হাইলাইটস
- দিব্যি ছিপছিপে সুন্দর চেহারা ছিল। সব পোশাকেই সুন্দর লাগত।
- কিন্তু বাধ সাধল করোনা। এই রোগের কবলে পড়ে চেহারার দফারফা।
- এদিকে খাওয়াদাওয়া নিয়ে বরাবরের খুঁতখুঁতে রয়েছে। কিছু খেলেই মনে হয় এই বুঝি ওজন বেড়ে গেল।
- কিন্তু তা বললে তো হবে না।
লকডাউনে ঘরেবসে অনেকেরই ওজন (weight) বাড়ছে, তাই ওয়েটলস (weight) করতে অনেকেই ব্যস্ত। বেশিরভাগ মানুষের মনে একই প্রশ্ন, ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি কখন খাওয়া উচিত।
ব্রেকফাস্ট না লাঞ্চ (breakfast or lunch)
প্রাতঃরাশে বা মধ্যাহ্নভোজনে আপনার কত ক্যালোরি (Calories)থাকা উচিত তা নির্ধারণ করার আগে আপনার প্রতিদিনের ক্যালোরির (Calories) প্রয়োজনীয়তা জানা দরকার। প্রত্যেক ব্যক্তির শরীর আলাদা। সুতরাং, প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ক্যালোরির চাহিদাও আলাদা। যা বিপাকের হার এবং প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপের উপর ভিত্তি করে।
প্রাতঃরাশ এবং মধ্যাহ্নভোজনের মধ্যে ক্যালোরির বিষয়টি আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্কআউট পরে পূর্ণ পেট খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে সক্রিয় থাকতে আপনার আরও ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে।
এক দিনে কতটা ক্যালোরি (Calories) খাওয়া উচিত?
ক্যালোরি গ্রহণ প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের উপর নির্ভর করে। তবে যদি কোনও ব্যক্তিকে প্রতিদিন ১২০০ ক্যালোরি নিতে হয়, তবে প্রাতঃরাশে এবং রাতের খাবারে ৩০০ ক্যালোরি নেওয়া ভালো। দুপুরের খাবারে ৪০০ ক্যালোরি নেওয়া যেতে পারে। বাকি ২০০ ক্যালোরিও স্ন্যাক্সে ভাগ করা যায়।
বিশেষক্ষদের মতে, যে সমস্ত মানুষ খুব সকালে ব্যায়াম করেন তাঁদের জীবনযাত্রা অনুযায়ী তাদের প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণের বিভাজন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওয়ার্কআউটের আগে ১০০ ক্যালরি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর পরে প্রাতঃরাশে ৪০০ ক্যালরি দরকার হবে। মধ্যাহ্নভোজন এবং রাতের খাবারে ৩০০ ক্যালোরি থাকতে পারে এবং স্ন্যাকসের জন্য বাকি ১০০ ক্যালরি থাকতে পারে।
প্রাতঃরাশ এড়িয়ে যাবেন না
ওজন হ্রাস করার জন্য (weight loss) বেশিরভাগ লোকজন সকালের খাবার এড়িয়ে যান। লোকেদের বিশ্বাস, প্রাতঃরাশের কাজ এড়িয়ে যাওয়া ক্যালোরি গ্রহণ কমাবে এবং ওজন হ্রাস ঘটায়। তবে আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এ জাতীয় চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। প্রাতঃরাশ প্রতিটি ব্যক্তির জন্য দিনের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার কখনই পরিত্যাগ করা উচিত নয়। এটি কিক-স্টার্ট বিপাককে সহায়তা করে এবং মেজাজ বাড়ায়। প্রাতঃরাশ খেয়ে আপনার পেট মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত পূর্ণ থাকে, যার ফলে আপনি অতিরিক্ত কিছু খাওয়া থেকে রক্ষা পান এবং ওজন বাড়বে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরের ভারী খাবার রাখা উচিত। আপনার প্রতিদিনের শক্তি ভারসাম্য, জীবনধারা এবং খাওয়ার ধরণগুলি মূল্যায়ন করুন। ওজন কমানোর জন্য খাবার এড়িয়ে চলা উচিত নয়। ওজন কমানোর (weight Loss) জন্য স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যযুক্ত খাদ্যের বিকল্প নেই।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-08 11:38:42
Source link
Leave a Reply