শীতকালটা রুক্ষ। আবহাওয়া হোক বা ত্বক, সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই রুক্ষতা। দরকার তাই বাড়তি যত্নের। রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান জানাচ্ছেন বিস্তারিত। শীতের রুক্ষতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মূলত চুলের। এমনিতেই চুল শরীরের সবচেয়ে উপরিভাগে থাকে বলে এর ওপর ধকল যায় বেশি। এ রুক্ষতায় আক্রান্ত হয় মাথার ত্বক পর্যন্ত। তাই চুলের যত্নের সঙ্গে বাড়তি খেয়াল দিতে হয়ে মাথার ত্বকের প্রতিও।
রুক্ষতার ফলে ত্বকের যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে শীতকালে খুশকি সবার ক্ষেত্রে সাধারণ একটি সমস্যা। খুশকির ফলে চুল কমে যায়। মসৃণতা ও ঔজ্জ্বল্যেও ভাটা পড়ে। ফলস্বরূপ চেহারায় চলে আসে পানসে ভাব। শীতের শুরুতেই তাই খুশকির সমস্যাকে গুরুত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করা উচিত। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নারকেল তেল ভালোভাবে ঘষে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা রেখে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পুরো মাথায় পেঁচিয়ে রাখতে হবে। গরম ভাপ ত্বকের কোষ খুলে ময়লা বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
১৫-২০ মিনিট পর মাথা ও চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। খুশকির সংক্রমণ ত্বকের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন হতে পারে। কারও আঠালো, আবার কারও বা শুষ্ক। ত্বক বুঝে ত্বকের যত্ন নেওয়াটা জরুরি। তবে সাধারণ একটি প্যাক যেকোনো ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। টকদই ভালোভাবে ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে লেবুর রস ও মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে চুলের গোড়ায় দিয়ে রাখতে হবে। আধা ঘণ্টা পর চুল ভালো করে ধুয়ে খুশকি-প্রতিরোধী শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। মনে রাখা জরুরি, চুল যদি ভালো করে পরিষ্কার না করা হয়, তবে অপরিষ্কার চুল থেকেও আবার খুশকি সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
কেউ যদি বেশি ঠান্ডা পানি না লাগাতে চান মাথায়, তবে পানি কুসুম গরম করে নিতে পারেন। তবে বেশি গরম পানি চুলে ব্যবহার করা যাবে না। এতে চুল শুষ্ক, রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। রং নষ্ট হয়ে যায়। চুলের আগা ফেটে যায়। এমনকি চুল পড়ে খুব দ্রুত।
ঋতুর পালাবদলে প্রকৃতির সঙ্গে ত্বককে মানিয়ে চলতেই হয়। এ ক্ষেত্রে আপনার নিজের খানিকটা সহযোগিতা পেলে ত্বক পায় স্বস্তি।
জিনাত রিপা
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১৮, ২০০৮
Leave a Reply