হাইলাইটস
- ফ্রেঞ্চ কিসকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সেরা চুমু হিসেবেই ধরা হয়।
- এই চুমু খাওয়ার সময় একে অপরে মুখের ভিতর ঠোঁট, জিভ গভীরভাবে প্রবেশ করে।
- অনেক্ষণ সময় নিয়ে এই চুমু খেতে হয়
আসলে রিয়ার একটু পরিচ্ছন্নতার বাতিক আছে। মানে সাদা বাংলায় শুচিবায়ুতা। তার উপর রোগ ভোগকে ও বেজায় ভয় পায়। করোনার কারণে চুমু খাওয়া বেশকিছুদিন বন্ধ থাকলেও যেদিন থেকে লিভ ইন করতে শুরু করেছে সেদিন থেকেই হয়েছে বিপদ। প্রেমিক সবসময় সুযোগের সদ্ব্যবহার করে।
ওদিকে রিয়ার মাথায় ঘুরছে নানা আজগুবি কথা। এভাবে গভীরভাবে চুমু খেলে কি মুখের ভিতর কোনও রোগ হতে পারে? ফ্রেঞ্চ কিসের পর কতবার ব্রাশ করলে জীবাণুর হাত থেকে রেহাই মিলবে? যদি মুখে কোনও ঘা হয়?
রিয়ার মতো এসব প্রশ্ন কি আপনার মনেও জাগে? চুমুর মতো সুন্দর জিনিস নিয়েও কি আপনি সন্দেহ করেন? তাহলে তো যেচে পড়ে কিছু পরামর্শ দিতেই হয়।
মানুন বা না মানুন ফ্রেঞ্চ কিসকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সেরা চুমু হিসেবেই ধরা হয়। এই চুমু খাওয়ার সময় একে অপরে মুখের ভিতর ঠোঁট, জিভ গভীরভাবে প্রবেশ করে। অনেক্ষণ সময় নিয়ে এই চুমু খেতে হয়। এই চুমু খাওয়ার সময় শরীরে শিহরণ তো জাগেই সঙ্গে আবেগ বাড়তে থাকে প্রতি মুহূর্তে।
বলা বাহুল্য যে, গভীরভাবে চুমু খেতে গেলে একে অপরের লালারস আদান প্রদান হবেই। আর অনেকে এর থেকেই রোগের আশঙ্কা করে থাকেন।
শরীর ভালো থাকবে চুমুতে!
আপাত দৃষ্টিতে ফ্রেঞ্চ কিস থেকে রোগ সংক্রমণের কোনও ভয় থাকে না। বরং এতে মন ভালো হয়ে যায়।
তবে লালারস থেকে সরাসরি যে সমস্ত সংক্রমণ হয় দুজনের মধ্যে একজনের সেই রোগ থাকলে অপরজনের মধ্যে তা অনায়াসেই সংক্রমণ হয়ে যায়।
মুখের ইনফেকশন এবং সর্বোপরি করোনা সংক্রমণ হতে পারে ফ্রেঞ্চ কিস করলে।
ফ্রেঞ্চ কিস থেকে HPV সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। আর তা থেকে HIV বা হেপাটাইটিস বি-র মতো রোগ সংক্রমণের সামান্য সম্ভাবনাও থাকে। যেমন ধরুন কোনও সংক্রমিত রোগীকে চুমু খেতে গিয়ে দাঁতের কামড়ে উভয়ের ঠোঁটে কেটে গেলে সামান্য হলে রোগ সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যাঁদের OCD সমস্যা আছে তাঁরা ফ্রেঞ্চ কিসের পর উদ্বেগে ভোগেন।
দুজনের মধ্যে একজনের ফ্রেঞ্চ কিসে অনীহা থাকলে সম্পর্কে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে।
রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা না থাকলেও ফ্রেঞ্চ কিস করার সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন।
চুমু খাওয়ার আগে মুখের ভিতরের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সজাগ থাকুন।
মনে রাখবেন চুমু খাওয়ার সময় মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সঙ্গী হাতা ছাড়া হয়ে যেতে পারে।
মুখে ইনফেকশন থাকলে গাফিলতি না করে চিকিৎসা করান। চেষ্টা করুন মুখে রোগ সাড়িয়ে তারপর সঙ্গীকে চুমুকে ভরিয়ে তোলার।
ফ্রেঞ্চ কিস করার আগে এমন কিছু খাবেন না যা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
অনেকে চুমু খাওয়ার আগে মুঘে সুগন্ধি মুখশুদ্ধি খেয়ে নেন। তবে সমীক্ষা বলছে চুমুর সময় স্বাভাবিক মুখ থাকলেই সঙ্গী বা সঙ্গিনী স্বস্তি পান।
OCD-র সমস্যা থাকলেও চুমু খাওয়ার পর সঙ্গীর বা সঙ্গিনীর সামনেই মুখ ধুতে শুরু করে দেবেন না।
সাবধানে চুমু খান। শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-03 20:34:09
Source link
Leave a Reply