হাইলাইটস
- আধুনিক জীবনের দুশ্চিন্তা, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ, রোজের টানাপড়েনে রক্তচাপ (blood pressure) যখন-তখন বেড়ে যেতে পারে।
- অনেক ক্ষেত্রে বিপজ্জনক সীমার কাছে পৌঁছনোর আগে রোগী তা অনুধাবন করতে পারেন না।
- ফলে হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়তে পারে।
- তাই চল্লিশের পর থেকেই নিয়মিত ব্লাড প্রেসার (blood pressure) মাপা দরকার।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতের মোট প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের এক তৃতীয়াংশ উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর এই সমস্যায় দেশের প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আশঙ্কার বিষয় হল, মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে ২০-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হাইপার টেনশনে (Hypertension) আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা।
যে কোনও সুস্থ ব্যক্তির স্বাভাবিক রক্তচাপ হওয়া উচিত ১৩০/৮০। বয়স-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের জন্যই এটা প্রযোজ্য। চিকিৎসকদের মতে, রিডিং ১৩০-এর বদলে ১৪০ হলেও ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিন্তু তার বেশি হলে চিন্তার বিষয়। চিকিত্সকদের মতে, শরীরে রক্তচাপ (blood pressure) বাড়ার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। জীবনযাত্রায় এবং খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন উচ্চ রক্তচাপ (blood pressure) বা হাইপারটেনশনের (Hypertension) মতো সমস্যা। কিন্তু কী ভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
১. ব্লাড প্রেশার চেক করুন: বয়স চল্লিশ পার হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার (blood pressure) চেক করুন। দরকার হলে বাড়িতে মেশিন কিনেও তা করতে পারেন, হাই ব্লাডপ্রেশারে অ্যালকোহল, ধূমপান ও কফি খাওয়া নিষিদ্ধ। ব্লাড প্রেশার (blood pressure) বাড়ার সঙ্গে শরীরের অন্য কোনও সমস্যা বাড়ছে কি না, নজর রাখুন। হয়তো ব্লাড প্রেশার বাড়াটা উপসর্গ, রোগ অন্যত্র।
২. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খাবেন: উচ্চ রক্তচাপ (blood pressure) কমাতে প্রথমেই নুন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত নুন রক্তে মিশে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। বাড়তে পারে কিডনির সমস্যাও। রান্নায় ছাড়া, খাবার পাতে কাঁচা নুন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে, রান্নাতেও যতটা সম্ভব নুন কম দিন। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খাবেন। কিন্তু এত কমও নয় যে, শরীরে তার ঘাটতি হয়ে যায়।
৩. মধু: প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ মতে, হাইপারটেনশন (Hypertension) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেযে উপকারি হল মধু। এক কাপ উষ্ণ গরম জলে এক চামচ মধুর সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খেতে পারলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
৪. ডায়েটে রাখুন কলা: কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ (blood pressure) কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দিনের যে কোনও সময়েই কলা খাবার চেষ্টা করুন।
৫. সবুজ সবজি খান: অতিরিক্ত তেল আর মশলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবারের বদলে পাতে বেশি করে রাখুন সবুজ শাক-সবজি। সিদ্ধ বা বা সামান্য তেলে রান্না করা সবজি শরীরে ক্যালোরির মাত্রা ধরে রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ সবজিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট রক্তচাপ (blood pressure) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৬. ওষুধ বন্ধ নয়: ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনও ব্লাড প্রেশারের (blood pressure) ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। এমনকী প্রেসার নিয়ন্ত্রণসীমার মধ্যে থাকলেও। রোগীকে প্রেসারের ওষুধ দেওয়া হয় সেই ওষুধের কার্যক্ষমতার সময়সীমার ভিত্তিতে। কোনও ট্যাবলেটের কার্যক্ষমতা আট ঘণ্টা, কোনওটির বারো ঘণ্টা, কোনওটির আবার প্রায় ২৪ ঘণ্টা। রোগীর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী একটি ট্যাবলেট অর্ধেক করে বা দিনে দুটি ট্যাবলেট অবধি খেতে হতে পারে। তবে সবটাই ঠিক করে দেবেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তার।
৭. পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফলমূল খান: ডায়েটে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফলমূলের পরিমাণ বাড়াবেন। অ্যালকোহল, কফি ও ধূমপান হাই ব্লাড প্রেশারের (blood pressure) জন্য ক্ষতিকর। হাইপো টেনশনের জন্য সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে সেপটিক শকে ব্লাড প্রেশার অস্বাভাবিক কমে গেলে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা প্রয়োজন। হাইপো টেনশনে ঘরোয়া নিয়ম মানলেই কাজ দেয়। ব্লাড প্রেশারের (blood pressure) সঙ্গে খাবারের গভীর সম্পর্ক। তবে ব্যক্তিবিশেষে নিয়মের রদবদল হতে পারে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-17 11:43:00
Source link
Leave a Reply