হাইলাইটস
- মেদবহুল বাচ্চাদের মধ্যে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএস) দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- মেদবহুলতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ওএসএস-এর ক্ষেত্রে অধিক নিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা ও হৃদয় সংক্রান্ত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাধারণ সর্দি-কাশি
সর্দি, কাশি হলে বাচ্চাদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা দেখা দেয়। কারণ সর্দি হলে নাকে কনজেশন হয়। এর ফলে বাচ্চারা নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারে না। তখন মুখ খুলে শ্বাস নেয় তারা। মুখ থেকে শ্বাস নেওয়ার সময় বাচ্চারা নাক ডাকতে শুরু করে।
বেশি ওজন বা ওবেসিটি
শুধু প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাই যে ওবেসিটির শিকার হয়, তা নয়। বরং ভুল জীবনযাপন প্রণালীর কারণে বাচ্চাদের শরীরও মেদবহুল হয়ে যেতে পারে। আবার বেশি ওজনের কারণে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অধিক ওজনের বাচ্চারা ঘুমানোর সময় নাক ডেকে থাকে। মেদবহুল বাচ্চাদের মধ্যে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএস) দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মেদবহুলতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ওএসএস-এর ক্ষেত্রে অধিক নিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা ও হৃদয় সংক্রান্ত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অ্যালার্জি
অ্যালর্জির কারণেও বাচ্চারা নাক ডেকে থাকে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও বাচ্চাদের কম ঘুমের মধ্যে একটি সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস আবার ওএসএস, কম ঘুম, ঘুমের খারাপ গুণমান, দাঁত পেষা বা ক্লিংজিঙ্গ ও রাতে ঘেমে যাওযার সঙ্গে সম্পর্যুক্ত। অ্যালার্জি বাড়ার কারণে নাক ও গলা ফুলে যেতে পারে, যার ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং নাক ডাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
অ্যাস্থমা
অ্যালার্জির মতো অ্যাস্থমাও সাধারণ শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যাস্থমা যদি শ্বাসনালীতে আংশিক বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা হলে বাচ্চারা রাতে ঘুমানোর সময় নাক ডাকতে পারে।
টনসিল ও অ্যাডেনয়েড বেড়ে যাওয়া
টনসিল ও অ্যাডেনয়েড ফুলে গেলে শ্বাসনালীর পথে বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলে নাক ডাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ঘুমের সময় শ্বাস নিতে সমস্যা, মুখ থেকে শ্বাস নেওয়া, দুর্গন্ধ, বার বার সর্দি লাগা, ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা ইত্যাদি ফোলা টনসিল ও বেড়ে যাওয়া অ্যাডেনয়েডের কারণে হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সেপ্টম সরে যাওয়া
কিছু কিছু বাচ্চা নাকে সেপ্টমের সঙ্গে জন্ম গ্রহণ করে। এটি এমন একটি সমস্যা, যেখানে সেপ্টম তার নির্ধারিত স্থান থেকে সরে যায়। এর ফলে ঘুমানোর সময় বাচ্চাদের জন্য শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তখন মুখ থেকে শ্বাস নেওয়ার ফলে তারা নাক ডাকতে শুরু করে।
দূষিত বায়ু
দূষিত বায়ু স্বাস্থ্যের ওপর বিপরীত প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এর ফলেও বাচ্চাদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। দূষিত বা নিকৃষ্ট মানের বায়ুর কারণে বাচ্চারা মুখ খুলে শ্বাস নেয়, ফলে নাক ডাকার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। বায়ুর গুণমান বৃদ্ধির জন্য বাচ্চাদের ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার লাগাতে পারেন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-02 17:22:32
Source link
Leave a Reply