হাইলাইটস
- কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ।
- আগের তুলনায় এই স্ট্রেন আরও বেশি সংক্রামক।
- রক্ত জমাট বেঁধে দেওয়া, হ্যাপি হাইপোক্সিয়া এবং স্ট্রোকের মতো কোভিড রোগীর ঝুঁকি বাড়ছে সাইটোকাইন ঝড়ও (Cytokine Storm)।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে মনে করা হত অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু হচ্ছে। এখন জানা যাচ্ছে, রক্তবাহী শিরার ভিতরে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে ফুসফুস অচল হয়েও মৃত্যু হতে পারে। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সুবাদে সাইটোকাইন স্টর্ম (Cytokine Storm) হতে পারে এবং আনুসঙ্গিক ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণের জেরেও ঘনিয়ে আসতে পারে মৃত্যু। এই সমস্ত সমস্যা এড়াতে শিরার ভিতরে রক্ত জমাট বাঁধা ঠেকাতে হেপারিন প্রয়োগ করা হয়। সাইটোকাইন ঝড় (Cytokine Storm) থামাতে অ্যান্টি-আইএল৬ ওযুধ দেওয়া হয় এবং ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিবিধ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
এই Cytokine Storm কী?
একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, COVID-19 এ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রোগী প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিছু ক্ষেত্রে, শরীরের অন্যান্য অংশগুলি এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। একে সাইটোকাইন ঝড় বলা হয়।
সাইটোকাইন একটি রাসায়নিক। শরীরের কোষ সেটি তৈরি করে। দেহে যখন কোনও জীবাণু বা ভাইরাস প্রবেশ করে, তখন শরীর সেটাকে বহিরাগত বলে চিহ্নিত করে, ধ্বংস করার চেষ্টা করে। এই প্রচেষ্টায় শরীরে প্রদাহ তৈরি হয়। এই প্রদাহে প্রথমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। পরে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় সাইটোকাইন ঝড় Cytokine Storm। ভাইরাস আক্রান্তর সময় শরীরে কিছু সঙ্কেত তৈরি হয়, যা ওই রাসায়নিকের মাধ্যমে কাজ করে। সেই রাসায়নিকের একটি, সাইটোকাইনের মাত্রা এতই বেশি হয় যে সেটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে শরীরের ভালো করতে গিয়ে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ন্যূনতম উপসর্গ দেখা দিলেও চিকিৎসা শুরু করতে যত দেরি হবে, শরীরে জীবাণু বা ভাইরাস তত বংশবৃদ্ধি করবে। আর তার পরিমাণ যত বেশি হবে, তত বাড়বে ক্ষতির তীব্রতা।
কখন হয় Cytokine Storm?
কিছু বিশেষজ্ঞের অভিমতও রয়েছে যে সংক্রমণের পরে দ্বিতীয় সপ্তাহে সেরে যাওয়র সময় সাইটোকাইন ঝড় দেখা দেয়। এর জন্য কোভিড রোগীদের খুব সচেতন হওয়া দরকার। তাদের শরীরের প্রতিটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পিএইচডি এমডি ডাঃ ফিলিপ মুড বলেছিলেন যে এ জাতীয় পরিস্থিতিতে কিছু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রদাহবিরোধী ওষুধ দেওয়া শুরু করেন যা রোগীদের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে না।
চিকিৎসকদের মতে , ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পরে প্রথম পাঁচ থেকে দশ দিন বংশবিস্তার করে। তার পরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসটি আস্তে আস্তে নির্মূল হয়ে যায়। এর পরেই অনেকের ক্ষেত্রে শুরু হয় সাইটোকাইন ঝড়।
ভাইরাসটির সঙ্গে মানবশরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার লড়াইয়ের ফলে প্রদাহকারী সাইটোকাইন এবং অন্যান্য পদার্থের ক্ষরণ হয়। এই ধরনের হাইপার ইমিউন বিক্রিয়ার ফলে বিভিন্ন কোষ, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাইরাস যত না ক্ষতি করছে, ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতার উপাদানগুলি বেশি মাত্রায় নিঃসৃত হয়ে ক্ষতি করে তার চেয়ে বেশি। তার ফলে বহু প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। ডাক্তারেরা জানাচ্ছেন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়ে বড় বিপদ বা ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার জন্যই সিবিসি, সিআরপি, ডি-ডাইমার পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-19 14:46:15
Source link
Leave a Reply