কলকাতা : দীর্ঘদিন গৃহবন্দী হয়ে মানুষ এখন নাজেহাল। স্বাভাবিক জীবন থেকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য মানুষ এখন একটু ছাড়া পেলেই বাড়ির বাইরে যেতে চাইছে। এই অবস্থায় কলকাতায় আবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) -এর দাপট তেমন প্রবল ভাবে থাকছে না। তবে ইয়াসের প্রভাবে রাজ্যের কোথাও বেশি কোথাও হালকা হাওয়া ও বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টি খুব স্বাভাবিক ভাবেই মানুষকে টানে। আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখলেই মানুষের মনে আনন্দের তরঙ্গ বয়ে যায়। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, “কোনও ভাবেই ইয়াস -এর জন্য যে বৃষ্টি (Rain) হবে তাতে ভেজা যাবে না। মনের আবেগকে সংযত করুন। না হলে ঘটে যেতে পারে বড় রকমের বিপদ।”
চিকিৎসকরা বলছেন, মোট সাত ধরণের ভাইরাসের কারণে আমাদের সর্দি-জ্বর হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ঝড় বৃষ্টির সময় যদি একান্তই বাড়ি থেকে বেড়োতে হয়, ছাতা নিয়ে বেরোন। না হলে বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত বাইরে বার হবেন না। যদি মাঝ রাস্তায় বৃষ্টি নামে তাহলে শেডের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিন। কোনও ভাবেই করোনা আবহে বৃষ্টিতে ভিজবেন না।
কেন বাঙালি পছন্দের বৃষ্টি ভিজতে পারবে না? আগে তো বৃষ্টি ভেজায় এরকম নিষেধ ছিল না। এই প্রশ্ন নিয়ে আমরা চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের (Dr. Arindam Biswas) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, “বৃষ্টি ভিজলে জ্বর হতে পারে। এখন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ চলছে। কাজেই আকাশে বৃষ্টি দেখলেই মনটা যেন নেচে না ওঠে। ভুলেও বৃষ্টিতে আচমকা ভিজতে যাবেন না। মনে রাখবেন এখনও রাজ্যে করোনা সংক্রমণ পুরোদমে চলছে। এখনও হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) ঘাটতি রয়েছে দেশে ও রাজ্যে । এখনও অক্সিজেনের অভাবে রাজ্যে করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। তাই মনের আনন্দ নিরসনের জন্য বৃষ্টি ভিজে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনতে যাবেন না। মনে রাখবেন সামান্য জ্বর আপনার জীবনে বড় রকমের ঝুঁকি ডেকে নিয়ে আসতে পারে। এই বৃষ্টি ভিজে যে জ্বর হয় সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কিংবা এন্টেরো ভাইরাস থেকে হয়।
চিকিৎসকরা শিশুদেরও এই বৃষ্টি ভেজা থেকে বিরত থাকতে বলছেন। শিশু চিকিৎসক নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সাধারণ বৃষ্টিতে ভিজে শিশুদের যে জ্বর আসে তাতে শিশুদের ফুসফুসের উপরিভাগে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে মিউকাস মেমব্রেনটা দুর্বল হয়ে পরে। এই শক্তিশালী মিউকাস মেমব্রেন অনেক জীবাণু থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সক্ষম। কিন্তু মিউকাস মেমব্রেন দুর্বল হয়ে গেলে বাইরের জীবাণুকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করা আটকাতে পারে না। এই সুযোগে আঘাত হানতেই পারে সার্স ভাইরাস।” বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর এলে তা বাড়াবাড়ির আকার ধারণ করতে পারে। শেষ পর্যন্ত নিউমোনিয়া হতে পারে।” কাজেই হালকা হওয়া ও বৃষ্টি দেখলেই খোলা বারান্দা বা খোলা আকাশের নিচে যাবেন না। মনে রাখবেন, রাজ্যে এখনও প্রবল করোনা সংক্রমণ চলছে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-05-26 04:11:45
Source link
Leave a Reply