হাইলাইটস
- শেষপর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী-কে নিয়েই সংসার গড়ে ওঠে।
- তাঁই নতুন বিয়ের পর নিজেদের মধ্যে কথা বলে একে অপরকে বুঝে নিন।
- নতুন সম্পর্ক শুরুটা হোক মিষ্টি মধুর
এসব ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাবুঝি থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। স্ত্রীর সুবিধে অসুবিধে দেখা স্বামীর কর্তব্য। তাছাড়া পরিবারের কেউ যদি জোর করে নতুন বউয়ের উপর কোনও নিয়ম চাপাতে চায় সেটিও বুদ্ধি করে কাটিয়ে দেওয়া উচিত স্বামীর। এককথায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বতা একান্ত প্রয়োজন।
শেষপর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী-কে নিয়েই সংসার গড়ে ওঠে। তাঁই নতুন বিয়ের পর নিজেদের মধ্যে কথা বলে একে অপরকে বুঝে নিন। নতুন সম্পর্ক শুরুটা হোক মিষ্টি মধুর। সারাজীবন বজায় থাকুক সম্পর্কের সেই মিষ্টতা।
শুরু হোক পথ চলা
– স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের সকলের ভার্চুয়াল আলাপটা স্বামীকে সেরে নিতে হবে। পরিবারের কোন সদস্য কেমন তা তিনিই ভালো জানেন। তাছাড়া আত্মীয়স্বজনরা সারাজীবন তো আর দম্পতির সঙ্গে থাকবেন না। তাই তাঁদের বুদ্ধি করে ম্যানেজ করার দায়িত্বও রয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন কনেকেও বিষয়টা বুঝতে হবে।
– দুজন দুজনের সামনে প্রথমেই একে অপরের আত্মীয়দের নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবেন না বা রাগ দেখাবেন না। এতে শুরু হওয়ার আগেই সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারও কোনও ব্যবহার খারাপ লাগলে কদিন পরে বলুন। তখন দুজন দুজনকে খানিকটা চিনে নেবেন। বন্ধুত্বও গাঢ় হবে। তখন একে অপরকে বুঝতে অসুবিধা হবে না।
– স্বামী বা স্ত্রীর সামনে প্রাক্তনের গল্প করতে শুরু করে দেবেন না। কিন্তু অতিতের তিক্ত বা ভালো স্মৃতি নিয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন যে, বিপরীত দিকের মানুষটি কখনও সঙ্গীর প্রাক্তনের গল্প শুনতে আগ্রহী হন না।
– বিয়েতে কতটা খরচ হল বা কতটা হলে ভালো হত এসব আলোচনা সদ্য সদ্য বিয়ের পর না করাই ভালো। খরচের হিসাব সারাজীবন করা যাবে। কিন্তু সেকারণে নতুন সম্পর্ক যেন প্রথমেই তিক্ত না হযে ওঠে সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব দুজনেরই। এমনকি মেয়ের বাড়ি থেকে কি উপহার বা যৌতুক এলো বা এলো না এসব নিয়ে আত্মীয়-প্রতিবেশীদের আলোচনার কড়া জবাব দেওয়ারও প্রয়োজন।
– সঙ্গীর বন্ধুদের সমালোচনা করবেন না। হতেই পারে কোনও বন্ধুর আচরণ আপনার পছন্দ হয়নি বা হয় না। কিন্তু সদ্য বিয়ের পরেই সেসব কথা তুলতে গেলে অশান্তি শুরু হতে পারে। বিশেষ করে কোনও বন্ধু আপত্তিকর আচরণের জন্য সঙ্গীকে খোঁটা দিতে শুরু করলে সম্পর্কের শুরুটা খারাপ হয়।
– সম্পর্কের শুরুতেই স্বামী বা স্ত্রী দুজনকেই নিজের নিজের ইগো সরিয়ে রাখতে হবে। এতদিন একা ছিলেন বলে মা-বাব হয়তো আপনার ইগোর তোয়াক্কা করতেন। নতুন সঙ্গী কিন্তু তাতে অভ্যস্ত নন। সেটা খেয়াল রাখবেন। তার উপর পরিবারের সম্পত্তি, প্রতিপত্তি নিয়ে অহঙ্কার দেখাতে শুরু করলে দাম্পত্যজীবন প্রথম থেকেই তিক্ত হয়ে উঠবে।
– প্রথম থেকেই দুজন দুজনের কাজে সাহায্য করুন। অফিস যাওয়া হোক কিংবা ঘরের কাজ একে অপরকে সাহায্য করলে কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হবে নিজেদের জন্য সময়ও পাবেন। আর সত্যি বলতে কি একসঙ্গে ঘরের কাজ করলে যে রোম্যান্টিক অনুভূতি হয় তার কোনও তুলনা নেই।
সংসারে সুখে হয় রমণীর গুণে, এই প্রবাদ যেমন সত্যি তেমনই রমণীর সঙ্গীটিরও সংসারে মন দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। সংসারের দায়িত্ব একজন ঘাড়ে তুলে নিলে অপর জন যেমন হাতের পুতুল হয়ে ওঠেন তেমনই দায়িত্ব নেওয়া সঙ্গী ধীরে ধীরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাই সংসার করুন মিলেমিশে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যতই নতুন সংসার শুরু করুন না কেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্য কারও নাক গলানোর সুযোগ দেবেন না। তা তিনি যত কাছের মানুষই হোন না কেন।
এক ডালা সুখ এবং আনন্দ নিয়ে নতুন সংসার পাতুন। ভালো থাকুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-13 18:01:26
Source link
Leave a Reply