হাইলাইটস
- মোটা কাঁচের তৈরি এই সুইমিং পুল সবসময় জলে ভর্তি থাকে।
- সেখানে অনায়াসে সাঁতার কাটতে পারেন আট থেকে আশি।
ছোটোবেলায় এসব গল্প পড়তে পড়তে বা শুনতে শুনতে রূপকথার দেশে চলে যেত ছোট্টো মানুষটি। স্বপ্ন দেখতো যে জ্যোৎস্নার সমুদ্রে সাঁতার কেটে মেঘের দলকে ভেদ করে সে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা গায়ে জ্যোৎস্নার আলো মাখামাখি।
সেই সময় স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই স্বপ্ন ফিকে হতে থাকে। ক্রমশ মানুষ বুঝতে পারে যে বাস্তবে জ্যোৎস্না হল সূর্যের সেই আলো যা চাঁদের উপর পড়ে চাঁদকে আলোকিত করে।
বিজ্ঞানের এই গূঢ় সত্য জানার পরও কিন্তু কিছু মানুষ ছোটোবেলার স্বপ্নকে একেবারে ভুলে যায় না বরং বড় হয়ে সেই বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আকাশপথে সাঁতার দেওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবের রূপ নেয়।
গল্প হলেও সত্যি
এই যেমন লন্ডনের স্কাইপুলের কথাই ধরা যাক। আকাশের মধ্যে যেন ভেসে আছে প্রায় ২৫ মিটার দীর্ঘ এই পুলটি। গল্প নয়। একেবারে বাস্তব ঘটনা।
তাহলে এবার খোলসা করে বলি। বেজায় গরম পড়েছে। লকডাউনে ঘরবন্দি দশাও চলছে। তাহলে এই বেলা ভার্চুয়ালি বিদেশ থেকে ঘুরে আসা যাক।
লন্ডনের টেমস নদীর দক্ষিণ দিকে মার্কিন দূতাবাসের খুব কাছেই মাটি থেকে প্রায় ৩৫ মিটার উঁচুতে তৈরি করা হয়েছে একটি কাঁচের সুইমিং পুল। দাবি করা হচ্ছে যে এটিই বিশ্বের প্রথম স্কাই পুল।
জ্যোৎস্নার সমুদ্র
রূপকথার কল্পনার সঙ্গে এর সামান্য মিল আছে বটে। মোটা কাঁচের তৈরি এই সুইমিং পুল সবসময় জলে ভর্তি থাকে। সেখানে অনায়াসে সাঁতার কাটতে পারেন আট থেকে আশি। আর মাটি থেকে অনেক উপর খোলা আকাশের নীচে এই পুলে সাঁতার কাটার সময় মনে হবে যেন শূন্যে ভেসে আছেন। পুর্ণিমা রাতে মনে হবে জ্যোৎস্নার সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন। পুলটি এতটাই স্বচ্ছ যে নীচ দিয়ে লোকজন যাতায়াতেরক পথে উপর দিকে তাকালে পুলের মধ্যে সাঁতারুদের স্পষ্ট ভাসতে দেখতে পাবেন।
আকাশ পুকুরে ডুব
সম্প্রতি এই স্কাই পুলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বিবিসি। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী এম্বাসি গার্ডেনের বাসিন্দা হলেই এই আকাশে গড়ে ওঠা পুকুরে সাঁতার দিতে পারবেন যে কেউ। বাইরের পর্যটকদের জন্য অবশ্য দরজা বন্ধ। কীভাবে পুলটি তৈরি হল তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে অতি উন্নতমানের প্রযুক্তি যে ব্যবহৃত হয়েছে তা স্পষ্ট। বিশ্বের প্রথম স্কাই পুল, তাই একে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। হয়তো ভবিষ্যতে এরকম আরও পুল তৈরি হবে। এবং সেগুলিতে পর্যটকরা যাতায়াত করতে পারবেন।
গভীরে যাও
কিন্তু আপনি তো আপাতত ভার্চুয়ালি পুল দর্শক করছেন। তাহলে একটু কল্পনার ভেলায় ভাসা যাক। স্কাই পুলের ভিডিও দেখার পর শান্ত পরিবেশে স্থিরভাবে বসুন। চোখ বন্ধ করুন। কল্পনা করুন যে আকাশের বুকে ভেসে থাকা কাঁচের পুকুরে আপনি সাঁতার দিচ্ছেন। পূর্ণিমা রাত। জ্যোৎস্নার আলোয় পুকুরের স্বচ্ছ জল মাখামাখি। সেই আলো মেখে গেছে আপনার শরীরেও। হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে। আকাশে তারা জ্বলছে টিম টিম করে। আর জল কাটিয়ে আপনি এগিয়ে চলেছেন সোনার কাঠি রুপোর কাঠির খোঁজে। সেই কাঠি পেলেই রাজকন্যা আর অর্ধেক রাজত্ব আপনার হাতের মুঠোয়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-04 16:41:36
Source link
Leave a Reply