হাইলাইটস
- করোনার প্রথম ঢেউ যা পারেনি, তাই হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে।
- গত বছরের থেকে অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই বছরে। পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
- করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে রোগীদের মধ্যে।
একাধিকবার চরিত্র পরিবর্তন করে আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে করোনা। যাঁরা করোনা মুক্ত (coronavirus) হচ্ছেন তাঁরা ফের আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে। তাই তাঁদেরও বিশেষ সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা থেকে সুস্থ হলে পরিবর্তন করুন নিজের ট্রুথব্রাশ (toothbrush)। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, কোনও রোগী করোনা থেকে মুক্ত হলেন, ব্রাশে এই মারণ রোগের (Covid-19) উপসর্গ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর থেকে পরিবার কিংবা অন্য কারোর ছড়িয়ে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসকদের, আপনার চেনা জানা কেউ যদি কোভিড থেকে সুস্থ হন। তাহলে তাকে বলুন, দ্রুত নিজের ব্রাশ যেন পরিবর্তন করে। কারণ এর ফলে বাকিদেরও কোভিডে (Covid-19)সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খুব ভালো হয় যদি সে নিজের ব্রাশটি নষ্ট করে দেওয়া যায়।
কোভিডের কত দিন পর দাঁত ব্রাশ পরিবর্তন করবেন?
চিকিৎসক প্রবীণ মেহরার মতে, যিনি কোভিড -১৯ থেকে সদ্য সেরে উঠেছেন তাঁর নতুন টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। এর ফলে এটি ব্যক্তিকে নতুন করে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং হ্রাস বাড়ির সদস্যরাও সুস্থ থাকবেন। যাঁরা একই ওয়াশরুম ব্যবহার করছেন তাঁদের থেকে সংক্রমণ রোধ করতে পারে। আকাশ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরামর্শক ডাঃ ভুমিকা মদন একমত হয়েছেন এই বিষয়টির সঙ্গে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ঠিক কতদিন পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোভিড (Covid-19) পজিটিভ হওয়ার ২০ দিন পর আপনার দাঁত মাজার ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত।
ওরাল হেল্থ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন
বিএমসি ওরাল হেলথ জার্নালে মুখের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সম্পর্কে বলা হয়েছে, ব্রাশ ব্যবহারের পরে মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক থেকে যেতে পারে। কোভিডমুক্ত হওয়ার পর ফের সংক্রমণ তো বটেই তাছাড়াও মুখের মধ্যে বিভিন্ন রোগও হতে পারে তা থেকে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি ব্রাশ রাখলেও জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে যেসব রোগীরা ফ্লু, সর্দি-কাশি বা জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁদেরও ব্রাশ বদল করা উচিত।
সমীক্ষা কী বলে?
কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর ওরাল হেল্থ, দাঁত ব্রাশ এবং জিহ্বা পরিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ছোট ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। হাঁচি, কাশি, কথা বলা, হাসির মাধ্যমে যা এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। নিজের নাক, চোখ, মুখ হাত দিয়ে ধরার ক্ষেত্রেও নিষেধ করেছে হু। সেক্ষেত্রে ব্রাশ পরিবর্তন করাও মুখের স্বাস্থ্যের মধ্যেই পড়ে।
টুথব্রাশের মাধ্যমে কী ভাবে কোভিড-১৯ ছড়াতে পারে?
কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি, চেঁচানো, জোরে কথা বলা, হাসার সময় মুখ থেকে যে জলের ফোঁটা, থুতু বা লালা বেরিয়ে আসে, তার মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ে বলে আমরা সকলে জানি। করোনাভাইরাসকে বায়ুবাহিত বলা হচ্ছে, অর্থাৎ, যখনই কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ থেকে ড্রপলেট বেরোচ্ছে, তা হাওয়ায় মিশে গিয়ে কিছুক্ষণ সেখানে জীবিত থাকে। ফলে সহজেই তা অন্য ব্যক্তির মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির টুথব্রাশ ও টাঙ্গ ক্লিনার থেকেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উপস্থিত থাকতে পারে। তাই সেড়ে ওঠার পরও সেই সমস্ত বস্তু ব্যবহার করলে পুনরায় সংক্রমিত হওয়া বা অন্যের মধ্যে সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
পরিবারের কোনও সদস্য যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তা হলে তাঁরা শীঘ্র নিজের ব্রাশ ও টাঙ্গ ক্লিনার পাল্টে ফেলুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-09 10:16:24
Source link
Leave a Reply