মহামারী আমাদের কাছে এখন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যতই দিন যাচ্ছে এই রোগটি ভয়াল রূপ ধারণ করছে।
তাই ক্রমশই তাকে অতিক্রম করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে। তরুণদের মধ্যে আবার এই রোগটির সমাধান করা আরো কঠিন হয়ে উঠছে।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মেদ দেখা যাচ্ছে বেশি। তাই তাদের পক্ষে এই ভাইরাসটির চিকিৎসা করাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
মধুমেহ, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগের মতো সময়ও তাদেরই বেশি হচ্ছে। এর পাশাপাশি আবার যুক্ত হচ্ছে এই মারণ ভাইরাসটি।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আসার পর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মের কাছে বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে যাদের বয়স ও উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রেই নাকি সুস্থ হতে সময় লাগছে বলে জানা গেছে।
তাদের ক্ষেত্রে আবার অতিরিক্ত ভেন্টিলেশন প্রেসারও দরকার হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ি থেকে কাজ করার ফল হিসেবে যাদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা ছিলো না তারাও আক্রান্ত হয়েছে এর ফলে।
লক ডাউনের কারণে কয়েক মাস ধরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্যে বসে থাকার সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই শারীরিক সক্রিয়তা কমে গেছে।
কোনোরকম শরীরচর্চা না হওয়ার কারণেই তাদের তলপেটে জমছে মেদ। সেইসঙ্গে কাজের সময় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জীবনধারাও গেছে পাল্টে।
খাবার সময় ও খাবার পরিমাণ কমে গেছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু তরুণের সুষম বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স রয়েছে।
কিন্তু অন্যদিকে তাদের অনেকেরই পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়েছে ৷ তাঁরা আবার সুস্থ হতে বেশি সময় নিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য চিকিৎসকরা তাই সাবধান করে দিচ্ছেন।
এমনটা হচ্ছে শারীরিক কারণে। অক্সিজেনের মাত্রা যাতে বাড়ে সেই জন্য প্রোনিং-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক অবস্থান তাঁদের দিয়ে করানো সমস্যা হয়ে পড়ছে।
এমনকি, অনেক সময় স্থুল রোগীদের জন্য মাপসই অক্সিজেন মাস্কও পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্থুলকায়রা রাতে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারছে না।
ডাক্তারি পরিভাষায় একে বল হয় ‘স্লিপ অ্যাপনি’৷ এর ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাব ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-05-12 15:52:24
Source link
Leave a Reply