হাইলাইটস
- প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে কোভিড সংক্রমণ। সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে হলে বাড়াতে হবে প্রতিরোধ ক্ষমতা।
- তাই এই সময় খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
- কোভিড রোগী এবং যারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁদের জন্য ভালো পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আসলে, এই সময় শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায়। লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়ার পর থকেই শরীরে ভালো অনুভব হয় না।
ভ্যাকসিন শুধুমাত্র ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট নয়, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবারও প্রয়োজন। যাঁদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাঁদের জন্য সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি। সুতরাং, কী খাবেন আর কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন, বা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একজন পজিটিভ রোগীর ডায়েট চার্ট কেমন হওয়া উচিত, দেখে নিন…
পুষ্টির পাশাপাশি চাই ক্যালরি
শরীরের ওজন অনুযায়ী ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত
প্রোটিন প্রয়োজন: দেহের ওজনের প্রতি ১-১.৫ গ্রাম
ফ্যাট প্রয়োজনীয়তা: মোট ক্যালোরির ২৫-৩০ শতাংশ
মাল্টিভিটামিন
প্রতিদিন ভিটামিন-D: 10-1000 mcg
ভিটামিন-E ১৩৪-800 mg
জিঙ্ক: 30-220 mg
ভিটামিন সি: 200 mg থেকে 3 গ্রাম
উপরে প্রদত্ত পুষ্টি উপাদানগুলি দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করে।
COVID রোগীদের জন্য পুষ্টি কেমন হবে
বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিড রোগীদের বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার দেওয়া একেবারে উচিত নয়।
কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
রোগীর শরীর অনুযায়ী, পুষ্টি পরিপূরক এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন।
এই সময় নিয়মিত শারীর চর্চা এবং শ্বাস প্রশ্বাসের কিছু অনুশীলন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড ডায়েট: কী খাবেন এবং কী নয়?
১. এই সময় অনেকের স্বাদ-গন্ধ চলে যায়। ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়। তাই তেল-মশলা-ঝাল ছাড়া খাবার খাওয়াই ভালো। খুব কষ্ট হলে আপনাকে সেদ্ধ খাবার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, রান্না যেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশে হয়। সংক্রমণের কারণে শরীর খুব দুর্বল এবং ক্লান্ত হয়ে যায়, তাই রোগীদের এমন খাবার দেওয়া উচিত যাতে পেশী শক্তিশালী হয় এবং শক্তির স্তর বৃদ্ধি করে।
২. বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, দই-ফল দিয়ে স্মুদি বানাতে পারেন, গ্রিক ইয়োগার্ট খেতে পারেন। বাদাম দিয়ে তৈরি মাখনেও প্রচুর পরিমাণে ‘গুড ফ্যাট’ আছে। খেতে পারেন ওট্সের সঙ্গে। এটি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৩. চিকেন, মাছ, ডিম, পনির, সয়া, বাদাম এবং খাদ্যশস্য খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তি আসে। আজকাল আখরোট, বাদাম, জলপাই তেল এবং সরিষার তেলে রান্না করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। কোভিড রোগীদের দিনে একবার হলুদ দুধ পান করা উচিত।
ডায়েটে ফল এবং সবজি রাখুন
কোভিডে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে চাই পুষ্টিকর খাবার। ফলমূল-শাক-সবজি তাই বেশি করে খেতে হবে। এমন খাবার যাতে ভিটামিন এ, সি, ডি, এবং জিঙ্ক রয়েছে, সেগুলো খান। তবে কোভিড যেহেতু মূলত ভাইরাল জ্বর বা ফ্লুয়ের মতোই রোগ, তাই শরীরে জোর আনতে চাই ক্যালরিও। আপনি যদি চান তবে আপনার ডায়েটে ৭০ শতাংশ কোকো সহ ডার্ক চকোলেট রাখতে পারেন। কোভিড রোগীদের মুখের স্বাদ থাকে না বা খাবার গিলতে সমস্যা হয়, এই সমস্যা থাকলে নরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কোভিড রোগীদের ডায়েট চার্ট কী হওয়া উচিত?
১. ব্রেকফাস্টে- ভেজিটেবল পোহা, চিলা, উপমা, শাকসবজি, ইডলি, দুটি ডিমের সাদা অংশ, হলুদ দুধ এবং আদা গুঁড়ো।
২. দুপুরের খাবারে – মাল্টিগ্রেন শস্য, রুটি বা ভাত, খিচুড়ি, মসুর ডাল সঙ্গে স্যালাড। গাজর বা শসা দইয়ের স্যালাড খেতে পারেন।
৩. সন্ধ্যে বেলার খাবার- আদা চা, ভেজটেবল, চিকেন বা ইমিউনিটি স্যুপ বা স্প্রাউট চাট, রোগীর যদি ডায়রিয়া হয় তবে আদা চা এবং ভেজ খিচুড়ি খাওয়া উচিত।
জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষে করে আপনি যদি পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তা হলে আপনার শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই জল ছাড়াও আদা-মধু দিয়ে চা, চিকেন স্যুপ বা ব্রথ, ফলের রস, ডাবের জল খেতে পারেন। খুব বাড়াবাড়ি হলে ইলেকট্রোলাইট জলও খেতে হবে মাঝে মাঝে। অনেকেই এখন ভিটামিন সি এবং জিঙ্কের ওষুধ খান। তবে কোভিড হলে, কোনও ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন, অবশ্যই একবার ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন।
কোভিডের পর ক্লান্তি দূর করতে কী করবেন
কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর রোগী বেশ কয়েক দিন ক্লান্ত বোধ করবেন। এ থেকে দ্রুত সেরে ওটার জন্য কলা, আপেল, কমলা জাতীয় শক্তি বৃদ্ধিকারী খাবার খাওয়া ভালো। স্যালাড বা মিষ্টি আলু খেলে ভালো।
তথ্য সৌজন্য: NBT
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-04-27 11:27:56
Source link
Leave a Reply