চা (৪৮ শতাংশ) ও কফি (৩৯ শতাংশ) ক্যাফিনের প্রধান উৎস। দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে কফি ও চায়ে উপস্থিত ক্যাফিনের সঙ্গে প্রতিকূল জন্ম ফলাফলের সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখা গিয়েছে। যাঁরা সবচেয়ে বেশি চা বা কফি পান করে থাকেন, তাঁদের নবজাতকের অস্বাভাবিক হারে কম ওজন এবং জন্মের সময় গর্ভকালীন বয়স কম থাকার ঝুঁকি দ্বিগুণ।
চা পানের পরিমাণ কী এবার সংশোধন করা উচিত?
বিশ্বের নানান দেশে ক্যাফিনের উল্লেখযোগ্য উৎস হল কফি (কাপ প্রতি প্রায় ১০০ এমজি), তবে চায়েও তাৎপর্যপূর্ণ পরিমাণে ক্যাফিনের (কাপ প্রতি প্রায় ৩৩ এমজি) উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
কফি ও চা রান্নার পদ্ধতি ক্যাফিনের পরিমাণকে প্রভাবিত করে। যেমন ব্রিউড কফিতে ক্যাফিনের পরিমাণ ইনস্ট্যান্ট কফির তুলনায় বেশি থাকে। আবার গ্রিন টি-র পরিবর্তে ব্ল্যাক টি-তেও ক্যাফিন বেশি পরিমাণে থাকে। আয়ারল্যান্ড এবং ইউকে-র মতো দেশে, যেখানে সর্বাধিক পরিমাণে ব্ল্যাক টি পান করা হয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমীক্ষার ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত।
গর্ভাবস্থার সময় কত পরিমাণে ক্যাফিন পান করা যেতে পারে, তা নানান দেশ ও স্বাস্থ্য সংগঠন ভেদে পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে ৩০০ এমজির কম পরিমাণে ক্যাফিন পানের পরামর্শ দেয়।
গর্ভবতী মহিলাদের কী ক্যাফিন গ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া উচিত?
কম ওজন এবং শিশুর কম গর্ভকালীন সময় ছাড়াও চা বা কফি পানের দুষ্প্রভাব দেখা গিয়েছে শিশু IQ লেভেলর ওপর। তবে এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা। ক্যাফিনের কারণেই এমন জন্মকালীন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে, তা এ ধরণের গবেষণা দৃঢ় ভাবে প্রমাণ করতে পারে না। তবে শুধু জানা যায় যে, ক্যাফিনের সঙ্গে এমন ফলাফলের যোগসূত্র রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
তবে যতদিন না কোনও শক্তপোক্ত প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন গর্ভাবস্থায় ক্যাফিন সেবন নিয়ন্ত্রণে রাখাই ভালো।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-08 15:08:36
Source link
Leave a Reply