যন্ত্রটি কেনার পর এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
যন্ত্রটি কোনও ভাবেই আগুনের কাছে রাখা যাবে না। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের আশপাশে আগুন জ্বললে তার থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। অন্তত দু’মিটার দূরত্বে আগুন জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ, রান্নাঘরে কখনওই রাখা যাবে না এই যন্ত্র। জল যেন না পড়ে যন্ত্রের উপরে। ফলে স্নানের সময়ে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর অনেকটাই দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজন বুঝে, সযত্নে যন্ত্রটি ব্যবহার করতে হবে। ফলে স্নানঘরে না নিয়ে যাওয়াই ভাল। ধূমপানের সময়ে দূরে থাকতে হবে এই যন্ত্রের থেকে। যে ঘরে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবহার করা হচ্ছে, সে ঘরে কখনও ধূমপান করা ঠিন নয়। তাতে ক্ষতি হতে পারে।
অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (Oxygen Concentrator) কী?
অক্সিজেন কনসেনট্রেটর একটি বৈদ্যুতিন যন্ত্র। যা নিজে থেকেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অক্সিজেন তৈরি করতে সক্ষম। এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (Oxygen Concentrator) কাজ হল বাতাসে উপস্থিত অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন সংগ্রহ করা এবং ন্যাজাল ক্যানুলা (Nasal Cannula) অথবা অক্সিজেন মাস্কের (Oxygen Mask) মাধ্যমে রোগীকে বিশুদ্ধ বায়ু সরবরাহ করা। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৯৫% খাঁটি অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, করোনাকালে অক্সিজেনের যোগান নিয়ে দুর্ভোগ কমাবে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। তবে তা ব্যবহার করতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো। ২০১৫ সালে WHO-এর এক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, টানা অপারেশনের জন্য এই যন্ত্র কাজে লাগে। একদিনে ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন দিতে পারে এই যন্ত্র।
কেনার আগে বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ নিন
অক্সিজেন হোম থেরাপির জন্য সিলিন্ডার বা কনসেনট্রেটর কেনার আগে, আপনার অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত যে, রোগীর কত লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন। ঘনত্বের ক্ষমতা আপনার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হওয়া দরকার। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি প্রতি মিনিটে ৩.৫ লিটার অক্সিজেন চান, তবে আপনাকে ৫ লিটারের কনসেনট্রেটর কিনতে হবে।
অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (Oxygen Concentrator) দাম
এই যন্ত্র কেনার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনলাইনেই মূলত পাওয়া যায়। এই যন্ত্রের দাম ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু। তবে, এর থেকেও বেশি দামের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাওয়া যায়, যার দাম ৬০ হাজার টাকা। পরিবেশ থেকে বাতাস নিয়ে তার মাধ্যমে অক্সিজেন সংগ্রহ করে এই যন্ত্র। সেখান থেকে রোগী প্রয়োজন মতো রেগুলেটর বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন। এটি বিদ্যুতে চলে। এই যন্ত্র চালাতে গেলে জল দিতে হয়। দ্রুত জল শুকিয়ে যেতে পারে, ফলে মেশিনে জল কমে যাচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় এর বাজার অফলাইন ও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু ওয়েবসাইট, যেমন ১ এমজি (1mg), নাইটিংলেস ইন্ডিয়া (Nightingales India), হেলথক্লিন (Healthklin), ও হেলথজিনি (Healthgenie) অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বিক্রি করছে। তবে এ ক্ষেত্রে ক্রেতাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে কারণ কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা নেবুলাইজার (Nebulisers) এবং হিউমিডিফায়ার-কে (Humidifier) বিক্রি করছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর-এর দামে।
আপনার কী ধরণের (Oxygen Concentrator) প্রয়োজন
বাজারে দু’ধরণের কনসেন্ট্রেটার রয়েছে, স্টেশনারী এবং বহনযোগ্য। উভয় ধরণের সরঞ্জামেরই অক্সিজেন উত্পাদন করতে রিফিলিং প্রয়োজন হয় না। তবে, স্থির কেন্দ্রে সরাসরি বিদ্যুতের সাথে চালানো হয়, যখন তারা বহনযোগ্য ব্যাটারিতেও চালাতে পারে। পোর্টেবলগুলি ব্যয়বহুল যা আপনি আপনার সাথে যে কোনও জায়গায় নিয়ে যান। কোভিড চলাকালীন লকডাউন চলাকালীন আপনার পোর্টেবলের পরিবর্তে স্থির ঠিকাদার কিনতে হবে। একই সাথে, আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান তবে একটি পোর্টেবল কিনতে পারেন।
কখন অক্সিজেন নেওয়ার দরকার হয়
৯৪-এর নীচে নেমে গেলেই অক্সিজেন দিতে হবে আলাদা ভাবে। চিকিৎসকদের মতে, বহু করোনা রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শ্বাসকষ্ট টের পাচ্ছেন না তাঁরা। অথচ অক্সিমিটার দেখাচ্ছে ৯৪-এর নীচে নেমে গিয়েছে মাত্রা। এমন পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক। ফলে অক্সিমিটারে রোজ মাপতে হবে অক্সিজেনের মাত্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্সিমিটারে ৯০ পর্যন্ত অনেক রোগীকেই স্থিতিশীল দেখা যায়। কিন্তু ততটা নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে চলবে না। কারণ, অক্সিজেনের মাত্রা পড়ার গতি বেড়ে গেলে তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল। ফলে ৯৪-এর আশপাশে গেলেই কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দিতে হবে রোগীকে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-10 12:11:12
Source link
Leave a Reply