কেউ কেউ হয়ত চক্ষু চিকিৎসকের কাছে নাও যেতে পারেন, তবে একটি সংস্থা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ঘরে বসে রোগীরা যাতে নিজেরাই তাদের দৃষ্টি পরীক্ষা করতে পারেন, তার জন্য একটি উপায় খুঁজে বার করেছেন।এ বিষয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা টিনা ত্রিনহর প্রতিবেদন থেকে জয়তী দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন যে, মহামারীর সময় সারা বিশ্বের অনেক মানুষের পক্ষে ডাক্তারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে যোগাযোগ করাটা এক বিশেষ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আইকিউ নামে একটি সংস্থা রোগীদের তাদের বাড়িতে বসেই এই বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আইকিউ সংস্থার বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিবি ইউ বলেন, “সাশ্রয়ী মূল্যের, সহজেই চিকিৎসার জন্য অনুমোদন পাওয়া যাবে, এবং যোগ্য ও নির্ভুল দৃষ্টি পরীক্ষার উপর আমরা মনোনিবেশ করছি, যা আপনি আপনার স্মার্টফোনেই করতে পারবেন।” আইকিউ’র ভিশনচেক-টু এমন একটি যন্ত্র যা দিয়ে স্মার্টফোনের সাথে চোখের সব রকম পরীক্ষা করা সম্ভব। খুব কাছের অর্থাৎ নিকটবর্তী এবং দূরবর্তী বস্তুগুলি দেখার জন্য দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা ছাড়াও এটি আরও একটি পরীক্ষা করতে সক্ষম। চোখের সম্মুখভাগের লেন্সগুলি চোখের অভ্যন্তরে বক্ররেখা সৃষ্টির কারণে অনেক সময় আলোর রশ্মিগুলি সাধারণ ফোকাসে মিলিত হতে পারে না, এবং এরকম হওয়ার একটি সাধারণ লক্ষণ হ’ল অস্পষ্ট দৃষ্টি। এরকম সমস্যা হলে ভিশনচেক-টু এর সাহায্যে তা পরীক্ষা করা যেতে পারে।
ফিবি ইউ আরও বলেন “সুতরাং ভিশনচেক-টু আসলে আমাদের তৃতীয় প্রজন্মের রিফ্রাকটোমিটার অথবা প্রতিসরাঙ্ক মাপবার যন্ত্র, যা আপনাকে আপনার চোখের পাওয়ারের কতটা সংশোধন করতে হবে সেটা পরিমাপ করতে সহায়তা করবে, এবং আপনি এই ফলাফলগুলি ব্যবহার করে অনলাইনে চশমা অর্ডার করতে পারবেন।” এই মেশিনের সাহায্যে পর পর অনেকগুলি পরীক্ষার করার সময় ব্যবহারকারীদের দিগন্তের বিভিন্ন কোণে দুটি লাইন দেখানো হয়, এবং তারপর এই দুটি লাইন একে অপরের সঙ্গে না মেশা পর্যন্ত তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে ভিশনচেক-টু যন্ত্রটি ব্যবহার করে। ফিবি ইউ আরও বলেন, “এই ভিশনচেক-টু এমন একটি যন্ত্র যা এমআইটি অর্থাৎ ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি পেটেন্টযুক্ত প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং আইকিউ সংস্থার একচেটিয়াভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। পরীক্ষাটি মূলত আপনার চোখে কিছু আলোর রশ্মি প্রেরণ করবে এবং যে তথ্য পাওয়া যাবে তার বিশ্লেষণ করে পরিষ্কারভাবে দেখার জন্য অর্থাৎ আপনার দৃষ্টি শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য চশমার যে পাওয়ারের প্রয়োজন হবে, তাও নির্ণয় করা সম্ভব হবে।”
ফিবি ইউ বলেন, ভিশনচেত-টু কোনও চিকিৎসকের বিকল্প নয়। তিনি বলেন, “তবে পরিষ্কারভাবে দেখতে পাওয়ার জন্য নতুন চশমার পাওয়ার হালনাগাদ করার জন্য এটি আপনার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। মহামারীর কারণে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ, সুতরাং সংস্থাটি ব্যবসায় উন্নতি লক্ষ্য করছে। আইকিউ সংস্থার বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিবি ইউ বলেন, “মানুষ আরও বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র সন্ধান করতে আগ্রহী, অন্যান্য আরও সমাধান যা সাধারণভাবে তাদেরকে বাড়িতে বসে এইসব করতে আরও বেশি সুবিধা করে দেবে।” ফিবি ইউ বলছেন যে উন্নয়নশীল বিশ্বের মানুষদের জীবনে এই ধরণের যন্ত্রের এক বড় প্রভাব রয়েছে।তিনি আরও বলেন, “এমন মানুষ যাদের চোখের যত্নের জন্য ডাক্তারের কাছে যাবার ক্ষমতা নেই, অথবা যোগ্য ডাক্তারের অভাব রয়েছে, এমনকি যেখানে যেতে হবে, সেখানে তারা যেতেও পারেন না, সেই সব ক্ষেত্রে আমাদের মতো স্বল্প-ব্যয়যুক্ত সমাধান সত্যিই মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম।”
মহামারীটি চলতে থাকাকালীন, ঘরে বসে এই চোখের পরীক্ষা আরও বেশি সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক এবং দৃষ্টি পরীক্ষা করার জন্য একটি স্ব-ক্ষমতায়িত দৃষ্টিভঙ্গি।
স্বাস্থ্য – ভয়েস অব আমেরিকা
2021-06-03 20:29:01
Source link
Leave a Reply