হাইলাইটস
- নিজেকে ধরে রাখতে জিম মুখ হতেই হয় অনেকের। কিন্তু করোনার জেরে তা এখন বন্ধ।
- ফলে নিজেকে ধরে রাখাতে কি করা দরকার, এ নিয়ে চিন্তিত অনেকেই।
- সংক্রমণের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ফলে বাড়িতেই গোটা অফিস তুলে আনতে হয়েছে।
- ফলে, ঘর ও অফিস সামলাতে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন।
ওজন কমাতে সময়ের অভাবে ব্যায়াম করতে পারছেন না। আবার বিভিন্ন কারণে ডায়েটও করা হচ্ছে না। তাহলে কি মোটাই থেকে যেতে হবে? একদম না। ডায়েট, ব্যায়াম ছাড়াও ওজন কমানো সম্ভব।
অনেকে মনে করেন কম খেয়ে নাকি ওজন কমানো যায়। আসলে কথাটি সত্য নয়। কম খেলে ওজন কমে না। বরং এর ফলে মোটা তো হবেনই এবং শরীরে বিষ-ব্যাথাও বাড়বে। ঘন্টা খানেক না খেয়ে থাকার পরিবর্তে, যদি আপনি স্বাস্থ্যকর ডায়েট নেন এবং আপনার কিছু অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করেন, আপনি এখনও ওয়েটলস করতে পারেন। তার জন্য মাথায় রাখুন এই ৫টি বিষয়-
রসের পরিবর্তে গোটা ফল খান
ফলের রস আমাদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর তবে আপনি যদি গোটা ফল খান তবে তা আরও ভালো। চিনি মেশানো প্যাকেট ফলের রসের চেয়ে গোটা ফল খাওয়া বেশি উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় ওজন বাড়ায় না।
এ ছাড়াও একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে ফল খাওয়া টাইপ -২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়। দোকান থেকে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার কিনতে গেলে বা প্যাকেট ফুড কেনার আগে সাবধান হোন। ফ্যাটলেস লেখা অনেক খাবারের প্যাকেটেই ঘুরপথে ফ্যটের কথা লেখা থাকে। ট্রান্স ফ্যাটের কথাটা তাই ভুললে চলবে না। এড়িয়ে চলুন সে সব।
অতিরিক্ত নয়, পরিমিত খাবার খান
বেশি খাওয়া অভ্যেস হয়ে গেলে শরীর খিদে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারায়। অর্থাৎ কখন খিদে পাচ্ছে, কতটা খাওয়া প্রয়োজন এই অনুভূতিটাই চলে যায়। বেশি খাওয়া মানেই নুন, চেনি বেশি মাত্রায় খাওয়া। এখান থেকে হরমোনের তারতম্য হয়। ফলে তখন খাবার খাওয়ার কোনও আনন্দ থাকে না। খেতে বসলেই আমরা চারিদিকে খাবার সাজিয়ে বসি। এছাড়া করোনাকালে বাড়িতে থাকায় প্লেট ভর্তি খাবার খেতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। অতিরিক্ত খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণ মেদ জমে। বেশি খাওয়া মানেই বেশি ক্যালোরি জমা হওয়া। আর পর পর খাবার খেতেই থাকলে সেই ক্যালোরি বার্ন হয় না। ফলে শরীরে হতে থাকে ফ্যাটের স্তর। যেখান থেকে ওবেসিটি আসতে বাধ্য।
অস্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হজমের সমস্যা, গ্যাস- অম্বলের সমস্যা এসব আসতেই পারে। এবং আসাটা খুব স্বাভাবিক। বেশি খেলেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। এছাড়াও অনিদ্রা, মাথা ধরা, পালস রেট বেড়ে যাওয়া এসব থাকেই। এছাড়াও ইনসুলিন ক্ষরণ বেড়ে যায়। খেয়ে যদি বমি, গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় ভুগতে হয় তাহলে সেখান থেকে হতে পারে বড় কোনও সমস্যা। ওজন কমাতে চাইলে জল পান করুন। পানীয় জল কেবল তৃষ্ণা নিবারণ করবে না, ক্ষুধাও প্রশমিত করে।
খাবারে দারচিনি ব্যবহার করুন
দ্য জার্নাল অফ আমেরিকান কলেজ অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, রুটি, সিরিয়াল এবং অন্যান্য স্টার্চ জাতীয় খাবারে যদি সামান্য পরিমানে দারচিনি দেওয়া যায় তবে, দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা বোধ করবেন না।
কিছুক্ষণ পর পর খান
ওজন হ্রাস করার জন্য অনাহারে থাকবেন না। এটি করলে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। পরিবর্তে আপনার কিছুক্ষণ পর পর খাওয়া উচিত। আপনি অহেতুক ক্ষুধা বোধ করবেন না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ক্যালোরিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন অনুযায়ী আপনার শরীরে কত ক্যালোরির খাবার দরকার তার পরামর্শ আগে নিয়ে নিন কোনও চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের থেকে। সেই অনুযায়ী ঠিক করতে হবে পাতে থাকবে কতটা ফ্যাট।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-06 11:02:11
Source link
Leave a Reply