হাইলাইটস
- করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে বিপর্যস্ত গোটা দেশ।
- সবকটি রাজ্যেই লকডাউন (lockdown) শুরু হয়ে গিয়েছে।
- এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ কর্মচারীরা অফিসের পরিবর্তে বাড়িতে থেকে কাজ (work From Home) করছেন।
যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে করোনা (Covid) আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা থাকলেও অসুবিধা রয়েছে অনেক। ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমের (work From Home) দুনিয়ায় বেড়েছে কাজের চাপ। চার দেওয়ালের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসেও কাজ করায় কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। WHO-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মহামারির সময় বাড়ি থেকে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে তাঁদের জীবন। আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপের সামনে চোখ রাখেন, তবে এই সংবাদটি পড়া গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্রোক এবং হার্টের অসুখের সংখ্যা বেড়েছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গবেষণায় দাবি করেছে যে, বিরামহীন ভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করে যাওয়ার ফলে এক বছরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। আর ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ফলে সেই সংখ্যাটা একলাফে দ্বিগুণ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে ২০১৬ সালে প্রথম এই বিষয়ের উপর গবেষণা করা হয়। সেখানে জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে স্ট্রোক এবং হার্টের অসুখের পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ২০০০ সালের তুলনায় প্রায় ৩0 শতাংশ বেশি। WHO-র পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক মারিয়া নীরা বলেছিলেন, ‘যদি কেউ সপ্তাহে ৫৫ ঘন্টা বা তার বেশি সময় যাঁরা কাজ করেন তবে তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ’।
WHO-র মতে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার যৌথ গবেষণায় মোট ১৯৪টি দেশের তথ্য তৈরি করা হয়। গবেষণাটি ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তথ্য নেওয়া হয়েছো। এতে বলা হয়েছে, যারা সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘন্টা কাজ করেন তাদের তুলনায় যারা ৫৫ ঘন্টা বা তার বেশি পরিশ্রম করেন তাঁদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ স্ট্রোকের শিকার হন। তাঁদের ১৭ শতাংশ জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে মৃত্যুর সিংহভাগই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের মানুষ। তাই একটানা বসে কাজ করার আগে সাবধান হোন এখন থেকেই।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-17 17:58:49
Source link
Leave a Reply