ধোকার ডালনা
ধোকা তৈরির রেডিমেড পাউডার বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। তবে বাড়িতে তৈরি করাও খুব একটা কঠিন নয়। সারারাত ছোলার ডাল জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মিক্সিতে ঘনকরে বেটে নিন। কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে তাতে ডাল বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। তাতে মেশান সামান্য নুন, ধনে, জিরে, লঙ্কার গুঁড়ো এবং সামান্য আদাবাটা। খুব ভালো করে তেলের মধ্যে মিশ্রণটি নাড়াচাড়া করুন। এবার একটি বড় থালায় সামান্য তেল মিয়ে তাতে ডালের মিশ্রণটি দিন। হাত দিয়ে চেপে চেপে সমান করে নিয়ে ধোকার আকারে ছুরি দিয়ে কেটে নিন। এরপর ধোকাগুলি ডুবো তেলে হালকা ভেজে ফেলুন। নুন-হলুদ দিয়ে ডুমো করে কাটা আলু আলাদা করে ভেজে রাখুন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে তেলজপাতা, গোটা গরমমশলা, গোটা জিরে এবং হিং ফোড়ন দিন। তাতে মেশান আদাবাড়া এবং টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা। ভালো করে কষিয়ে তাতে জিরে, লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো দিন। স্বাদ অনুযায়ী নুন এবং সামান্য চিনি দিন। খুব ভালো করে কষানোর পর আলু দিয়ে আরেকবার কষিয়ে নিন। এবার এতে জল দিয়ে ভালো করে ফোটান। ধীরে ধীরে ভাজা ধোকাগুলো দিতে থাকুন। নামাবার আগে ঘি গরমমশলা দিয়ে নেবেন।
পটলের দোরমা
আমিষ বা নিরামিশ দুধরনের পটলের দোরমা হয়। আজকে নিরামিশের রেসিপিটাই দেওয়া যাক। বড় সাইজের পটল নিয়ে তার ভিতর থেকে চামচ দিয়ে খুচিয়ে বীজগুলি বের করে নিন। এবং বোটা দুটি কেটে আলাদা করে রাখুন। ফেলে দেবেন না। এবার তৈরি করুন পুর। পটলের বীজ মিক্সিতে বেটে নিন। কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে মিশ্রণটি ভেজে নিন। তাতে মেশান ছানা, নারকেল কোরা, ভাঙা কাজু, কিশমিশ, সামান্য নুন, চিনি। পুরো জিনিসটি ঠান্ডা হওয়ার পর হাত দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিন। এবার পটলের মধ্যে পুর ভরে ফেলুন। পটলের কেটে রেখে দেওয়া বোঁটা ময়দা গোলার প্রলেপ দিয়ে মুখে এঁটে দিন। টুথপিক দিয়েও বোঁটাগুলি পটলে ফের আটকে দিতে পারেন। এবার পটল ভালো করে ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন তার বোঁটাগুলি খুলে যেন না যায়। কড়াইতে তেল দিয়ে তেজপাতা গরম মশলা ফোঁড়ন দিন। পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং টোম্যোটো বাটা দিয়ে খুব ভালো করে ভাজতে থাকুন। এতে মেশান লঙ্কাগুঁড়ো, হলুন জিরে-ধনে গুঁড়ো। প্রয়োজন মতো নুন এবং কাঁচা লঙ্কা দিন। ভালো করে কষানোর পর সামান্য জল দিয়ে ফোটাতে থাকুন। একে একে পটলগুলিকে এই গ্রেভিতে ছেড়ে দিন। নামাবার আগে ঘি-গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেবেন।
দই মাছ
