কোনোরকমে মুদি দোকানের দরকারি জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরলেন তপনবাবু। মাথায় দোকানের কথাগুলো ঘুরছে। স্ত্রীকে বললেন যতই গরম লাগুক এসি চালানো আর যাবে না। মিনতিদেবী তো অবাক। এই গরমে এসি না চালালে তো মরেই যাব। কিন্তু স্বামী কিছুতেই কথা শোনেন না। অগত্যা মিনতিদেবী বউমার শরণাপন্ন হলেন। “দেখ বউমা তোমার শ্বশুরের নতুন মাথার রোগ দেখা দিয়েছে। আজ থেকে বাড়িতে আর এসি চলবে না।”
বউমা শ্রীলেখা চালাক মেয়ে। মুদি দোকান থেকে ফিরে বাড়িতে নতুন হুকুম জারি হযেছে মানে সেখান থেকেই কিছু শুনে এসেছেন তপনবাবু। সহজেই ধরে ফেলল সে। এবার শ্বশুরমশাইকে মিষ্টি কথার জালে পেঁচিয়ে পেটের কথা বের করতে হবে।
বউমার কায়দায় ধরা দিয়ে পেট থেকে আশঙ্কার কথা বের করলেন তপনবাবু। এবার শ্রীলেখা তাঁকে বোঝাতে বসল। চোখের সামনে খুলে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েব সাইটটি। লোকের কথায় বা গুজবে কান না দিয়ে এই ওয়েব সাইটের কথাগুলি মেনে চললেই রোগ প্রতিরোধ করা যাবে।
WHO-এর সতর্কতা
– করোনা ভাইরাস বাতাসবাহিত নয়। তবে বন্ধ পরিবেশে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
– পরিচ্ছন্ন, আলো বাতাস খেলছে এমন ঘরে করোনার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম হয়।
– বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ভালো থাকলে ঘরে অক্সিজেনের অভাব ঘটে না। শ্বাসপ্রশ্বাসেও কষ্ট হয় না।
– করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকলে বা তাঁর কাছাকাছি থাকলে রোগ সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বেড়ে যায়। তাই লোকজনের ভিড়ে রোগ বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
– ঘরের ভিতর থাকলে এবং ঘরে অনেক লোকজন থাকলে চেষ্টা করুন দরজা জানালা খোলা রাখতে।
– প্রচণ্ড গরমে এয়ার কন্ডিশন না চালিয়ে উপায় নেই। এসি যদি ভালো মতো পরিষ্কার থাকে এবং নিয়মিত সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তাহলে তা থেকে করোনা ভাইরাস ছাড়নোর সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে।
– তবে সারাক্ষণ এসি না চালিয়ে রাখাই ভালো এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা যেমন বেশি থাকে তেমনই ঘরে বাতাস চলাচল কমে যায়।
– মহামারি সংকট চলাকালীন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এসি নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত ঘর স্যানিটাইজ করতে হবে।
– বাড়িতে করোনা সংক্রমিত রোগী থাকলে তাঁকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। তাঁর ঘরে এসি না চালানোই ভালো। কারণ ঘরে বাতাস চলাচল না করলে রোগীর ড্রপলেট ঘরেই থেকে যায়। সেক্ষেত্রে বাড়ির অন্য সদস্যদের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রোগীর ঘরে যত আলোবাতাস চলাচল করবে ততই তিনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন। বরং রোগীর ঘরের বাতাস অন্যান্য ঘরে না পৌঁছোনোই শ্রেয়।
– বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাথমিক নির্দেশই হল জনবহুল এলাকা বর্জন করুন। নিজের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন। সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে নিয়মিত হাত-পা ধোবেন। স্যানটাইজারের ব্যবহার করুন। মুখে মাস্ক পরে চলুন। লোকজনের সঙ্গে কম করে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। আর সবচেয়ে বড় কথা রোগ নিয়ে গুজব ছড়াবেন না বা গুজবে কান দেবেন না।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-25 17:27:27
Source link
Leave a Reply