হাইলাইটস
- মহামারির দাপটে প্রতিদিনই খারাপ খবর শুনতে হচ্ছে। প্রিয় মানুষরা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
- মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন। বাড়িতে অসুস্থদের সঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেও অবসাদে ভুগতে শুরু করেছে।
- টিভিতে খবর শুরু হলে শুধু মৃত্যু এবং অসুস্থতার খবর।
এর জেরে সুস্থ মানুষ যেন মনে মনে অসুস্থ হযে পড়ছেন। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার তো উপায় নেই। আপনি অসুস্থ হলে বাড়ির অন্য সদস্যদের খেয়াল কে রাখবে। তাই সকলের মতো নিজের কেয়ালটাও রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন। তাতে শুধু মহামারির সময়ই নয় বাকি সময়েও ক্লান্তি কিংবা অসুস্থতা আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
রোগ উদ্বেগ অবসাদ তাড়ানোর পঞ্চবাণ
সকালের প্রাতঃরাশ
সকালে খালি পেটে জুস খাওয়া মাস্ট। তারপর উষ্ণগরম জলে পাতিলেবুর রস এবং মধু মিসিয়ে সারাবছর খাওয়ার অভ্যাস করুন। একই অভ্যাস করান বাড়ির অন্য সদস্যদের। এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত পেট পরিষ্কার হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। সকালে ভারি জলখাবার খান। দুধ-মুড়ি, দুধ-চিঁড়ে, দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা দুধ-ওটস্ খেতে পারেন। রুটি এবং অল্প তেলে তৈরি তরকারি, অল্প তেলে তৈরি চিঁড়ের পোলাও, সুজি, পাউরুটি টোস্ট, ডিম সিদ্ধ, ফল কিংবা ফলের রস খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। সকালের পেট ভরা খাবার খেলে শরীরের পুষ্টি হয়। সারাদিন কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। ছোটোদের মস্তিষ্ক ভালো থাকে। স্মৃতিশক্তি বাড়ে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
খাবারের তালিকা
প্রতিদিনের রান্না প্রতিদিন করাই ভালো। কর্মরতাদের পক্ষে সবসময় রান্না করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যিনি রান্নার দায়িত্বে আছেন তাঁকে অন্তত খাবারের তালিকা বুঝিয়ে দিন। চেষ্টা করুন সপ্তাহের তালিকা তৈরি করে নেওয়ার। ব্রেকফাস্ট টু ডিনার কোনদিন কোনটা হবে তা ডায়রিতে লিখে নিতে পারে। সেই অনুযায়ী বাজার এবং রান্নার নির্দেশ দিলে টাইম ম্যানেজমেন্টে সুবিধে হয়। যিনি রান্না করবেন তিনি আগে থেকেই তৈরি থাকতে পারে। রান্নার আগের দিন রাতেই সমস্ত উপকরণ জোগার করে রাখলে পরদিন সময় নষ্ট হবে না। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন কিংবা খনিজের উপস্থিতি অনুযায়ী খাবার বাছুন। খেয়াল রাখবেন চিনি এবং নুন যেন কখনও বেশি খাওয়া না হয়। সপ্তাহে একদিন তেলমশলাদার খাবার খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু রোজ রোজ সাদামাটা খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। প্রতিদিন নিজে একটি করে ফল খান। এবং পরিবারের সকলকে এই অভ্যাসটি ধরান। খাবার খান ঘরির সময় ধরে। এতে হজমে যেমন সুবিধা হয় তেমনই ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান
প্রতিদিন পরিমাণ মতো জল খান। পরিমাণ মতো বলতে, আমাদের শরীরে আড়াই থেকে তিন লিটার তরল পদার্থ প্রতিদিন প্রয়োজন। জল সেই ঘাটতি পূরণ করে। তবে শবরত, দুধ, চা বা অন্য কোনও তরল পদার্থও শরীরকে আর্দ্ররাখতে সাহায্য় করে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খাওয়া খুব ভালো অভ্যাস। স্বাদ পরিবর্তন করতে ফলের রস খান। কিন্তু তা বলে সফ্ট বা হার্ড ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। মনে রাখবেন আপনার কোনও বদঅভ্যাস তৈরি হলে তা আপনার সন্তানের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলবে।
ভালো করে ঘুমোন
সারাদিন কাজের পর রাতে মোবাইল ফোন ঘাঁটা বা টিভি দেখা এখন প্রত্যেকের বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করতে করতে রাত যে কখন ভোরের গণ্ডিতে পা রাখে তা বুঝতেও পারেন না কেউ। এটা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতি। প্রতিদিন কম করে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। ছোটো হোক বা বড় প্রত্যেককেই এই নিয়ম মানতে হবে। না হলে সাময়িকভাব শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে উঠলেও এর খারাপ প্রভাব কিন্তু দীর্ঘকালীন। তাই রাতে ভালো করে ঘুমোন। সুস্থ থাকবেন।
টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা
কাজের চাপ পারিপার্শ্বিক অবস্থার দরুন চিন্তামুক্ত থাকা একরকম অসম্ভব। তাও চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত মেডিটেশনের অভ্যাস করুন। গান শুনুন। যোগাভ্যাস করুন। সারাদিন মোবাইল ফোন না ঘেঁটে বই পড়ার চেষ্টা করুন। চুপ করে না থেকে বাড়ির সদস্য, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন গল্প করুন। মন ভালো থাকবে। যে বিষয় নিয়ে চিন্তা তা নিয়ে বেশি কথা বলার দরকার নেই। ভালো এবং মজার সিনেমা দেখুন। রোগ নিয়ে অযথা চিন্তা করবেন না। শরীর এবং মন দুটিকেই সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-13 15:04:57
Source link
Leave a Reply