চিকিৎসকদের মতে, প্রাপ্ত তথ্যের ওপর নির্ভর করলে বলা যায় যে, এখনও খুব কম প্রমাণ আছে, যা থেকে জানা যাচ্ছে যে নতুন ভেরিয়েন্ট বাচ্চাদের মধ্যে গুরুতর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, তথ্য প্রমাণের কথা বাদ দিলেও, ভারতে কী পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিটগুলি ভরে যাচ্ছে? সত্যিই কী এমন কিছু দেখা যাচ্ছে? তবে এ কথা স্বীকার করা যেতে পারে যে, আনুপাতিক ভাবে বেশি সংখ্যক বাচ্চা সংক্রমিত হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরিখে বলা যায় যে, যত বেশি সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা প্রতিষেধক পাবে, বাচ্চাদের সংক্রমণের অনুপাতও বাড়বে। চিকিৎসদের প্রশ্ন, বাচ্চাদের মধ্যে কী সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে? আসলে, বাচ্চাদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণ অ্যাসিম্পটোমেটিক বা মাইল্ড। মৃত্যুর হারও অত্যধিক পরিমাণে কম।
চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, বাচ্চাদের মধ্যে কোভিড-১৯ অত্যধিক বেশি হারে দেখা যাবে, তা এখনই বলা খুব তাড়াহুড়োর কাজ। এখন খুব কম তথ্য রয়েছে, যার ওপর জোর দিয়ে এমন কিছু দাবী করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, প্রত্যেকেই অনুপাত ও অ্যাবসোলিউট কেসের মধ্যে গুলিয়ে যাচ্ছে।
বাচ্চাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের অনুপাত বেশি, কারণ এর প্রাদুর্ভাবও বেশি রয়েছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কতজনকে আইসিইউ-তে ভরতি করতে হচ্ছে? এমনকি কত অনুপাতে বাচ্চারা এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে যে তাঁরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক আক্রান্তদের মৃত্যুর হার এর থেকে ৪০ শতাংশ বেশি।
বহু সংখ্যক বাচ্চাদের কী হাসপাতালে ভরতি করতে হচ্ছে?
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে এখনও পর্যন্ত গুরুতর আক্রান্তের শতকরা হারে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ রোগীই মাইল্ড এবং এ ক্ষেত্রে ভিডিও কনসালটেশনই করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বাচ্চাদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোরই পক্ষপাতী। গুরুতর কেসের সংখ্যা এ ক্ষেত্রে খুবই কম।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ এই ভাইরাসটি কখন, কেমন আচরণ করবে, তা কারও জানা নেই। তাই পরে অনুতাপ করার চেয়ে নিরাপদে থাকাই ভালো বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যার ওপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে যে, বাচ্চারা করোনার দ্বারা অনুপাতহীন ভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের মতো কোনও সম্ভাবনা কী এখন ভারতে দেখা যাচ্ছে?
সিঙ্গাপুরে ৩৮টি ক্লাস্টার কেস চিহ্নিত হওয়ার পর এয়ারপোর্ট ও স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতে বাচ্চাদের মধ্যে অধিকাংশ কেসই মাইল্ড থেকে অ্যাসিম্পটোমেটিকের মধ্যে। খুব অল্প সংখ্যক বাচ্চাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে এ ক্ষেত্রে একাধিক গবেষণা ও সমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন বলে মত চিকিৎসকদের।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-22 15:15:26
Source link
Leave a Reply