হাইলাইটস
- প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থের উপস্থিতি মানেই সেটি পুষ্টিকর খাবার।
- খাবারের প্যাকেট বা হেল্থ ড্রিঙ্কের গায়ে মিনারেল কথাটি লেখা মানেই নিশ্চিন্তি।
- যদিও খুব মানুষই আছে যাঁরা পুষ্টিকর খনিজ পদার্থ বা মিনারেলগুলির সঠিক নাম জানেন।
এবার হয়তো একটু অবাক হওয়ার পালা। দস্তা? সে দিয়ে ইমিটেশনের গয়না কিংবা বাসন কোসন তৈরি হয়? এটা আবার কেউ কায় নাকি?
হ্যাঁ, দস্তা খায়। এটি শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় জিঙ্ক (zinc)। এবার হয়তো একটু বিশ্বাস হবে?
খাবারে পরিমাণ মতো দস্তা বা জিঙ্ক (zinc) খনিজ পদার্থটি থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতদিন এসব নিয়ে কেউ বিশেষ মাথা ঘামাতেন না। কিন্তু যেদিন থেকে মহামারির হামলা শুরু হয়েছে এবং জানা গেছে সে এই রোগের কোনও ওষুধ নেই, সেদিন থেকেই চিকিৎসকরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকটি আলোকপাত শুরু করেছেন।
সাধারম মানুষও দোকানে ছুটেছে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট কিনতে। ওষুধ খেয়ে শরীরে ভিটামিন, মিনারেল কিংবা প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা যায় বটে। তবে যদি রোজকার খাবার খেয়েই সেই ঘাটতির অনেকটা পূরণ হয় তাহলে তো আরও ভালো।
জিঙ্কের (zinc) কথাই ধরা যাক। ইমিউনিটি বুস্টার খনিজ হিসেবে জিঙ্ক প্রথম সারিতে পড়ে। আয়রনের মতো মানবদেহে জিঙ্কও (zinc) নিজে থেকে উৎপন্ন হতে পারে না। তাই খাবার বা ওষুধের মাধ্যমে এই প্রয়োজনীয় খনিজটি শরীরে প্রবেশ করাতে হয়। অল্প পরিমাণ জিঙ্ক মানবদেহে প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়াতে সক্ষম। দেখে নিন সেগুলি
* শরীরে জিঙ্কের সরবরাহ বজায় রাখতে খাদ্য তালিকায় রাখুন ডিম, মাছ এবং মাংস। ডায়েটিশিয়ানদের মতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাছ খেতে হবে। তবে বাঙালি পরিবারে এটা নিয়ে বিশেষ চিন্তা করতে হয় না। মাছ ছাড়া দুপুর-রাতের খাবার অসম্পূর্ণ। এমনকি ডিম এবং মাংস ছাড়াও বাঙালির খাদ্যজীবন ভাবা একটু কঠিন।
* নিরামিশাষিদেরও উপায় আছে। তবে সত্যি কথা বলতে মাছ মাংস ডিমে খেলে যতটা ঘাটতি পূরণ হয় সবজি, ফল কিংবা দানা শস্যে তা হয় না। এক্ষেত্রে আমিশ খাবার অল্প খেলেই শরীরের জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হয়। কিন্তু নিরামিশ খাবার খেতে হয় অনেকটাই।
* তা বলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নিরামিশাষিরা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন আটার রুটি, বিনস্, ছোলা, দানা শস্য, স্প্রাউট।
* খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে আমন্ড, আখরোট, কাজু, সূর্যমুখী, কুমড়ো বা তরমুজের বীজ।
* দুধ, পনির, ছানা, দই প্রতিদিন খান। ডায়াবিটিসের সমস্যা না থাকলে মিষ্টিও খেতে পারেন নিয়মিত।
* ফল বা সবজি থেকে খুব একটা উপকার না পেলেও পাতে ব্রোকোলি, পালংশাক, মাশরুম, অ্যাভোকাডো, বেদানা বা পেয়ারা। এগুলিতে অল্প পরিমাণ জিঙ্ক থাকে।
* দেশে করোনা প্রতিষেধকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই যতদিন না প্রতিষেধক পাচ্ছেন ততদিন পুষ্টিকর খাবার খেয়েই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করুন। প্রতিষেধক পাওয়ার পরও কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ছাড়বেন না। কারণ শরীরে পুষ্টির চাহিদা কখনও কমে না। চাহিদা পূরণ হলেও ভারসাম্য রক্ষার জন্যও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস চালিয়ে যেতে হবে। শিশু বা বৃদ্ধরা তো বটেই যাঁদের উপর সংসার সহ যাবতীয় দায়িত্ব রয়েছে অর্থাৎ যুব সম্প্রদায়কেও খাদ্যগুণের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকলে রোগকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো যাবে সহজেই।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-25 16:42:28
Source link
Leave a Reply