হাইলাইটস
- কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দুটিই ভারতে তৈরি করোনার টীকা, ভারতের করোনার বিরুদ্ধে টীকাকরণ অভিযানের অংশ।
- তবে কোভ্যাকসিন পুরোপুরি ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন আর কোভিশিল্ড পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করলেও গবেষণা করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
- করোনার বিরুদ্ধে এই দুটি ভ্যাকসিনই ব্যবহার করা হলেও এদের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বর্তমানে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আমাদের দেশে দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এবং সেরাম ইনস্টিটিউট – অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি – অ্যাসট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড। স্পুটনিক ভি-সহ আরও কয়েকটি ভ্যাকসিন আগামী কিছুদিনের মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ হবে।
এখন আমরা আলোচনা করব কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন – করোনার এই দুটি টীকার সম্পর্কে। এদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়, উপকারিতা কী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী তা জেনে নেওয়া যাক।
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দুটিই ভারতে তৈরি করোনার টীকা, ভারতের করোনার বিরুদ্ধে টীকাকরণ অভিযানের অংশ। তবে কোভ্যাকসিন পুরোপুরি ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন আর কোভিশিল্ড পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করলেও গবেষণা করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। করোনার বিরুদ্ধে এই দুটি ভ্যাকসিনই ব্যবহার করা হলেও এদের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য রয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এখনও পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় টীকা। বেশিরভাগ দেশই এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে। অন্য়দিকে কোভ্যাকসিনকে করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করছেন অনেকে।
এই দুটি ভ্যাকসিনই নিষ্ক্রিয় ভাইরাস দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিশিল্ডে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাডেনোভাইরাস, যা শিম্পাঞ্জির মধ্যে পাওয়া যায়। অন্যদিকে কোভ্যাকসিনে ব্য়বহার করা হয়েছে নিষ্ক্রিয় ভাইরাল স্ট্রেইন। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন, উভয়ের জন্যই দুটো করে ডোজ নিতে হবে। দুটি ভ্যাকসিনই হাতের ওপরের দিকের মাসলে পুশ করতে হয়।
কোভ্যাকসিন প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪-৬ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়, অন্যদিকে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয় ৬-৮ সপ্তাহ পরে। দুটি ভ্যাকসিনই ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় স্টোর করতে হয়। দুট ভ্যাকসিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করোনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকর। গত নভেম্বর মাসে ট্রায়াল শুরু করে কোভিশিল্ড, করোনার বিরুদ্ধে এর কার্যকরিতা ৭০ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে তা বেড়ে ৯০ শতাংশ।
কোভিশিল্ডের তুলনায় পরে ট্রায়াল শুরু করে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। করোনার বিরুদ্ধে এর কার্যকরিত ৭৮ শতাংশ। এছাড়া কোভ্যাকসিন করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা ও মৃত্য়ুর হার ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কোভিশিল্ড সরকারের কাছে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কিনতে হচ্ছে ৬০০ টাকা করে। অন্য়দিকে কোভ্যাকসিন রাজ্য সরকারগুলির কাছে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে আর বেসরকারি হাসপাতালের কাছে বিক্রি করছে ১২০০ টাকা করে।
দেখা গিয়েছে করোনাভাইরাসের এই নতুন মিউট্যান্টের ধাক্কা সামলাতে কোভিশিল্ডের থেকে কোভ্যাকসিনের কার্যকরিতা বেশি। দুটি ভ্য়াকসিনের ক্ষেত্রেই কারোর কারোর হালকা জ্বর, মাথা ঘোরা, মাথার যন্ত্রণা, পেটে ব্য়াথা, বমি ভাব দেখা দিচ্ছে। কোভিশিল্ড নেওয়ার পরে কারোর কারোর রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
যাঁদের প্লাজমা থেরাপি চলছে, প্লেটলেট কম বা স্টেরয়েড ট্রিটমেন্ট চলছে, তাঁদের কোভিশিল্ড বা কোভ্যাকসিন দেওয়ার আগে পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি। কিছু কিছু পার্থক্য থাকলেও দুটি ভ্যাকসিনই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট কার্যকরী।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-01 16:46:24
Source link
Leave a Reply