আমরা যেসব খাতে টাকা ব্যয় করি তার মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে টাকা বেশি ব্যয় হয়। সবকিছুর মধ্যে থেকে ৫টি খাতের কিছু বিষয় বিবেচনা করে চলতে পারলে খরচের লাগাম অনেকটাই সামলে ধরা যাবে।
বাজেট
মাসের শুরুতেই পুরো মাসের খরচের একটা বাজেট তৈরি করে নিয়ে যদি খরচ করতে পারেন, তবে অনেকটাই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধ করা যাবে। কি কি লাগবে, কোন খাতে কত ব্যয় করবেন এইসব প্ল্যান করে নিয়ে যদি খরচ করেন তবে বাহুল্য ব্যয় অনেকটাই রোধ করা যাবে।
যাতায়াত
দিন দিন যে হারে জ্বালানী তেল, গ্যাসের দাম বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ি, সিএনজি ভাড়াও। এইসব দিক বিবেচনা করে যাতায়াতের জন্য পাবলিক বাস ব্যবহার করল খরচ অনেক কমে যাবে। কোথাও তাড়াতাড়ি যাবার তাড়া থেকে ক্যাব বা সিএনজি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তাড়াহুড়া না করে যদি হাতে অনেকটা সময় নিয়ে গন্তব্যদের দিকে রওনা হন তবে ক্যাব বা সিএনজির ভাড়াটা বেঁচে যাবে।
মোবাইল বিল
আজকের তরুণদের মধ্যে প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে মোবাইলে দীর্ঘ সময় কথা বলার একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে। তারুণ্যের উচ্ছলতা তো থাকবেই। তাই বলে রাত জেগে কথার ফুলঝুড়ি ফোটানোর দরকার নেই। ইদানীং আরও একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যায় প্রতিদিন মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড সিস্টেম চালু হবার পর থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়। এক্ষেত্রে যেটা হয় সেটা হল প্রায় প্রতিদিনই অল্প অল্প করে ব্যালেন্স রিচার্জ করে বেশি তরুণরা। এতে দেখা যাবে এইসব মোবাইল বিলের সঠিক কোনো হিসাব থাকছে না। অনেক বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যদি হিসাব করে মাসের শুরুতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স মোবাইলে রিচার্জ করেন তবে সেই লিমিটের মধ্যে মাস শেষ করতে চেষ্টা করুন। এতে ব্যয় অনেকটাই কমে যাবে।
খাবার
তরুণদের মধ্যে বেশি বাইরের খাবার, ফাস্ট ফুড এইসব খেতে দেখা যায়। বন্ধুদের সাথে কফি শপে, আইসক্রিম পার্লারে বা কোন রেস্তোরাঁয় আড্ডা মারতে মারতে সাথে চলতে থাকে খাওয়া। এতে করে অনেকটা বেশিই খরচ হয়ে যায়। তাই আড্ডার ফাঁকে খাওয়ার খরচ কমাতে কোনো পার্কে বা কোনো বন্ধুর বাসায় বা কলেজ ক্যাম্পাসের বন্ধুদের সাথে গল্প করতে পারেন জমিয়ে। আর বন্ধুদের খাওয়াতে চাইলে বাইরের খাবার না খাইয়ে বাসায় দাওয়াত করতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াও হবে, সাথে বাহুল্য খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
শপিং
এই খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে তরুণীরা। বান্ধবীরা মিলে মার্কেটে ঘুরতে যাওয়া অনেক তরুণীরই প্রিয়। এতে করে মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে যায়। এতে অনেকটা খরচ হয়ে যায়। আরও একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়, কারও সাথে শপিং-এ গেলে তার দেখাদেখি কিছু একটা কিনে ফেলা, সেটা আসলেও তার ততটা প্রয়োজন নেই এমন কিছু। তাই যারা এমন কিছু বাড়তি খরচ করেন তারা মার্কেটে ঢুকবার আগেই মনস্থির করে নিবেন যে অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন না। সেটাও যদি সম্ভব না হয় তবে পারতপক্ষে মার্কেটে যাওয়া কমিয়ে দিন।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ডিসেম্বর ১৯, ২০০৯
Leave a Reply