হাইলাইটস
- করোনার প্রথম ধাক্কায় এখনো সঠিকভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
- তার ওপর আবারও গোটা দেশে আছড়ে পড়ল করোনা দ্বিতীয় ঢেউ।
- যার ফলে কার্যত বেশামাল উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদন্ড পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা।
করোনার প্রথম ধাক্কায় এখনো সঠিকভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তার ওপর আবারও গোটা দেশে আছড়ে পড়ল করোনা দ্বিতীয় ঢেউ। যার ফলে কার্যত বেশামাল উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদন্ড পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। কারণ গত বছরই করোনা ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পর লকডাউনের কারণে অধিকাংশ বুকিং বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল উত্তরবঙ্গের এই শিল্প। তবে আবারও দ্বিতীয় ধাক্কাতে বাতিল হল উত্তরবঙ্গের ৯০% বুকিং। গতবছরের লোকসান এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যবসায়ীরা তার ওপর আবার এই বুকিং বাতিল কার্যত দিশেহারা পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত উত্তরবঙ্গের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিমালায়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, গতবছর করোনার দাপটে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প অনেকটাই লোকসান হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর আবারো করণা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত বুকিং বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্প এই পর্যটন শিল্প আজ চরম লোকসানের তাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানায় এখন অন্তত পর্যটন ব্যবসায়ীদের দিকে তাকাক সরকার। একই সাথে তিনি আরো বলেন এই পরিস্থিতিতেও বেশ কিছু কর দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সেগুলিও মুকুব করুক সরকার।
অন্যদিকে গ্রামীণ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কনজারভেশন এন্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, উত্তরবঙ্গে হোম হোস্টের আন্ডারে প্রায় ১২ হাজার রুম রয়েছে। এই হোমস্টে মালিকদের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হোম স্টে মালিক যারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তাদের হোমস্টে গুলিকে মেরামত করে একটু ভালো করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাদের কাছে চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছেকি করে এই লোন শোধ করবে। কারণ নির্বাচনের সময় থেকেই ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে পর্যটক আসা প্রায় কমে গিয়েছিল । তার ওপর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের সমস্ত হোম স্টের বুকিং বাতিল।
অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, গতবছর লকডাউনের লোকসান এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হোটেল ব্যবসায়ীরা। আবারো করোনার এই দাপটে এই মুহূর্তে পর্যটকশূন্য পাহাড়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দার্জিলিংয়ের প্রায় ৩০০ টি হোটেলের বুকিং বাতিল হয়ে গিয়েছে। যার ফলে লোকসান আরো অনেকটাই বেড়ে। কারণ প্রচুর হোটেলের মালিক দার্জিলিঙে লীগে হোটেল নিয়ে ব্যবসা করেন। তাই এই মুহূর্তে হোটেলে পর্যটক না থাকায় হোটেলে স্টাফেদের মাইনা দেওয়া এবং অন্যান্য হোটেলের খরচ চালাতে পারছেনা হোটেল মালিকরা। সেজন্য তারা হোটেল বন্ধ করে দিচ্ছে। অন্যদিকে তিনি আরো বলেন দার্জিলিংয়ের এই তিনশটি হোটেলে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার প্রায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে কিন্তু এই মুহূর্তে হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারাও এই মুহূর্তে বেকার। ফলে পাহাড়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেকটাই।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-10 18:06:16
Source link
Leave a Reply