হাইলাইটস
- আতঙ্ক নয়, দরকার সচেতনতা। নিতে হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। করোনা নিয়ে বারবার চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এই কথাই বলে আসছেন।
- কারোর করোনা হলেই যে আপনার হবে, এটা কখনওই নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
- জ্বর-কাশি, গলা ব্যথা, চোখ লালা হয়ে যাওয়া, ডায়েরিয়া, জিভে কিংবা স্বাদে সমস্যা এ জাতীয় উপসর্গ দেখা গেলে কোভিড পজিটিভ কি না জানতে পরীক্ষা করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি কোভিডের প্রাথমিক লক্ষণগুলি দেখন, তবে প্রথম পদক্ষেপ কী হবে তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময় পদক্ষেপ নিলে পরে বড় ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মেডিসিন চিকিত্সক ডাঃ সুধা মেনন জানিয়েছেন, কোভিড -১৯ একটি স্ব-ভাইরাস সংক্রমণ এবং ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। এই সময়ে নিজেকে পজিটিভ মনোভাব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আতঙ্ক নয়, বরং সুস্থ থাকুন।
এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে উপেক্ষা করবেন না
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ কতটা বিপজ্জনক তা বলা বাহুল্য। এটি যুবকদের আরও বেশি প্রভাবিত করছে। বিশেষত প্রাথমিক লক্ষণগুলি এড়িয়ে গেলে পরে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন অধিকাংশ মানুষ। এই ধরনের রোগীদের, ফুসফুসে অক্সিজেন এবং ইনফিউশনগুলির অভাব বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সম্ভাব্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে দ্বিগুণ সচেতন হওয়া দরকার। আপনার যদি অস্বাভাবিক জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ত্বকের ফুসকুড়ি, চোখ লা হয়ে যাওয়া, বমি বমিভাব, পেশী ব্যথা এবং গলা ব্যথা হয় তবে আপনার সজাগ হওয়া উচিত।
প্রথম দিন থেকেই নিজেকে আলাদা করে রাখুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলি দেখা দেয় তখন প্রথম থেকেই নিজেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। টেস্টের রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করবেন না। বাড়িতে যদি অনেক মানুষ থাকেন তবে পুরো সময়টি মাস্ক পরে কাটান। বিশেষত আপনার বাড়িতে যদি বাচ্চা এবং প্রবীণ কেউ থাকেন তবে তাঁদের কাছে যাবেন না। যে পাত্রগুলি ব্যবহার করছেন সেগুলি আলাদা রাখুন, দু’সপ্তাহের জন্য নিজেকে আলাদা করুন।
প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি সেবন করুন
চিকিৎসকদের মতে, কোভিড পজিটিভ এলে নিজেই ডাক্তার হয়ে উঠবেন না। অর্থাৎ, অনেকে নিজেরাই ওষুধ খাওয়া শুরু করে দেন। মনে রাখা উচিত ভুল ওষুধ খাওয়ার ফলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। অতএব চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করুন যা প্রয়োজনীয়। সম্ভব হলে সময়ে সময়ে স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখুন। এর জন্য আপনার সর্বদা অক্সিমিটার, বিপি মেশিন, থার্মোমিটার, স্যানিটাইজিং ওয়াইপ থাকা উচিত।
জ্বর বা গলা ব্যথা হলে এড়িয়ে যাবেন না
চিকিত্সকরা বলছেন যে রোগের প্রথম সংক্রমণটি শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে। এর পরে গলা ও জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রথম পাঁচ দিন জ্বর এবং দুর্বলতার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অক্সিজেন রিডিং গুরুত্বপূর্ণ
অক্সিজেনের অভাব এই মুহুর্তে একটি বড় সমস্যা। আপনার যদি সামান্য শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়, অবিলম্বে অক্সিজেন স্তরটি পরীক্ষা করুন। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ে আমরা সকলেই এখন চিন্তিত। একজন মানুষের শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় অক্সিজেনের মাত্রা থাকে ৯৫ থেকে ১০০র মধ্যে। যদি দেখেন পাল্স অক্সিমিটারের ফল অনুযায়ী, আপনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা তারও নীচে, প্রথমেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বেন না। কিছুক্ষণ একটু স্থির হয়ে থাকুন। ৩০ সেকেন্ড পর ফের পাল্স অক্সিমিটার ব্যবহার করুন। অক্সিজেন সম্পৃক্ততা ৯৪র নীচে নেমে গেলে চিন্তার বিষয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-04-29 10:32:03
Source link
Leave a Reply