নিজস্ব প্রতিবেদন: গান শিখলে বুদ্ধি বাড়ে! না, এমন আজব কথা কেউ কখনও শোনেনি। কিন্তু পৃথিবীতে নানা দেশে নানা বিজ্ঞানীর দল বিচিত্র সব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে নানা নতুন নতুন জিনিস সামনে আনছেন। তেমনই একটি নতুন বিষয় হল, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায় হিসেবে সঙ্গীতকে ব্যবহার করা।
আসলে এ যুগটা কম্পিউটারের যুগ। সেই যুগে কোডিং (coding) শিখে কিছুটা এগিয়ে থাকাটাই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে কেরিয়ারে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায়। ফলে ‘teach kids to code’একটা আন্দোলন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: শিং ছিল কুমিরেরও! এবার স্বীকার বিজ্ঞানীদের!
কিন্তু সত্য়িই কি বিষয়টা তাই? MIT-র এক দল বিজ্ঞানী বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, computer code বুঝতে পারার দক্ষতা এর নিজস্ব ক্ষেত্রের দক্ষতা। কিন্তু তার সঙ্গে সেই অর্থে ভাষা, গণিত বা যুক্তিবিদ্যা শিখে ফেলার কোনও সংযোগ নেই।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (MIT) গবেষণা বলছে, কোডিং গণিতনির্ভর হলেও আদতে তা গণিত নয়, ফলে এক্ষেত্রে শিশুরা শুধু কোডিংটাই শেখে, গণিতের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ হওয়ার সুযোগ মেলে না। তাঁদের পরামর্শ– যদি সন্তানকে বুদ্ধিমান করে তুলতেই হয় তাহলে তাকে একেবারে ছোট থেকেই কোনও মিউজিক স্কুলে ভর্তি করে দিন।
MIT-পরিচালিত গবেষণাটি জুরিখ ইউনিভার্সিটিতে করা হয়েছিল। সেখানে যাঁরা মিউজিক শিখেছেন এবং যাঁরা শেখেননি এমন দুটি দলের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে দেখা হয়েছিল। সমীক্ষা বলছে, যাঁরা মিউজিক শিখেছেন, তাঁদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সুসংবদ্ধ ভাবে চিন্তাভাবনা করে। মস্তিষ্কের যে অংশ শব্দ শুনে সাড়া দেয় এবং কথা বলায় সাহায্য করে, সেই অংশ সঙ্গীতের দ্বারা বিশেষ ভাবে উদ্দীপিত হয়। বিশেষ করে বাদ্যযন্ত্র শিখলে এই উপকারিতাটা বেশি হয়। কেন না, বাজনা বাজাতে গেলে তাল ও ছন্দের দিকে তীব্র খেয়াল রাখতে হয় আর তাতেই উর্বর হয়ে ওঠে মস্তিষ্ক।
তাই যারা ছোট থেকেই কোনও মিউজিক শেখে, তারা সংবেদনশীলতা এবং বুদ্ধিবৃত্তির দিক থেকে অন্যদের চেয়ে, বা বলা ভাল যারা শুধুই কোডিং শেখে তাদের এগিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: এই প্রথম প্রকাশ্যে এল Covid-19 ভাইরাসের মিউটেশনের Molecular Image, দিশা মিলছে সংক্রমণের
Zee24Ghanta: Lifestyle News
2021-05-05 18:23:15
Source link
Leave a Reply