বিদেশে যাওয়ার পথ আরও সুুগম করে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ওই দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সরকারের একটি চুক্তি হওয়া প্রয়োজন, যাতে করে দূতাবাসের দায়িত্বে এসব শ্রমিক থাকেন। যাঁরা বিভিন্ন জনশক্তি এজেন্সির মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতারণার শিকার হন, তাঁরাও দূতাবাসের দায়িত্বে থাকবেন। যাওয়ার আগে অবশ্যই দেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। দেশের ৬৪টি জেলায় এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ প্রশিক্ষণ দীর্ঘমেয়াদি না করে ১৫ দিনের হতে পারে। বিদেশের মাটিতে নিজেকে এসব নির্যাতন থেকে প্রতিরোধের উপায় শেখাতে হবে।
এ ছাড়া সরকারকে দূতাবাসের সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে, যাতে তারা ছুটির দিনগুলোতে ওসব নারীশ্রমিককে নিয়ে সভার আয়োজন করে। তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে ফলোআপ করতে হবে। সরকার দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। যেন প্রবাসী এসব নারীশ্রমিকের জন্য কোনো আশ্রয়কেন্দ্র বা সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। যেকোনো সমস্যায় তাঁরা যেন কথা বলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সরকার, দূতাবাস ও প্রবাসীদের সহায়তায় সামাজিক কল্যাণ কাঠামো তৈরি করতে হবে। এ জন্য সরকারকে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে এ বিষয়ে।
সালমা আলী
নির্বাহীপরিচালক
জাতীয়মহিলা আইনজীবী সমিতি
মেয়েরা দেশে-বিদেশে কোনো না কোনোভাবে নিপীড়নের শিকার। তাই এ বিষয়টি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। সরকার, রিক্রুট এজেন্ট, জনশক্তি বিভাগ ও প্রবাসী সরকারকে এ বিষয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। কারণ আমরা নিরাপদ অভিবাসন চাই। ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট, ভিসা থেকে শুরু করে প্লেনে ওঠার আগ পর্যন্ত তা সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকবে।
অনেকেই নিয়মকানুন না জেনেই বিদেশে গমন করে আইনি জটিলতায় পড়েন। এতে তাঁদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে আইনসম্মতভাবে অবাধ পরিভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
শিরীন আখতার
সভাপতি, কর্মজীবী নারী
পৃথিবীজুড়ে মেয়েদের কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে বা যেসব দেশে আইন আছে, তা অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে দূতাবাসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শ্রমসংক্রান্ত আইন থাকতে হবে। নিরাপদ অভিবাসন ও কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আর এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত। তদন্ত করা উচিত। ওসব দেশের সঙ্গে সরকারকে এসব অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২৩, ২০০৯
Leave a Reply