দই মাছ রান্না করা খুব সহজ। নুন হলুদে ম্যারিনেট করা রুই বা কাতলা মাছ ভালো করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিন। মশলার গন্ধ উঠলে তাতে পেঁয়াজ, আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন। এতে মেশান কাঁচালঙ্কা বাটা। নুন, হলুদ, ধনে-জিরে গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, সামান্য চিনি দিয়ে খুব ভালো করে কষান। এবার এতে মেশান খুব ভালো করে ফেটিয়ে রাখা টকদই। দেখবেন মশলাটি সুন্দর সোনালি রং হয়ে গেছে। খুন্তি দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফোটাতে শুরু করুন। ধীরে ধীরে ভাজা মাছগুলি গ্রেভিতে দিয়ে দিন। হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
ইলিশ মাছের পাতলা ঝোল
ইলিশ মাছ অল্প নুন এবং হলুদ দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। ছোটো ছোটো লম্বা টুকরো করে কাটা বেগুন তেলে ভেজে নিন। কড়াইয়ে সর্ষে তেলে দিয়ে কালো জিরে ফোঁড়ন দিনে। তাতে মেশান হলুদগুঁড়ো, নুন, সামান্য জিরে গুঁড়ো। অল্প নাড়াচাড়া করেই তাতে জল দিয়ে ফোটাতে শুরু করুন। ম্যারিনেট করা কাঁচা মাছ এতে দিয়ে ভালো করে ফোটাতে থাকুন। শেষে এতে ভাজা বেগুন এবং কাঁচালঙ্কা চেরা দিয়ে দিন। ইলিশ মাছ নরম মাছ। ভাজার দরকার পড়ে না। তাছাড়া ভাজলে ইলিশের স্বাদ এবং গন্ধও চলে যায়। তাই সাধারণত কাঁচা মাচ সরাসরি রান্নার প্রচলনই রয়েছে। অনেকে অবশ্য মাছ ভেজে নিতে পছন্দ করেন।
ভাপা চিংড়ি
চিংড়ি মাছ ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার সর্ষে, পোস্ত এবং নারকেল আলাদা আলাদা ভাবে বেটে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তাতে দিন নুন, সর্ষের তেল, সামান্য চিনি। খুব ভালো করে মিশিয়ে তাতে চিংড়ি মাছ গুলি দিয়ে দিন। সমস্ত মিশ্রণ একটি ধাতুর তৈরি টিফিনবক্সের মতো পাত্রে দিয়ে ওপরে কাঁচা লঙ্কা চেরা এবং কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিন। বাক্সের ঢাকনা বন্ধ করে নিন। খেয়াল রাখবেন সেটি যেন শক্ত হয। কোনোভাবেই খুলে না যায়। এবার কড়াইতে জল দিয়ে টিফিন বক্সটি ভসিয়ে দিন। টিফিন বক্স যেন ডুবে যায় না। ২০-৩০ মিনিট থেকে ভাপিয়ে নিন। অল্প ঠান্ডা হলে টিফিন বক্স খুলুন। এক থালা ভাত এই দিয়েই শেষ হয়ে যাবে।
কষা মুরগি বা মটন
ইলিশ, চিংড়ি হল এবার মুরগি মটনের পালা। চিকেন বা মটন ভালো করে ধুইয়ে দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। বড় ডুবো করে কাটা আলু নুন-হলুদ দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, গোটা গরমমশলা এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিন। তাতে মেশান পেঁয়াজ-আদা-রসুন বাটা। মশলা ভাজা ভাজা হলে তাতে নুন, হলুদ, লঙ্কা, কাশ্মীরি লাললঙ্কা এবং জিরে গুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে কষান। এবার এতে চিকেন দিয়ে আরও খানিকটা দই দিয়ে দিন। অল্প আঁচে সমানে কষাতে থাকুন। দেখবেন রান্নার গন্ধে মুগ্ধ হয়ে গেছেন। অল্প জল দিয়ে গ্রেভি তৈরি করে নিন। অল্প জল দিয়ে গ্রেভি তৈরি করে নিন। মটন হলে প্রেশারকুকারে বেশ কয়েকটা সিটি দিয়ে নেবেন। না হলে মাংস ভালোমতো সিদ্ধ হবে না।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-11 12:27:41
Source link
Leave a Reply