নয়াদিল্লি : বিশ্বজুড়ে চলছে কালান্তক করোনার কালবেলা (Coronavirus)। মারণ ব্যাধির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটাদেশ।এই অবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে বিভিন্ন রাজ্যে চলছে লকডাউন (Lockdown) । করোনার প্রথম ঢেউয়ের রেশ কাটতে না কাটতে থাবা বসিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। এই অবস্থায় সংক্রমণের দাপট ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
আর তারই মধ্যে কোভিড পূর্ববর্তী উপসর্গ হিসাবে গত পাঁচ দিন ধরে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বাচ্চাদের ইনফ্লামেটরি সিন্ড্রোমের ( inflammatory syndrome) লক্ষণ দেখা ( MIS-C) দিয়েছে। প্রদাহ জনিত এই রোগে আক্রান্ত প্রায় শতাধিক শিশু। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার অ্যাকাডেমি (Indian Academy of Pediatric Intensive Care)।
অ্যাকাডেমির মত অনুসারে, ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম ( MIS-C)-এর ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত (Coronavirus infected) হওয়ার পর রোগীদের মধ্যে এর উপসর্গ দেখা দেয়। তবে তার বেশিরভাগেরই বয়স ৪ থেকে ১৮ এর মধ্যে হয়।
শুধু তাই নয়, ছয় মাস কিংবা তার কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিরল। ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার সমীক্ষা অনুসারে, ভারতের প্রায় ২৬ শতাংশ শিশুর বয়স ১৪ বছরের নীচে এবং এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বয়স পাঁচ বছরের নীচে।
এই বিষয়ে স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের সিনিয়র কোভিড-১৯ বিশেষজ্ঞ এবং পেডিয়াট্রিক পালমোনোলজিস্ট ডাঃ ধীরেন গুপ্ত বলেন, “এমআইএস-সি এই রোগটি সাধারনত ফুসফুস, কিডনি এবং মস্তিষ্ক সহ প্রায় সমস্ত অঙ্গের ওপরই প্রভাব বিস্তার করতে পারে।এই মুহুর্তে গঙ্গা রাম হাসপাতালে এমআইএস-সি-রোগে আক্রান্ত দশ জন রোগী রয়েছে।এটি ফুসফুস, কিডনি এবং মস্তিষ্ক সহ সমস্ত অঙ্গের উপরই প্রভাব ফেলে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি কারও এই লক্ষণগুলি দেখা যায় তবে সেই রোগীর সময়মতো ভাল চিকিৎসা করা গেলে সে সুস্থ হয়ে যেতে পারে। গত বছর আমাদের ১২০ জন রোগী ছিল যার মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।”
এমআইএস-সি বা মাল্টি অর্গান ইনফ্লেমেটরি রোগের লক্ষণগুলি হল
১.তিন থেকে পাঁচ দিনের জন্য জ্বর হওয়া
২. তীব্র পেটে ব্যথা
৩.রক্তচাপে হঠাৎ হ্রাস
৩. পেটখারাপ।
ডাঃ গুপ্ত আরও বলেন , “এমআইএস-সি রোগটি প্রথমে পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র এবং পরে দিল্লিতে ছড়ায়। এটি একটি খুব সাধারণ ঘটনা যা গতবারও দেখা গিয়েছিল। চিকিৎসক হিসাবে, বাবা-মা হিসাবে, আমাদের বোঝা দরকার যে এই মুহুর্তে যে কোনও শিশুর যেকোনও ধরনের জ্বর হোক না কেন তাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত জ্বর যদি তিন দিনের বেশি থাকে তার সাথে শরীরের কোনও রকম ব্যথা বা সাথে ফুসকুড়ি হয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন যে, “এমআইএস-সি হাইপোটেনসিভ এবং রক্তচাপ নামার আগে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সেইসব রোগীদের ছেড়েও দেওয়া হয় এবং এটি ৯০ শতাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দশ শতাংশ রোগী যাদের কিডনি এবং লিভারে সমস্যা হয় তাদের সুস্থ হতে একটু সময় লাগে।”
ডাঃ গুপ্ত আরও সতর্ক করেছেন যে, এই রোগের চিকিৎসা প্রথম থেকে না করালে প্রানহানির সম্ভবনা পর্যন্ত থাকতে পারে। কারণ হার্ট, ফুসফুস এবং মস্তিষ্ককের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এমন যে কোনও রোগই মারাত্মক হতে পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-05-28 21:15:01
Source link
Leave a Reply