ঘি তখনই শরীরের ক্ষতি করে, যখন তা অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া হয়। তাই ঘি-এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণ মেনে ঘি খান। শীতকাল ছাড়াও গরমের সময়ও ঘি খাওয়া ভালো তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
শরীরে শক্তি বাড়াতে
আমাদের দেহে কোষের শক্তি বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর প্রোটিন শরীরকে পুষ্টি গ্রহণ এবং হরমোন তৈরি করতে ফ্যাট সহায়তা করে। তাই গ্রীষ্মের মরসুমেও ডাল, রোটি ও সবজিতে এক চামচ ঘি খেতে পারেন। ঘিতে ফ্যাট এর পরিমাণ বেশ বেশি, তাই যারা ওজন বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন ঘি ভাত আলুসিদ্ধ তাদের জন্য স্টেপল ফুড হওয়া উচিত।
ইমিউনিটি বাড়াতে
আমরা যাই খাই না কেন, করোনাকালে ইমিউনিটির প্রয়েজনীয়তা বেশি। যা ঘি-এর থেকে পাওয়া যায়। ঘি ইমিউনিটি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই ঘি খাওয়ার ফলে আমরা সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পাই। ঘিতে রয়েছে বাটরিক অ্যাসিড, স্বল্প সময়ের ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালো। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। ঘি একটি ল্যাকটোজ ফ্রি মিরাকল ফুড যা কিনা ফ্যাট সলেবল ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ।
শরীরে জলের অভাব মেটায়
ঘি শরীরের অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতা ভারসাম্য রাখতে খুব উপকারী। এটিতে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে সুতরাং এটি আপনাকে ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। ঘি খাওয়া ভালো বিশেষত গরমের সময় যখন শরীরে জলের অভাব হয়। শুধু তাই নয়, ঘি খেলে ত্বক নরম হয়। ঘি এর antiviral ও anti fungal ধর্মের জন্য দায়ী লাউরিক এসিড। ঘি এর সাথে হলুদ মিশিয়ে তৈরি মিশ্রণ বেডসোর এর নিরাময়ে ঘরোয়া উপায় হিসাবে গন্য করা হয়।
হজম উন্নত করে
আপনি হয়ত জানেন না, খালি পেটে ঘি খাওয়া হজমে উন্নতি করে। এর অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য প্রতিটি রোগের জন্য দুর্দান্ত একটি প্রতিকার আয়ুর্বেদের মতে, ঘি শরীরের হজম উন্নতি এবং পুষ্টির মান শোষনের অন্যতম সেরা খাবার। ঘি তে আছে প্রচুর পরিমানে বিউটারিক এসিড যা ইন্টেস্টাইনর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।কোলন এর কোষগুলি বিউটারিক এসিড থেকেই প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করে। যে কোনো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সাথে ঘি মিশ্রিত হলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয় সামান্য হলেও, ডায়াবেটিক পেশেন্ট দের জন্য যা উপকারী।
শরীরকে ঠান্ডা রাখে
অনেকগুলি গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘি খাওয়ার ফলে আপনার মন এবং শরীরে শীতলতা অনুভূত হয়। কারণ ঘি প্রদাহ হ্রাস করার পাশাপাশি শরীরকে শিথিল করার ক্ষমতা রাখে। এটি স্বাদে মিষ্টি এবং প্রকৃতির শীতল। এই কারণেই গ্রীষ্মে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই এই নিবন্ধটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গ্রীষ্মে ঘি খাওয়া কতটা জরুরি। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বলা হয় ঘি এর সাথে অশ্বগন্ধা বা ব্রাহ্মীশাক মিশিয়ে খেলে মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-05 13:35:30
Source link
Leave a Reply