শহুরে জীবনে আলমারির ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবু প্রয়োজনীয় পোশাকটি অনেক সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। সঠিকভাবে আলমারি গুছিয়ে না রাখার কারণেই এমনটি হয়। পরিপাটি আলমারি দেখতেও ভালো লাগে। সহজেই সব পাওয়া যায় এবং সময়ও বাঁচে। কোন পোশাক কীভাবে রাখবেন তা-ই এবার জানাবেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
পোশাকগুলো বিভিন্নভাবে ভাগ করুন, ঘরে পরা, অফিসের জন্য পরা, ক্যাজুয়াল পোশাক, ঋতুভিত্তিক পোশাক ও উত্সবধর্মী পোশাক। এগুলো আলাদা করে রাখলে আলমারি এলোমেলো হবে না। প্রয়োজনীয় পোশাকটি সহজেই পেয়ে যাবেন।
শিশুদের পোশাক সব সময় নাগালের মধ্যে রাখুন। আলমারির বিশেষ একটি জায়গা ওদের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
প্রতি সপ্তাহে কী কী পোশাক পরবেন এর একটি তালিকা করুন। এ তালিকা অনুযায়ী পোশাক বেছে রাখুন। এতে অযথা সময় নষ্ট হবে না।
মসলিন, জামদানি, কাতান ও ভারী কাজ করা শাড়ি কখনো চাপাচাপি করে রাখা উচিত নয়। রোল করে কিংবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখাই ভালো। মিলিয়ে পরা ব্লাউজগুলো শাড়ির সঙ্গেই রাখুন।
সুতির শাড়ি রাখার ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়া উচিত। কেননা নিত্যদিনে সুতির শাড়ির ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি। অন্য ব্লাউজগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন।
ছেলেদের ফরমাল শার্ট-প্যান্ট একসঙ্গে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। কিন্তু প্রতিদিন পরার পোশাক আলাদা করে রাখুন, এমনকি টি-শার্ট, ট্রাউজারগুলোও। এসব পোশাক কাছাকাছি রাখুন, যাতে সহজেই পাওয়া যায়, তা না হলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাইরে থেকে আসার পর পোশাকটি বাতাসে মেলে দিন। ঘাম শুকিয়ে গেলে নির্দিষ্ট জায়গায় গুছিয়ে রাখুন। ফলে কাপড় জমে থাকবে না।
মাসে অন্তত এক দিন আলমারি গুছিয়ে ফেলুন। কাপড় রোদে দিন। এতে ভাপসা গন্ধ দূর হবে।
কাপড় রাখার সময় কাপড়ের ভাঁজে ন্যাপথলিন রাখতে ভুলবেন না।
সামর্থ্য থাকলে পরিবারের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলমারির ব্যবস্থা রাখা উচিত।
মৌসুমি পোশাকগুলো রোদে দিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে আলমারিতে রাখুন।
বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের পোশাক গোছানোর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
তৌহিদা শিরোপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৭, ২০০৯
Leave a Reply