শরৎ, হেমন্ত আর শীত-এই তিন ঋতুতে আমাদের দেশে ধুলোবালি যেন একটু বেশিই থাকে। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় পোকামাকড়ের উৎপাত। তাই এই ছয় মাসে হাসপাতাল, অফিস কিংবা বসতবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিষ্কার রাখাটা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর আপনার ভবনটি যদি হয় উঁচু ও কাচে ঘেরা তবে তো কথাই নেই। উঁচু ভবনে কাচের গায়ে জমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার করাটা যেন এক রকম অসম্ভব ব্যাপার। বছরের বাকি ছয় মাসও যে আপনার অফিস কিংবা বসতবাড়ি পরিষ্কার রাখার প্রয়োজন পড়ে না তা কিন্তু নয়। বছরজুড়েই অফিস, বসতবাড়িসহ সব ধরনের স্থাপনাই পরিষ্কার রাখাটা বেশ বড় একটি ঝামেলার কাজ। আর আপনার এই ঝামেলার কাজটিই মাথায় তুলে নেয় বেসরকারি খাতে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি পরিচ্ছন্নতা প্রতিষ্ঠান। তেমনই একটি প্রোপার্টি কেয়ার সার্ভিসেস (পিসিএস) বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক সৈয়দ ফেরদৌস আনামের সঙ্গে। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওসিএসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। এটি ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পালন করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল, রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, তৈরি পোশাকশিল্প কারখানা, খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কল-কারখানা ও স্টোররুম, উঁচু ভবনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শাখা অফিস। এসব প্রতিষ্ঠানে পিসিএস প্রতিদিন অফিসের চেয়ার-টেবিল, টয়লেট, টাইলস বা কংক্রিটের মেঝে, দরজা-জানালা ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করে দেয়। এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটি উঁচু ভবনে বাইরের কাচের, বিভিন্ন ধাতু, টাইলস কিংবা কংক্রিটের আবরণ পরিষ্কার করা, হাসপাতাল ও কলকারখানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, অফিস, বসতবাড়ি, স্টোররুম বা লাইব্রেরির ইঁদুর, মশা-মাছি ও পোকামাকড় দমন প্রভৃতি কাজ করে থাকে। এর জন্য রয়েছে পিসিএসের একদল দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মিবাহিনী। এসব কাজ করার পাশাপাশি পিসিএস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্রপাতি বিক্রয় ও সরবরাহ করে। যোগাযোগঃ ১৩৪ নিউ ইস্কাটন রোড (বাংলামোটর) ঢাকা। ফোনঃ ৮৩১১৯৩১, ৮৩১৩৯৪০।
আরাফাত সিদ্দিকী
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১৮, ২০০৮
Leave a Reply