হাইলাইটস
- সঙ্গীর সঙ্গে নিজের সব কিছু ভাগাভাগি করে নেবেন এটাই বাস্তব।
- কিন্তু যখন দেখবেন যে সঙ্গী আপনার ভালো খবরে খুশি নন কিংবা বাস্তবটা বুঝতে চাইছেন না
- তাহলে বুঝবেন কোথাও একটা গলদ আছে
ইন্দ্র বরাবরই কম কথার মানুষ। বিয়ের ৬ মাস পরও যখন বর্ণা দেখল ইন্দ্র আড়ষ্টতা ভাঙছে না তখন সে হাল ছেড়ে নিজের মতো করে জীবনটা গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করল। সারাদিন তাদের মধ্যে খুব কমই কথা হয়। যেটুকু না বললেই নয়। কিন্তু এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর বর্ণা দেখল ইন্দ্র তার বাইরের কাজ নিয়ে আপত্তি তুলছে। অন্যান্য সহকর্মীদের স্ত্রীদের সঙ্গে তুলনা করছে। কিছুদিন পর ইন্দ্রর মা-বাবা এলেন ছেলের কাছে। তাঁরাও নানা রকম অসুবিধের সৃষ্টি করতে লাগলেন। বাড়ির বউ সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরে এসব দেখে তাঁরা অভিযোগ জানালেন বর্ণার মায়ের কাছে। বর্ণা আসতে আসতে বুঝতে পেরেছিল এভাবে বেশিদিন চালাতে পারবে না। বাঁচতে হলে তাকে নিজের মতো বেরিয়ে আসতেই হবে। তবুও প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগল। বুঝতে পারল সুখ অধরা। বিবাহিত জীবনে আপনারও কী এই সমস্যা রয়েছে। প্রতিদিন কিছু না কিছু নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে? যেভাবে বুঝবেন ভাঙনের মুখে সংসার
সব সময় তুলনা করা- প্রত্যেক মানুষ তাঁর নিজের মতো করে আলাদা। সকলেরই ভিন্ন ব্যক্তিসত্ত্বা রয়েছে। আর তাই প্রতিটি মানুষ পৃথক। কেউ কখনও কারোর মত হতে পারেন না। আর এই তুলনা করার মানসিকতা খুবই খারাপ।
সম্পর্কে সেক্সও আবশ্যক- যৌনতা ছাড়া কোনও সম্পর্কই সম্পূর্ণ হয় না। যদি দেখেন যে প্রথম থেকেই যৌনতায় ঘাটতি রয়েছে তাহলে বুঝবেন সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেনে নেওয়া যায় না।
একসঙ্গে সময় কাটানোয় অস্বস্তি- একজন সময় কাটাতে চাইছেন কিন্তু অন্যজন সেই সময়টা দিতে চাইছেন না। জোর করে কিন্তু সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। সম্পর্কে শ্রদ্ধা থাকা দরকার। স্পেস থাকা দরকার। যদি দেখেন দুজনে একসঙ্গে বসে সময় কাটানোর মানসিকতা নেই তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো।
নিজেদের ভালোমন্দ কোনও কথাই শেয়ার করেন না- সঙ্গীর সঙ্গে নিজের সব কিছু ভাগাভাগি করে নেবেন এটাই বাস্তব। কিন্তু যখন দেখবেন যে সঙ্গী আপনার ভালো খবরে খুশি নন কিংবা বাস্তবটা বুঝতে চাইছেন না তাহলে বুঝবেন কোথাও একটা গলদ আছে। কারণ এটা স্বাভাবিক নয়।
সব সময় ঝগড়া- কোনও ব্যাপারেই মতের মিল হয় না। সব সময় ঝগড়া চলতেই থাকে। সামান্য কোনও বিষয়েও দুজনে এক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এই অভ্যাস কিন্তু ভালো নয়। এতে সম্পর্কে সমস্যা বাড়ে। কারণ দুজনের মধ্যেকার এই সংযোগটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এড়িয়ে যাওয়া- একই ছাদের তলায় দুজনে থাকছেন কিন্তু সময় বিশেষে একে অপরকে এড়িয়ে চলছেন। কেউ কারোর সঙ্গে বিশেষ কথা বলছেন না। একডন রান্নাঘরে থাকলে অন্যজন ব্যালকনিতে থাকছেন। এক টেবিলে বসে খাবারও খাচ্ছেন না। দিন্র পর দিন এই ব্যবহার অস্বাস্থ্যকর। এর চেয়ে নিজেদের মানসিক শান্তি কীভাবে বজায় রাখবেন সেই সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-20 18:04:52
Source link
Leave a Reply