সঠিক সময় রক্তের সরবরাহ বাঁচিয়ে দিতে পারে একজনের মূল্যবান জীবন। কিন্তু প্রয়োজনে রক্ত পাবেন কোথায়? সরকারি হাসপাতাল, ব্লাড ব্যাংক বা স্বেচ্ছাসেবী কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনি প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত পেতে পারেন। আর এবারের নকশায় থাকছে তারই বিস্তারিত।
রেড ক্রিসেন্টঃ এখানে রক্ত সংগ্রহ করতে স্বল্পমূল্যের সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। এখানকার নিয়মিত রক্তদাতা হলে তিনি যত বার রক্ত দিয়েছেন, তাঁর প্রয়োজনে তিনি ততবার কোনো রকম অর্থ ছাড়াই রক্ত সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া রক্তদাতার আত্মীয়স্বজনদের জন্যও বিশেষ মূল্যহ্রাস পাওয়া যায়। ঠিকানাঃ ৭/৫ আওরঙ্গজেব রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ফোনঃ ৮১২১৪৯৭।
সন্ধানীঃ সন্ধানী পরিচালিত হয় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠানে রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রথমেই কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসকের অনুমতিপত্র দেখাতে হবে। আর সেখানে উল্লেখ থাকতে হবে কোন গ্রুপ ও কত ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন। এখানে তিন ভাবে রক্ত দেওয়া হয়। এক· রক্তদাতার পরিচয়পত্র দেখিয়ে রক্ত সংগ্রহ করা যায়। দুই· বিনিময় পদ্ধতিতে অর্থাৎ যে গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন তা নিয়ে অন্য গ্রুপের রক্ত দেওয়া। তিন· অক্ষম বা দুস্থ ব্যক্তিকে বিনা মূল্যে কোনো শর্ত ছাড়াই রক্ত দেওয়া হয়। ঢাকায় সন্ধানীর শাখাগুলো হলোঃ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ফোনঃ ৭৩১৯১২৩। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফোনঃ ৯৬৬৮৬৯০। মিরপুর ডেন্টাল কলেজ, ফোনঃ ৯০১১৮৮৭।
কোয়ান্টামঃ এখানে রক্তদাতাকে নিজের জন্য বিনা খরচে এবং আত্মীয়স্বজনদের জন্য কিছু শর্তে রক্ত সরবরাহ করা হয়। ঠিকানাঃ ১/১ পাইওনিয়র রোড, কাকরাইল, ঢাকা। ফোনঃ ৯৩৫১৯৬৯, ৮৩২২৯৮৭, ওয়েবসাইটঃ www.quntumbd.org
বাঁধনঃ বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাঁধনের শাখা রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি কোনো শর্ত ছাড়াই রক্ত সরবরাহ করে। এটি বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং প্রত্যেক শাখাতে রক্তদাতার নামের তালিকা থাকে। তাই যেকোনো সময় রক্তের প্রয়োজন হলে সহজে এই প্রতিষ্ঠানটি রক্ত সরবরাহ করতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এর একটি অফিস রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
এ ছাড়া ইন্টারনেটে bangladeshinfo.com-এ খোঁজ নিলে কিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানাও পাওয়া যাবে।
উপরে উল্লিখিত এসব প্রতিষ্ঠান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। বিশেষ বিশেষ রক্তের গ্রুপ, যেমন-এ এবং ও নেগেটিভের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব আগে রক্তের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে খোঁজ নিন এসব প্রতিষ্ঠানে।
লক্ষ্য করুন
–রক্ত সংগ্রহের আগে রক্ত গ্রহণকারীর রক্তের গ্রুপ ও সংগৃহীত রক্তের গ্রুপ এক কি না তা পরীক্ষার করে নিশ্চিত হোন।
–রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশের আগে সংগৃহীত রক্তে এইচআইভি, হেপাটাইটিস ‘বি’ ‘সি’, ম্যালেরিয়া বা অন্য কোনো রোগের জীবাণু আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিন।
–রক্ত অবশ্যই অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বা ব্লাডব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ করুন। অনুমোদনহীন বা ভ্রামমাণ ব্লাডব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ করে ঝুঁকি নেবেন না।
মোছাব্বের রিবন
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৮, ২০০৮
Leave a Reply