হাইলাইটস
- যথাযথ নিরাপত্তা থাকলে এটি বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ ইন্টার্যাকশানের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে।
- সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে পারে বাচ্চারা।
বিশ্বব্যাপী সমমনস্ক বাচ্চাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া যায়?
দুই সন্তানের মা শুভা শ্রীনিবাসনের কাছে এটি একটি অসাধারণ আইডিয়া। ‘সমস্ত ধরণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে আন্ডার ১৩ ভার্সানটি চালু হলে, তা বাচ্চাদের জন্য ভালো। অবশ্যই যদি তাঁরা এর সঠিক, সদর্থক ও অর্থপূর্ণ ব্যবহার করতে পারে। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজের প্রতিভা তুলে ধরতে পারবে এবং ফলোয়ারদেরও নিজের প্রতিভার প্রতি আকৃষ্ট করতে পারবে। আবার এখান থেকে প্রাপ্য প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তারা নিজেকে সংশোধন এবং উন্নত করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। বিশ্বের নানান প্রান্তে থাকা একই ইন্টারেস্ট ও প্রতিভার অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এমনকি নিজের রিয়েলিটি টিভি (IGTV)-ও চালাতে পারবে তারা। এর একাধিক সুবিধা রয়েছে এবং এটি মজার।’
যমজ সন্তানের মা গৌতমী সারাফ এতে একাধিক চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছেন। ‘অত্যধিক ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে আমাদের বাচ্চারা ডিজিটাল জোম্বিতে পরিণত হতে পারে। তবে এর অন্য দিকটি হল, ইন্টারনেট ছাড়া তাঁদের পড়াশোনাও ক্ষতির মুখে পড়বে।’
অত্যধিক গ্যাজেট টাইম বাচ্চাদের জন্য ভালো না-ও হতে পারে
দুই সন্তানের মা, মৌসমী হরির মতে, এতে তাদের অ্যাক্টিভিটির ওপর নজর রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁর মতে, ‘নানা আইডি বানিয়ে বাচ্চারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে থাকে, সেখানে তাদের অ্যাক্টিভিটির ওপর অনলাইন নজরদারি চালানো কঠিন। প্রাইভেসি ছাড়া, আমি চাই না যে এই বয়সে আমার বাচ্চারা বিশেষ কিছু বিষয়ে শিখুক বা জানুক, যা তারা এমন কোনও অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারে।’
অন্যদিকে দুই সন্তানের মা মীনাক্ষি সিংয়ের মতে, ‘এটি বাচ্চাদের সংশোধন ও সংস্কারের পর্যায়। এমন পর্যায় তাঁদের সামনে সামাজিক মাধ্যমের দরজা খুলে দেওয়া মোটেই ভালো আইডিয়া নয়। পড়াশোনা হোক বা গেমিংয়ের কারণে— বাচ্চারা আজকাল অনেক বেশি সময় কাটিয়ে থাকে গ্যাজেটের সঙ্গে। এর ফলে তাঁরা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি থেকে ক্রমশ দূরে সরছে। এটি দুর্বল স্বাস্থ্য ও কম বাড়ের অন্যতম কারণ।’
ডেটা প্রাইভেসি, নিরাপত্তা ও ডেটা কম্প্রোমাইস অভিভাবকদের অন্যতম বড় চিন্তার বিষয়। ‘আসক্তি ও নিরাপত্তা— এই দুটিই আমার চিন্তা। বাচ্চাদের ব্যক্তিগত ডেটা এবং জিও লোকেশন সংগ্রহ করা উচিত নয়। এমনকি বাচ্চারা যাতে গ্যাজেটের সঙ্গে আটকে থাকে, তার জন্য প্রলোভন দেখানোর পন্থাও ব্যবহার করা অনুচিত। আবার নিজের লুকস পাল্টে ফেলার জন্য যে সমস্ত ফিল্টার ব্যবহার করা হয়, তা-ও তাঁদের আত্মসম্মানে আঘাত হানতে পারে। অবশেষে তাঁরা নিজের লুকসকেই অপছন্দ করতে শুরু করে দিতে পারে।’ এমনই ধারণা গৌতমীর।
এটি কী নিরাপদ?
ভালো দিক
১. যথাযথ নিরাপত্তা থাকলে এটি বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ ইন্টার্যাকশানের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে।
২. এর মাধ্যমে বাচ্চারা নিজেদের ব্যক্ত করতে পারবে।
কুপ্রভাব
১. চাপ বাড়তে পারে।
২. সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে পারে বাচ্চারা।
৩. বাচ্চাদের ব্যক্তিগত ছবিও কম্প্রোমাইজড হতে পারে এখানে।
৪. কম বয়সে ডেটিংয়ের পটভূমি তৈরি হতে পারে নানান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ থেকেই।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-27 13:57:24
Source link
Leave a Reply