মা হওয়া একেবারেই চাট্টিখানি কথা নয়। শরীরের রক্ত ও ঘাম ঝরিয়ে একজন নারী মাতৃরুপে সম্পূর্ণ হয়ে ওঠেন। এই অধ্যায়টি জীবনযুদ্ধের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। মাতৃত্বকালীন অবস্থা শুরু হয় সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই। কিন্তু আসল যুদ্ধ শুরু হয় সন্তানের জন্মের পরে।
সন্তানের দেখাশোনার পাশাপাশি নিজের জগতটিকেও আবার আগের মতো আস্তে আস্তে গোছাতে হয় বা বলা যায় আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে হয়। সদ্য মা হওয়ার পরে যারা আবার চাকরিতে ফিরে যান তাদের পক্ষে দুটো কাজে সমান সময় দেওয়া রীতিমত যুদ্ধের মতই। কিন্তু ভেঙে না পড়ে এই কয়েকটি টিপস মাথায় রাখুন।
১. মাতৃত্ব থেকে আপনি কি কি শিক্ষা পেলেন তার একটি পর্যালোচনা করুন। মূলত আপনি বিশেষ কিছু দক্ষতা অর্জন করেছেন এই পর্বে। ধৈর্য, সময়ানুবর্তিতার পাশাপাশি মাল্টিটাস্কিং দক্ষতা অর্জন করেছেন আপনি নিজেই। শুধুমাত্র একজন ভালো মা নয়, আপনি একজন ভাল মানুষ হিসেবেও তৈরি হয়েছেন এই সময়।
আরো পোস্ট- একই অ্যাম্বুলেন্সে ২২ টি দেহ, করোনা পরিস্থিতিতে মর্মান্তিক দৃশ্য মহারাষ্ট্রে
২. যেহেতু এই সময়ে কোনো আর্থিক উপার্জন আপনি করছেন না তাই অনেকের মানসিকতা থেকে এই প্রশ্নটা বারবার আসে যে তিনি হয়তো কর্মজীবনে এই মুহূর্তে বেকার। আপনি পেশাগতভাবে কিছুই করছেন না এমন মনে করাটা সহজ কিন্তু মনে রাখবেন এই মাতৃত্ব একটি পূর্ণ সময়ের কাজ। তাই নিজের পরিশ্রমেই আপনি তা পালন করছেন।
৩. অনেককে এই সময় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আবার ভাবতে হয়। হয়তো মা হওয়ার আগে আপনি যে কাজটি করতেন মা হওয়ার পরে সেই কাজটি আপনি করতে পারছেন না। কিন্তু তা নিয়ে হতাশ হবেন না।
বরঞ্চ নিজেকে অন্য একটি ক্ষেত্রে নতুন ভাবে মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এটা ভেবে তার সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এ সময়টায় আপনি নটা-পাচটার চাকরি না করে বরঞ্চ কিছু ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ বা পার্টটাইম কাজও করতে পারেন। ফলে বাকি সময়টায় আপনি সম্পূর্ণ সন্তানের প্রতি নজর দিতে পারবেন।
৪. ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় একেবারেই নার্ভাস হবেন না। বরঞ্চ মা হবার পরে আপনি যে যে দক্ষতা অর্জন করেছেন সেগুলিকে আপনি নিজের বায়োডাটার মধ্যে যোগ করুন। আপনি একজন মা এটি আপনি চাকরিদাতাকে বলতে লজ্জা পাবেন না। কারণ এতে তিনিও স্বচ্ছ থাকবেন আপনার সময়সীমার ব্যাপারে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-04-27 19:41:11
Source link
Leave a Reply