সময়টা শীত। বনে বনে পাতা ঝরার উত্সব। পাতা ঝরে গেলে গাছকে যেমন নিষ্প্রাণ লাগে, তেমনি ত্বকের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালুতে চলার ফলে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। তাই এ সময়টিতে ছেলেদের ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। হলিফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফজালুল করিম জানালেন, শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় চামড়া শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক ফেটে যাওয়া থেকে শুরু করে ত্বকে চুলকানিও হতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা জানা থাকলে এসব আর হবে না। প্রথমত, শীতকালে ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকে খসখসে ভাব কমে আসবে। গোসলের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। ফলে আর চুলকানিও হবে না এবং ত্বকও ফাটবে না। ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার সময় এসব লোশন মেখে বের হতে হবে। এতে ত্বকে সূর্যের তাপ লাগবে না। ত্বক বাইরের ধুলাবালু থেকেও রক্ষা পাবে। কোনো অবস্থায়ই শীতকালে বেশিক্ষণ রোদে থাকা উচিত নয়। এতে ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে অনেকের ঠোঁটও ফাটে। এই বাড়তি যন্ত্রণা এড়াতে ভালো মানের লিপজেল ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। এতে ঠোঁট ফাটবে না। শীতকালে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নিয়ে কথা বললেন পারসোনা হেয়ার অ্যাডামসের রূপসজ্জাশিল্পী দেলওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ছেলেদের ত্বককে স্বাভাবিক ও সজীব রাখতে হলে মালটা ও কমলার রস মুখে মাখা যেতে পারে। এরপর কিছুক্ষণ রেখে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। কিছুদিন নিয়মিত এটি করলে ত্বকের সজীবতা ফিরে আসবে। আর ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই-জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম-কুসুম গরম পানির ভাপ নিলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। এ ছাড়া এ সময় ত্বকের ফেসিয়াল করালে ত্বক সজীব থাকবে। অনেক সময় হাতে বা কনুইয়ে খসখসে ভাব হয়। এটি দূর করতে পানি আর গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে বা খসখসে স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে নিয়মিত যত্ন না করলে কিন্তু শীতে ত্বক ভালো রাখা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিনই একটু সময় করে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
মোছাব্বের রিবন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২২, ২০০৯
Leave a Reply