হাইলাইটস
- বিয়ে করা মানেই নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিকিয়ে দেওয়া নয়।
- বিয়ে মানেই বাড়ি থেকে আপনার সব অধিকার চলে যাবে এমনটাও নয়।
- আর তাই নিজের মান সম্মান নিজেই বজায় রাখুন
আলাপ পরিচয়, কবে নাগাদ হতে পারে, বিয়ের পর তিতিন কোথায় থাকবে এসব নিয়েই কথা হল। কারণ কর্মসূত্রে মিতুল অন্য শহরের বাসিন্দা। সব কিছু মনের মতন হওয়ায় তিতিনের মা-বাবা খুব খুশি। আত্মীয়দেরও সব বলেছেন সামনেই মেয়ের বিয়ে। গয়না কেনা, শাড়ি কেনা, বাড়ি রং করানো সব মিলিয়ে হই হই করে শুরু হয়ে গেল। এবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিয়ের দিন ঠিক হবার পালা আর সেই সঙ্গে দুবাড়ির ফাইনাল কথাবার্তা। এসবের আগেই অবশ্য মিতুল একটা লম্বা তালিকা তৈরি করেছিল। কী কী কিনতে হবে, নতুন বাড়ির জন্য কেমন কী লাগবে। তার কেমন জিনিস পছন্দ এই সব। তিতিন ভেবেছিল সব বোধহয় তারা দুজনে মিলেই করবে।
ফলে ওর উৎসাহেও খামতি ছিল না। কিন্তু পাকা কথার দিন মিতুলের বাবা যখন দাবি-দাওয়ার প্রসঙ্গ তুললেন তখন তিতিন অবাক হয়ে গেল। এমনটা ও ভাবতেও পারেনি। শুধু তাই নয় মিতুলও নিজের পছন্দের লিস্ট ধরিয়ে দিল তিতিনের বাবাকে। তিতিনের মা অবশ্য বলেছেন, একটাই মেয়ে আমরা সব সাজিয়ে গুছিয়ে দেব। তিতিনের বাবা মুখে কিছু না বললেও একটু মনক্ষুন্ন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিতিন বলল, আমি ভেবে দেখতে চাই। আদৌ এই বিয়েটা করব কিনা। সেই সঙ্গে মিতুলের সঙ্গেও সে আলাদা করে কথা বলতে চাইল। জানিয়ে দিল বিয়ে করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতি কি আপনার জীবনেও এসেছে? বা আপনার চেনা কেউ এমন সমস্যায় পড়েছেন? তাহলে আপনি তাঁকে যেসব পরামর্শ দিতে পারেন-
এমন বাড়িতে বিয়ে নয়- প্রেম যদি ১০ বছরেরও হয়ে থাকে এবং বিয়ের সময় ছেলের বাড়ি হ্যাংলার মতো এই সব চেয়ে বসেন, তাহলে সেই বিয়ে থেকে প্রথমেই সরে আসুন। যাঁরা এমন হাত পেতে নির্লজ্জের মতো জিনিস নিতে পারেন তাঁরা আর যাই হোক মানুষ হিসেবে খুবই খারাপ। যে যতই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকুক না কেন।
বিয়ে করা মানেই বিকিয়ে দেওয়া নয়- বিয়ে করা মানেই নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিকিয়ে দেওয়া নয়। বিয়ে মানেই বাড়ি থেকে আপনার সব অধিকার চলে যাবে এমনটাও নয়। আর তাই নিজের মান সম্মান নিজেই বজায় রাখুন। বিয়ে মানে দুটো পরিবার আর সম্পর্কের বন্ধন। পণ নেওয়া মানে কিন্তু প্রথম থেকেই সম্পর্ক খারাপ হবার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। আর সেই বাড়িতে মেয়ের সুখী হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
পণ নেওয়া অপরাধ- ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে পণ নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংবিধানের ৩০৪ বি এবং ৪৯৮ এ ধারাতেই তা বলা আছে। তাই কেউ পণের প্রসঙ্গ তুললে তাঁকে এই কথা একবার মনে করিয়ে দিন। প্রয়োজনে আপনি পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারেন। আইনি পদক্ষেপও নিতে পারেন।
মানুষের চাহিদা বাড়ে- পণ হিসেবে আজ যাঁরা টাকা পয়সা, খাট বিছানা চাইছেন তাঁরা যে পরবর্তীতে অন্য বড় কিছু চাইবেন না এর কোনও গ্যারেন্টি নেই। কারণ দিনের পর দিন মানুষের চাহিদা বাড়ে। আর সেই চাহিদা পূরণ না হলেই নানা সমস্যা হয়। এমনকী অত্যাচার পর্যন্ত গিয়েছে, এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি রয়েছে। আর তাই প্রথমেই রুখে দাঁড়ান।
পণ চাওয়া মানেই মানসিক ভাবে অসুস্থ- আজকের দিনে শিক্ষিত কোনও পরিবার বিয়ের জন্য পণ নেন না। বিয়ে করে বাড়ি থেকে যদি নিজের খাট-বিছানা, আলমারি নিয়ে আসতে হয় তাহলে বিয়ে করা কেন। শুধু তাই নয় এখনও অনেক ছেলেই বিয়ে করেন শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থা দেখে। আর সেই সব ছেলেদের মেয়ের বাড়ি থেকেও বিশেষ পাত্তা দেওয়া হয়। যে কারণে পণ প্রথায় রুখে দাঁড়াতে হবে মেয়েদেরই। চাকরি করে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েও যদি মনে হয় এই মুহূর্তে অন্য কারোর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে অক্ষম তাহলে বিয়ের ভাবনা না রাখাই ভালো। বরং নিজেকে নিয়ে বেশি চিন্তা করুন। মেয়েরা এসব অসুস্থ ছেলেদের থেকে নিজেদের দূরে রাখুন।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-30 14:36:19
Source link
Leave a Reply