২০২১ গ্রীষ্মকালীন আকর্ষণীয় ফল জাম। টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত ফলটিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আমাদের দেশের সর্বত্র কম-বেশি জাম পাওয়া যায়। জামে রয়েছে নানা উপকারিতা।
জামে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ফলে জাম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায়। জাম রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য জাম খুবই ভালো।
জামে ভিটামিন ‘এ’ আর ‘সি’ আছে। এছাড়াও এতে থাকে বিভিন্ন মিনারেল, যা আমাদের চোখ এবং ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
জাম খেলে পেট ঠান্ডা হয়, ফলে দ্রুত হজম হয়ে যায়। যাদের অম্বলের সমস্যা আছে, তারা বেশি করে জাম খেলে উপকার পাবেন। অ্যাসট্রিনজেন্ট প্রপার্টি থাকার ফলে জাম ত্বক অয়েল ফ্রি রাখে। এছাড়াও অ্যাকনে আর কালো ছোপ দূর হয়।
জামে উপস্থিত অক্সিলিক অ্যাসিড‚ গ্যালিক অ্যাসিড‚ ম্যালিক অ্যাসিড‚ ট্যানিন‚ বেটুলিক অ্যাসিড ইনফেকশন দূরে রাখে। এছাড়াও জাম অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালও।
জামে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি আছে‚ এর সাহায্যে দাঁত এবং মাড়ি ভালো থাকে। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।
জামে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ফলে শরীর ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে কমন সিজনাল ডিজিজের হাত থেকে রক্ষা করে। জামের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ দূরে রাখে।
যাদের ডায়বেটিস হয়েছে তাদের জন্য জাম খুব ভালো। এতে অ্যান্টি ডায়াবেটিক প্রপার্টি আছে, যা রক্তে চিনির মাত্রা কমায়।
এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার ফলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়া বা বারবার মূত্রত্যাগ যা ডায়বেটিসের লক্ষণ এগুলো ও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুধু ফল নয়‚ এই গাছের পাতা‚ ডাল‚ ফলের বিচি সবকিছু দিয়েই ডায়েবেটিসের ট্রিটমেন্ট করা হয়।
এছাড়াও জামের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে, যেমন- জাম মানসিকভাবে সতেজ রাখে, স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে, ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ দূর করে, মুখের দুর্গন্ধ রোধ, দাঁত মজবুত, মাঢ়ি শক্ত ও ক্ষয়রোধে ভূমিকা রাখে, গরমে শরীর ঠান্ডা এবং শারীরিক দুর্বলতাকে দূর করতে সক্ষম, রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী, জরায়ু, ডিম্বাশয় ও মলদ্বারের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে, সাদা বা রক্ত আমাশয় দূর করে, অরুচি ও বমিভাব কমায়, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয় ও ত্বককে করে শক্তিশালী করে।
জাম খাওয়ায় সতর্কতা
আধাপাকা (ডাঁসা) জাম খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে জাম খাওয়া যাবে না। পাকা ফল ভরা পেটে খেলে অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকভাব হতে পারে। মৌসুমি ফল খান সুস্থ থাকুন।
তথ্যসূত্র:ঢাকা টাইমস
এস সি/৩১মে-২০২১
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-06-01 01:53:01
Source link
Leave a Reply