আপনার গর্ভের শিশুটিও আপনার জরায়ুর ভেতর থেকেই সবকিছু শুনতে পায় তাকি আপনি জানেন? কথাটা আশ্চর্য মনে হলেও কিন্তু সত্যি। Elliot and Elliots ১৯৬৪ সালেই এই বিষয়টি বাস্তবে প্রমাণ করেছেন। তাঁরা প্রমাণ করেছেন যে, ভ্রূণের বয়স যখন মাত্র ৫ মাস তখনই তার (শিশুর) কানে শোনার যন্ত্র পূর্ণ বয়স্ক মানুষের যন্ত্রের ন্যায় কাজ করে। মায়ের পেটের উপর এক উন্নত বিশেষ ধরনের মাইক্রোফোন স্থাপন করে শব্দের সাথে শিশুর হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধির হার নির্ণয় করা হয়। আর এক পদ্ধতিতে গর্ভের শিশুর কানের সোজাসুজি মায়ের পেটের উপরে ভাইব্রোঅকাশটিক(Vibroaucustic) ষ্টিমুলাই প্রয়োগ করে ভ্রূণের চোখের পাতার, চোখের ন্নাচড়া (Eye clenching) আলট্রাসোনিক ইমেজিং এর মাধ্যমে লক্ষ্য করা হয়। ১৯৮৩ সালে ২৩৬ মানব ভ্রূণের উপর এইভাবে জরিপ চালিয়ে এই সত্য প্রমাণ করেন।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো এই বয়সেই গর্ভের শিশুটি বিভিন্ন ধরনের শব্দের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং ভাল বা মন্দ শব্দ সে বুঝতে পারে। ৫ মাসের গর্ভের সন্তানটি তার মা-বাবার গলার আওয়াজও শনাক্ত করতে পারে। তাই ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই মা-বাবার কণ্ঠ শুনে তাদেরকে চিনতে একটু ভুল করে না।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিম্নের কয়েকটি উপদেশঃ
১· অতিরিক্ত তীব্রতর শব্দের হাত থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
২· গর্ভাবস্থায় মিষ্টি-মধুর মিউজিক বা ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ বেশী করে শুনুন।
৩· অহেতুক উচ্চস্বরে কথা বলবেন না এবং শুনবেন না।
৪· গাড়ীর হাইড্রলিক হর্ণ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। সময়ে কান আঙ্গুল দিয়ে বন্ধ করুণ।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কি পরিবেশে কি কি ধরনের মাত্রাতিরিক্ত শব্দ থেকে আপনার গর্ভের শিশুটির কানে শোনার যন্ত্রগুলির যত্ন নেবেন বা সতর্ক থাকবেন তা কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ থেকে জেনে নিবেন।
উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১১ নভেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডাঃ মুহঃ আজহারম্নল ইসলাম,
চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ,
মেডিনেট স্কিন কেয়ার,
৪৭৬/বি-২ ডি· আই·টি রোড, মালিবাগ।
LTStajul
ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
রোকসানা
আমার বয়স ২৩, আমি সিজারিয়ান করে সন্তান প্রসব করেছি, কিন্তু আমি ভীষন চিন্তিত যে, আমি সিজারের ৯ মাস পর আবার গর্ভবতী হয়েছি, ……………আমি টেনশন করছি, এমতবস্থায় এখন কি করতে পারি বললে উপকৃত হব আমি ।
Bangla Health
পাশাপাশি বাচ্চা নিলে শরীরের উপর অনেক চাপ পড়ে। এমনিতে বাচ্চা আসা মানে নিজ এবং বাচ্চা- দুজনের দেখাশুনা। নতুন বাচ্চা নিতে চাইলে বা রেখে দিলে আপনার এখন ৩ জনের যত্ন একসাথে নেয়া লাগবে। তবে টেনশনের কিছু নাই। সিজার হলে ৩/৪ মাস পরে সেটা সব ঠিক হয়ে যায়। পরের বার যদি আবার সিজার করা লাগে, করবেন। ভয় পাওয়ার কিছু নাই। শুধু নিজ শরীরের উপর খেয়াল রাখবেন। খাওয়া-দাওয়া করে, ঘুমিয়ে, দরকারে ব্যায়াম করে সবসময় শরীর সুস্থ্ রাখার চেষ্টা করবেন।
জঁুই
সবাই বলে সিজারে বাচ্চা হলে স্বামীর সাথে সেক্স করতে কষ্ট হয়, লিঙ্গ শত বার স্ঞ্চালন করলে তল পেটে ব্যাথা করে, স্বামী নিজের আনন্দ মত করতে পারে না, তাই অন্য মেয়েদের সাথে সেক্স করে । এটা কি সত্য ?
মাঝে মাঝে আমার স্তন গুলো শক্ত ও টন্ টন্ করে, *যৌ*ন*াংগ ভিজে যায়, হাত পা কেমন যেন হয়ে যায় , এটা কি রোগ, কি ঔষধ খাব ?
Bangla Health
না, কথাটা সত্য নয়। সিজারের ৩/৪ মাস পরে আর কোন সমস্যা হয় না।
আপনার বয়স, উচ্চতা, ওজন, বৈবাহিক অবস্থা কি? অনেকের সেক্সের চাহিদা জন্মালে শরীর এভাবে জানান দিতে পারে।