হাইলাইটস
- বোতলে দুধ পান করার বয়স পেরিয়ে গেলে তাঁদের কাপের সাহায্যে দুধ পান করানোর অভ্যাস করুন।
- বোতল ভালো করে ধুয়ে তাতে দুধ ভরুন। যাতে কোনও ব্যাক্টিরিয়া এতে প্রবেশ করতে না-পারে।
আপনারা কী জানেন বোতলে দুধ পান করানোর ফলে নানান ক্ষতিও হতে পারে? অন্তত পক্ষে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ শিশুর স্বাস্থ্যোপযোগী। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোতল দিয়ে দুধ পান করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বোতলের সাহায্যে দুধ পান করানোর কুফল সম্পর্কে জেনে নিন—
ডায়েরিয়ার ঝুঁকি থেকে যায়
বোতল দিয়ে দুধ পান করালে শিশুর ডায়েরিয়া হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। বোতলের নিপ্পলের সাহায্যে শরীরের ভিতরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। এখানে মাইক্রোঅর্গ্যানিজম আটকে গিয়ে দুধ পানের সময় শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কম ওজন বা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে ডায়েরিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বোতলে দুধ পান করানো যত সম্ভব কম করা উচিত।
মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করে যেতে পারে
বাচ্চাদের দুধ পান করানোর বোতল পলিপ্রোনিল দিয়ে বানানো হয়। বোতলের নিপ্পলও পলিপ্রোনিল দিয়ে তৈরি। এটি এক ধরণের থার্মোপ্লাস্টিক পলিমার। ২০২০ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী এই বোতলগুলি দিয়ে শিশুদের দুধ পান করালে মাইক্রোপ্লাস্টিক এক্সপোজারের আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষত বোতলে গরম দুধ দিলে এর থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিকের সূক্ষ্ম অংশ বেরোতে থাকে। শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য এই মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলি ক্ষতিকর। এর ফলে শিশুর বেড়ে ওঠার গতি কমে যায়।
পুষ্টির অভাব
মায়ের দুধে নানান পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য জরুরি। মায়ের দুধ থেকে শিশু প্রাকৃতিক উপায় ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে বাজারজাত গুঁড়ো দুধে এই পুষ্টিকর উপাদানগুলি যথাযথ পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। পুষ্টিকর উপাদান কম থাকায় অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফুসফুসে সমস্যা
বোতলে দুধ পান করালে চোকিংয়ের আশঙ্কা থেকে যেতে পারে। অনেক সময় দুধ পান করতে করতে শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে এবং দুধ ভরতি বোতল মুখের মধ্যেই লেগে থাকে। সে সময় দুধ গলায় আটকে গিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্লক করে দিতে পারে। ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি ফুসফুসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নানান সমস্যার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তাই বোতল দিয়ে দুধ পান করালে বাচ্চার আশপাশে থাকবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হতে পারে
মাতৃদুগ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদান যেমন- ভিটামিন এ, সি ও প্রোটিন থাকে। অন্য দিকে বোতলের দুধে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা পুষ্টিকর উপাদান শোষন করার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
যে যে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে
১. বোতলে দুধ পান করার বয়স পেরিয়ে গেলে তাঁদের কাপের সাহায্যে দুধ পান করানোর অভ্যাস করুন।
২. বোতল ভালো করে ধুয়ে তাতে দুধ ভরুন। যাতে কোনও ব্যাক্টিরিয়া এতে প্রবেশ করতে না-পারে।
৩. প্লাস্টিকের বোতলে বেশি গরম দুধ ঢালতে নেই। এর ফলে বাচ্চার স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
৪. ভেজা বোতলে জীবাণু ও ব্যাক্টিরিয়া বাসা বাঁধতে পারে, তাই বোতল ধোয়ার পর ভালোভাবে মুছে নিন।
৫. অনেকক্ষণ ধরে বোতলে রাখা দুধ বাচ্চাদের পান করতে দেবেন না।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-09 16:17:56
Source link
Leave a Reply