হাইলাইটস
- অতিরিক্ত মনোমালিন্য, তিক্ততার পর ব্রেক আপ হলে
- সেই সম্পর্ক না টেনে নিয়ে যাওয়াই ভালো।
- কারণ এতে অপকার যদি।
পড়াশুনো চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে কিছুদিন পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। স্বাগতা নিজের কাজ নিয়ে আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কয়েক দিন পর হারিয়েই গেল ওদের সম্পর্ক। বন্ধুরাও ভাবতে পারেনি যে কোনওদিন ওদের ব্রেকআপ হতে পারে। কলেজ জীবনে তেমন ভাবে অনেক বন্ধু তৈরি হয়নি স্বাগতা- রোহবের। যেহেতু দুজন সব সময় একসঙ্গে থাকত, একে অপরকে সব কথা শেয়ার করত তাই প্রথমদিকে তাদের বেশ অসুবিধে হতো। অসুবিধে বেশি হতো স্বাগতার। সারাদিনের কাজের পর তার খুব মন খারাপ লাগত।
কেন রোহনের সঙ্গে এমন ঝামেলা তার হল। তবে দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছে। ফলে কখনই নিজের মনকেনরম হতে দিত না। সম্পর্ক না থাকলেও কিন্তু ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যেমন কেউ কাউকে ব্লক করে দেয়নি। যদিও অনেকেই তাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকাত। কিন্তু ওরা দিব্যি ছিল। মানিয়ে নিতে তেমন অসুবিধে হত না। আপনারও কি সদ্য ব্রেকআপ হয়েছে? কিন্তু এক্সের সঙ্গে রাখতে চান বন্ধুত্বের সম্পর্ক? তাহলে এই টিপস আপনারই জন্য।
ব্রেক আপ কি মিউচুয়াল?
অতিরিক্ত মনোমালিন্য, তিক্ততার পর ব্রেক আপ হলে সেই সম্পর্ক না টেনে নিয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এতে অপকার যদি। যদি দুজনে একসঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে সম্পর্ক রাখতেই পারেন। তাও প্রয়োজন বুঝে। মানসিক দিক থেকে দুজনে সায় পেলে তবেই বন্ধুত্বের কথা ভাবুন।
একে অপরকে সময় দিন
সম্পর্ক শেষের পরই প্রেম নয়। কয়েকটা মাস একে অপরকে সময় দিন। নিজেদের মতো করে থাকুন। প্রয়োজনে একটা দুটো টেক্সট করতেই পারেন। তবে অত্যধিক আবেগ প্রবন হয়ে যাবে না। দুর্বল কোনও মুহূর্ত থেকে আবার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা ভাববেন না। তাই আগে সময় দিন।
একে অন্যের প্রতি সত থাকুন
সম্পর্ক ভেঙে গেলেও একে অপরের প্রতি সত থাকার চেষ্টা করুন। অকারণে কেউ কাউকে মিথ্যে কথা বলবেন না। অযথা কাউকে ঠকাবেন না। যদি সম্পর্ক ভাঙার কারণ বিশ্বাসঘাতকতা হয় তাহলে সেই সম্পর্ক এগিয়ে না যীওয়াই ভালো। বন্ধুত্বও নয়। একেবারেই একে অপরের থেকে দূরে থাকুন।
একে অপরের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করুন
প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একটা ব্যক্তিগত স্পেস থাকে। প্রত্যেকের কিছু নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থাকে। সবার চাওয়া অন্যরকম। এছাড়াও সবাই যে জীবনটাকে একই রকম ভাবে দেখে তাও কিন্তু নয়। আর তাই এই স্পেসটা সবাইকে দেওয়া দরকার। এমন কিছু কথা থাকে যা সব মানুষের নিজস্ব। জোর করে সেই গন্ডিতে ঢুকবেন না।
একটা সীমারেখা রাখুন
সম্পর্কে একটা সীমারেখা টানুন। কারণ এখন আর আপনারা সম্পর্কে নেই। কাজেই যে যার ব্যক্তিগত, পারিবারিক বিষয়ে জোর করে ঢুকে পড়বেন এমন কিন্তু নয়। কেউ কোনও কথা বলতে না চাইলে জোর করবেন না। এক্স যদি নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তা নিয়ে অত্যধিক কৌতূহল দেখাবেন না। অতিরিক্ত প্রশ্ন করবেন না। দুজনে নিজের মতো থাকুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-31 18:49:43
Source link
Leave a Reply