হাইলাইটস
- অনেক বাচ্চাই প্রস্রাব করে ঘুমোতে যায় না।
- ফলে তাদের মূত্রথলি ভরে থাকে এবং ঘুমে বাধা উৎপন্ন হয়।
- এটিও নাইট টেররের অন্যতম একটি কারণ।
নাইট টেরর কী?
ঘুমের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এটি হয়ে থাকে। অর্থাৎ তখনও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয় না শিশু। নাইট টেরের সময় শিশু আংশিক জেগে থাকে। এ সময় বাচ্চারা চেঁচিয়ে উঠতে পারে, কাঁদতে পারে। আবার ঘুমের মধ্যে হাত বা পা ছুড়তে শুরু করে দিতে পারে। এই সময় বাচ্চারা আংশিক জেগে থাকলেও, কোনও প্রতিক্রিয়া করে না। জেগে ওঠার পর তাঁদের কিছু মনে থাকে না।
নাইট টেররের কারণ
১. ভয়ঙ্কর কিছু দেখে নেওয়া বা খারাপ স্বপ্ন।
২. অবসাদ।
৩. ক্লান্তি।
৪. ওষুধের প্রভাবেও এমন হতে পারে।
৫. জ্বর বা শরীরের অধিক তাপমাত্রার কারণে মস্তিষ্কের কার্য প্রভাবিত হতে পারে। এর ফলে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না।
৬. অনেক বাচ্চাই প্রস্রাব করে ঘুমোতে যায় না। ফলে তাদের মূত্রথলি ভরে থাকে এবং ঘুমে বাধা উৎপন্ন হয়। এটিও নাইট টেররের অন্যতম একটি কারণ।
৭. বাইরের চেঁচামিচি বা আলোর প্রভাবেও বাচ্চাদের ঘুম নষ্ট হয়। এর ফলেও নাইট টেরর হতে পারে।
নাইট টেররের লক্ষণ
১. বিদ্ঘুটে ধরণের ভয় পাওয়া।
২. চেঁচামিচি করা এবং খুব বাজে ভাবে কাঁদা।
৩. শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি দ্রুত বৃদ্ধি এবং অত্যধিক ঘাম ঝরা।
৪. আক্রমণাত্মক হয়ে হাত, পা ছোড়া।
৫. চোখ খোলা থাকা সত্ত্বেও সকলকে উপেক্ষা করে যাওয়া।
৬. ঘুমের মধ্যে চলাফেরা করা।
নাইট টেরর থেকে কী ভাবে রক্ষা পেতে পারেন
১. অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাইট টেররের পরই বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ে। তবে এমন না-হলে তাঁদের জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না। কারণ সে সময় তাদের মস্তিষ্ক অস্থির থাকে, তাই জাগিয়ে রাখলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।
২. বাচ্চা চেঁচিয়ে উঠলে তাকে ধরে নিন, আদর করুন, নিশ্চিত করুন যে আপনি তার পাশে আছেন এবং সব কিছু ঠিক আছে। এর পর তাদের ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করুন।
৩. ঘুমানোর সময় শয়নকক্ষে হাল্কা আলো জ্বালিয়ে রাখুন।
৪. কক্ষের পরিবেশ শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
৫. ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাদের প্রস্রাব করাতে ভুলবেন না। এর ফলে মূত্রথলি ভরে থাকবে না এবং ঘুমে ব্যাঘাতও ঘটবে না।
৬. খালি পেটে বাচ্চাদের ঘুমাতে দেবেন না।
৭. ঘুমানোর একটি সময় নির্দিষ্ট রাখুন। বেড টাইম স্টোরি শোনাতে পারেন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-09 15:11:14
Source link
Leave a Reply